শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থান (ভ্রমণের সকল তথ্য, ভ্রমণ গাইড)
চায়ের নগর হিসেবে খ্যাতি রয়েছে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাটির। মৌলভীবাজার জেলা থেকে শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একজন ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে শ্রীমঙ্গল উপজেলাটি ভ্রমণের জায়গা অন্যতম বিখ্যাত।
এখানে আছে পাহাড়ের ঢালে চা বাগান, সারি সারি উঁচু নিচু টিলা, সবুজ লতা-পাতায় ঘেরা বনভূমি, হাওড়, বিল, আঁকাবাাঁকা পাহাড়ের পথসমুহ এছাড়াও ঘন সবুজ বনের প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য।
এছাড়াও রয়েছে এখানে অনেক আদিবাসীদের বসবাস রয়েছে । এদের ভিতরে খাসিয়া, গারো, টিপুরা ও মনিপুরি অন্যতম। এসব আদিবাসীদের বসবাসের ঘরবাড়িগুলো এখানকার পরিবেশের সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। চা শিল্পের জন্য শ্রীমঙ্গলের সুনাম বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে।
শ্রীমঙ্গল দর্শনীয় স্থানঃ
শ্রীমঙ্গলে থাকা ৪০ টি চা-বাগান, যেগুলোর আয়তন ৪৫,৫৩৮ একর ( ১৮৪.২৯ বর্গ কিলোমিটার)। য়া মোট আয়তনের ৪৩.৩৪ শতাংশ । এই চা বাগান গুলোর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মনকে জুড়িয়ে দেবে। শ্রীমঙ্গলে চা বাগান ছাড়াও আরো রয়েছে রাবার বাগান, লেবুর বাগান, আনারসের চাষ, কাঠালের বাগান, লিচু বাগান। এসব বাগান গুলোর সাথেই দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা সহ বানর, বন্য হরিণ, মেছো বাঘ,অজগর সাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির ভিন্ন ভিন্ন বন্য প্রাণী।
- জাফলং কিসের জন্য বিখ্যাত? (ভ্রমণের সকল তথ্য)
অপরুপ সৌন্দর্যতে ভরা এই শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ। এখানে আরো যা দেখতে পাবেন
১. পাহাড়ি ঝর্ণা
২. শীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা
৩. চা প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্র
৪. ডিনস্টন সিমেট্রি
৫. লাউয়াছড়া রেইনফরেস্ট
৬. মাগুরছড়া গ্যাসকূপ
৭. খাসিয়াপুঞ্জি
৮. মণিপুরীপাড়া
৯. টি-রিসোর্ট
১০. চা গবেষণা কেন্দ্র
১১. ভাড়াউড়া লেক
১২. লাউয়াছড়া ইন্সপেকশন বাংলো
১৩. হিন্দুধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নির্মাই শিববাড়ি
১৪. সিলেটের মৎস্য ভান্ডার বলে খ্যাত ‘হাইল-হাওর
শ্রীমঙ্গল উপজেলার দর্শনীয় স্থানঃ
অপরুপ সৌন্দর্যতে ভরা এই শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ। শ্রীমঙ্গলের চা বাগান ছাড়াও ভ্রমণ করা মতো কিছু স্থান এই উপজেলা রয়েছে।
১. চা বাগান
২ টি রিসোর্ট
৩. গারো পল্লি
৪. বাদুর বাড়ি
৫. পাখি বাড়ি
৬. বাইক্কা বিল
৭. হাইল হাওর
৮. বার্নিস টিলা
৯. খাসিয়াপুঞ্জি
১০. বধ্যভূমি-৭১
১১. টিপরা পল্লি
১২. গলফ কোর্স
১৩. রাবার বাগান
১৪. বিটিআরআই
১৫. রাজঘাট লেক
১৬. মণিপুরী পাড়া
১৭. মাধবপুর লেক
১৮. চাকন্যা ভাস্কর্য
১৯. নির্মাই শিববাড়ি
২০. আনারস বাগান
২১. ভাড়াউড়া লেক
২২. লালমাটি পাহাড়
২৩. যজ্ঞ কুন্ডের ধারা
২৪. লাসুবন গিরিখাত
২৫. ডিনস্টন সিমেট্রি
২৬. হামহাম জলপ্রপাত
২৭. শ্রীমঙ্গল চা জাদুঘর
২৮. নিসর্গ ইকো রিসোর্ট
২৯. বর্ষীজোড়া ইকোপার্ক
৩০. দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা
৩১. চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
৩২. লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
৩৩. লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
৩৪. মোহাজেরাবাদ লেবু বাগান
