অন্যান্য

বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ১-৫

বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর সমুহ

প্রমথ চৌধুরী রচিত নবম-দশম শ্রেণীর বাংলা ১ম পত্রের বই পড়া প্রবন্ধটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আজকের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন । সুতরাং আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন ।

বই পড়া প্রবন্ধের অনুশীলনীর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

০১ জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ । একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি । যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।

ক. “ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ কী?
খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে- মন্তব্যটির বিচার করো।

০১ নং প্রশ্নের উত্তর ক

“ভাঁড় ও ভবানী’ অর্থ রিক্ত ও শূন্য।

০১ নং প্রশ্নের উত্তর খ

‘অর্ন্তনিহিত শক্তি’ বলতে মানবমনের সাহিত্য চর্চা সম্পর্কিত সুপ্ত বিচারবুদ্ধিকে বুঝানো হয়েছে।

০১ নং প্রশ্নের উত্তর গ

উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কেবল বৈষয়িক লাভালাভের চিন্তার পরিণামের দিকটির ইঙ্গিত করেছে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, বাঙালির মাঝে চেতনার জাগরণ ঘটে নি বলে তারা পার্থিব ভোগ তথা অর্থ সাধনাকে জীবনের মূল লক্ষ হিসেবে গ্রহণ করেছে। জাতি এভাবে অসার ও চেতনাশূন্য হয়ে পড়েছে।

উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটিতেও এই দিকটিরই প্রতিফলন ঘটেছে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক বলেছেন, শিক্ষাকে বর্তমানে বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করার প্রবণতা লক্ষণীয়। আমাদের শিক্ষিত সমাজ বর্তমান কেবল অর্থের পেছনে ছুটছে। অর্থকেই তারা একমাত্র ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছে।

সাহিত্য চর্চার চেয়ে শিক্ষার ফলাফলের প্রতি তাদের বেশি আগ্রহ এবং তারা বস্তুমুখিতায় ধাবিত। উদ্দীপকেও এই দিকটিরই কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের প্রথম দিকটিতে আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসারের কথা বলা হয়েছে। এই আত্মপ্রসার বা স্বার্থপ্রসার যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিকের কারণ।

উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে প্রদত্ত দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কেবল বৈষয়িক লাভালাভের চিন্তার পরিণামের দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করেছে।

০১ নং প্রশ্নের উত্তর

উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে- মন্তব্যটি যথার্থ। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক মানুষের আত্মিক সমৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলতে চেয়েছেন, কেবল ধনসম্পদই মানুষকে সমৃদ্ধ করতে পারে না।

এর জন্য প্রয়োজন প্রকৃত শিক্ষার আলোকে আলোকিত হওয়া। বইপড়া প্রবন্ধে লক্ষ করা যায়, মানুষের জীবন সার্থক হয়ে উঠে বিদ্যার আলোকে। মানুষ শিক্ষিত না হলে জীবনের অর্থ অনুধাবন করতে পারে না। প্রকৃত শিক্ষাই পারে মানুষকে পরিপূর্ণ করতে। মানুষ জ্ঞানের মাধ্যমে যথার্থ মনুষ্যত্ব লাভ করে।

জ্ঞান মানুষের অত্মিক সম্পদ। জ্ঞানই পারে মানুষের মনকে সবল, সজাগ, সরল ও সমৃদ্ধ করতে। জ্ঞান মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সৎ করে তোলে। যে জাতির জ্ঞানের ভাণ্ডার শূন্য সে জাতির মনের ভাণ্ডারও শূন্য। যে জাতি জ্ঞানে বড় নয় সে জাতি মনেও বড় নয় উদ্দীপকেও সেই একই ভাবের প্রবর্তন করা হয়েছে।

উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে। কেননা ‘বই পড়া প্রবন্ধের লেখকও উপরিউক্ত বক্তব্যগুলো উপস্থাপন করেছেন পরমার্থ বৃদ্ধির প্রসঙ্গেই।

তাই উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে ।

অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ০২ *বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ পাই। কেবল যাহা নিতান্ত আবশ্যক, তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। ইহাতে কোনোমতে কাজ চলে মাত্র কিন্তু মনের বিকাশ লাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, কিন্তু আহারাদি রীতিমতো হজম করিবার জন্য হাওয়া আবশ্যক। তেমনি একটি শিক্ষা পুস্তককে রীতিমতো হজম করিতে অনেকগুলো অপাঠ্য পুস্তকের সাহায্য আবশ্যক।”

ক. শিক্ষার প্রধান অঙ্গ কী হওয়া উচিত?
অথবা, বই পড়া প্রবন্ধের লেখকের নাম কী? বাকাশিবো-২০২২
খ. ‘ এ আশা সম্ভবত দুরাশা–কেন?
গ. শিক্ষা পুস্তককে হজম করতে অনেকগুলো অপাঠ্য পুস্তকের সাহায্য আবশ্যক কেন? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যথার্থ প্রতিচ্ছবি’- উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

 ২ নং প্রশ্নের উত্তর ক

শিক্ষার প্রধান অঙ্গ সাহিত্যচর্চা হওয়া উচিৎ।

অথবা, বই পড়া প্রবন্ধের লেখকের নাম প্রমথ চৌধুরী।

 ২ নং প্রশ্নের উত্তর খ

শিক্ষালাভের মাধ্যমে মানুষের বস্তুজগতের চাহিদা পূরণ হয় না বলে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস যে, শিক্ষালাভের মাধ্যমে মানুষের অন্নচিন্তা, বস্ত্রচিত্তা ও অর্থচিন্তা দূর হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষালাভে মানুষের পার্থিব জগতের চাহিদা পুরোপুরি শেষ হয় না বলে প্রাবন্ধিক শিক্ষালাভের মাধ্যমে এ ধরনের বস্তুগত চাহিদার আশা সম্ভবত দুরাশা বলে মত দিয়েছেন।