৩৫. জান্নাতুল ফেরদাউস মসজিদ
৩৬. সিতেশবাবুর মিনি চিড়িয়াখানা
৩৭. মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ
৩৯. নীলকন্ট টি কেবিনের সাতরঙের চা
৪০. বাংলাদেশ বন্যপ্রাণি সেবা ফাউন্ডেশন
৪১. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ
৪২. গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট এন্ড গলফ লেমন গার্ডেন
৪৩. ব্রিটিশ আমলে চা-বাগানগুলোতে ব্যবহূত বিভিন্ন সামগ্রী
সারাদেশ থেকে শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার উপায়ঃ
বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে আপনি মঙ্গল গ্রহন করতে পারেন। শ্রীমঙ্গলের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। আপনি বাস, ট্রেন, ট্রাক, প্রাইভেট কার সহ যে কোন মাধ্যম দিয়ে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে পারবেন।
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলঃ
সারাদেশে থাকে শ্রীমঙ্গলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার কারণে আপনি ঢাকা থেকেও সরাসরি শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করতে পারেন। ঢাকার বিভিন্ন বাস টার্মিনাল (গাবতলী, ফকিরাপুল ও সায়দাবাদ) থেকে বেশ কিছু পরিবহন (শ্যামলী, এনা ট্রান্সপোর্ট, সিলেট এক্সপ্রেস, মামুন ও হানিফ) বিভিন্ন সময়ে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এগুলোর ভাড়া ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকার ভিতরে হয়ে থাকে। আপনি ইচ্ছা করলে বাসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যেতে পারবেন।
ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বেশ কিছু ট্রেন (পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস) বিভিন্ন সময়ে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পারাবত এক্সপ্রেস মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। ছাড়াও কালনী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকে।
চট্টগ্রাম থেকে শ্রীমঙ্গলঃ
চট্টগ্রাম হতেও ট্রেনের মাধ্যমে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ করা যায়। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনের (পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেস) মাধ্যমে ৬-৭ ব্যবধানে শ্রীমঙ্গল পৌছানো যায়। সিট প্রতি ৩০০ থেকে ১১০০ টাকার মত খরচ হতে পারে।
শ্রীমঙ্গলে থাকার ব্যবস্থাঃ
শ্রীমঙ্গলে পর্যটন এলাকা বেশি হওয়ার কারণে এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। স্বল্প ও মধ্যম বাজেটে হোটেল ও রিপোর্ট এখানে আছে। যাদের যেমন বাজেট তারা তেমন হোটেল ও রিসোর্টে থাকতে পারবেন ।ভালো ও মোটামুটি মানের কিছু হোটেলের নাম দেওয়া হলোঃ
১. সংসর্গ ইকো রিসোর্ট
২ .দুসাই রিসোর্ট এন্ড সম্পা
৩. লেমন গার্ডেন রিসোর্ট
৪. নভেম ইকো রিসোর্ট
৫. গ্র্যান্ড সুলতান
- হাকালুকি হাওর কোন জেলায় অবস্থিত? (ভ্রমণের সকল তথ্য)
শ্রীমঙ্গলের ভিতরে খাওয়া দাওয়াঃ
যেকোনো স্থানে শুধু ভ্রমণ করলেই হয়না খাওয়া-দাওয়ার দরকার হয়। এজন্য দুপুরে বা রাতে খাওয়া দাওয়া করার জন্য শ্রীমঙ্গলের ভিতরে বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল গড়ে উঠেছে। যেগুলোতে আপনি এবং আপনার প্রিয়জনদেরকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে পারেন। নিচে কিছু খাবার হোটেল বা রেস্ট্রুরেন্টের নাম দেয়া হলোঃ
১. কুটুমবাড়ি
২. পানসি
৩. সাতকড়া
৪. শ্বশুরবাড়ি
৫. গ্র্যান্ড তাজ রেস্টুরেন্ট
চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।