২ নং প্রশ্নের উত্তর গ

শিক্ষাপুস্তককে যথার্থভাবে হৃদয়াঙ্গম করতে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি অনেকগুলো অপাঠ্য পুস্তকের সাহায্য আবশ্যক। মানুষকে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করতে হলে বেশি বেশি সাহিত্যচর্চা করা দরকার। মানবসত্ত্বা জাগরণে পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি মানুষকে নানা ধরনের বই পড়তে হবে।

পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে মানুষের জ্ঞান অপরিপক্ক ও সীমিত থেকে যাবে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে, বর্তমানে আমাদের দেশে যে শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে তাতে আনন্দের লেশমাত্র নেই। শিক্ষার্থীরা যতটুকু শিখছে তা কেবল গলাধঃকরণ মাত্র।

এইটুকু শিক্ষালাভে কোনোমতে কাজ চলে মাত্র কিন্তু শিক্ষার্থীর মনের প্রসার ঘটে না। খাদ্যকে হজম করতে যেমন হওয়ার প্রয়োজন ঠিক তেমনি শিক্ষা পুস্তককে হজম করতে ও অনেক ধরনের অপাঠ্য বইয়ের সাহায্য প্রয়োজন। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক ও সেই কথাই বলেছেন।

তিনি বলেছেন, আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষাব্যবস্থায় কেবল সীমিত কিছু বই পাঠ্য করে শিক্ষার্থীদের সেগুলো গিলে দেওয়া হয়। এতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের অপরিপূর্ণতাই রয়ে যায়। তাই পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পরিপূর্ণ জ্ঞানের জন্য অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্র, ধর্মীয়, দর্শন, নৈতিক শিক্ষাসহ আরো জ্ঞানসমৃদ্ধ বই পড়তে হবে।

তাহলেই দেখা যাবে পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান ভালোভাবে বোঝার জন্য সহায়ক হবে। তাই যৌক্তিক কারণেই বলা যায়, পাঠ্যপুস্তককে ভালোভাবে বুঝতে তথা আত্মস্থ করতে অবশ্যই অপাঠ্যপুস্তক জ্ঞান অত্যাবশ্যক।

 ২ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ

‘উদ্দীপকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যথার্থ প্রতিচ্ছবি’- প্রশ্নোক্ত এ উক্তিটি যথাযথ । প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা পাশ করা বিদ্যাকে প্রকৃত শিক্ষা বলতে নারাজ। কারণ এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এজন্য পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি জ্ঞান ও তত্ত্বনির্ভর অন্যান্য বই পড়ার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী বলেছেন, জোর করে কেউ কাউকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারে না। শিক্ষা মানুষকে নিজের প্রয়োজনে আনন্দের সহিত অর্জন করতে হয়। স্বশিক্ষিত হবার জন্য মানুষকে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অনেক বাইরে পুস্তকও পড়তে হবে।

কিন্তু আমদের বড় দোষ শিক্ষার ফলটা আমরা হাতে হাতে পেতে চাই। আমাদের অভিভাবকদের ধারণা ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিলেই তাদের বিদ্যা সমাপ্ত হয়ে গেল । এই অর্জিত বিদ্যার দ্বারাই তারা সারাটা জীবন আরাম-আয়েসে কাটিয়ে দিতে পারবে। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, মানুষ শুধু যেটুকু প্রয়োজন তাই কণ্ঠস্থ করে।

ইহাতে কোনোমতে কাজ চলে মাত্র কিন্তু মানবসত্তার বিকাশ সাধিত হয় না। শুধু হাওয়া খাইলেই পেট ভরে না, রীতিমত আহারাদি হজম করার জন্য যেমন হাওয়া প্রয়োজন এসব শিক্ষাপুস্তককে হজম করার জন্য অনেকগুলো অপাঠ্য পুস্তকের সাহায্য আবশ্যক।

‘বই পড়া’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক যেমন আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলোর বর্ণনা দিয়ে তা থেকে উত্তরণের পথ ও বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যথার্থ জ্ঞানী হতে হলে শুধু সিলেবাসভুক্ত বই পাঠ করলে চলবে না পাশাপাশি নানা ধরনের তথ্যনির্ভর বই পাঠ করতে হবে।

উদ্দীপকের বিষয়বস্তুতে ও সেই একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের বিষয়বস্তুতে যা প্রকাশ পেয়েছে সেই ভাবনার প্রতিফলন ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে ও পড়েছে। সুতরাং, প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথাযথ হয়েছে। 

বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ১-৫
বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

নবম-দশম শ্রেণি – বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ০৩ স্কুলপড়ুয়া ছাত্র নাজমুলের সাহিত্যের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বেশি। বাবার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য সে কয়েকটি বই কিনে নেয়। বাবা তাকে বলেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই। নাজমুলের বই পড়ার আগ্রহ দেখে বাবা তাকে পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য করে দেন।

ক. কারা বাধ্য না হলে বই স্পর্শ করে না?
খ.সাহিত্য চর্চার জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজন কেন?
গ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ মাত্র ।- মন্তব্যটি যাচাই করো।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর ক

আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায় বাধ্য না হলে বই স্পর্শ করে না।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর খ

বই পড়া ছাড়া সাহিত্যচর্চা সম্ভব নয় বলে সাহিত্য চর্চার জন্য লাইব্রেরির প্রয়োজন । লাইব্রেরি ছাড়া সাহিত্যচর্চা সম্ভব নয়। কারণ সাহিত্য চর্চার জন্য যে উন্মুক্ত সৃজনশীল পরিবেশ প্রয়োজন তা শুধু লাইব্রেরিতেই সম্ভব।

সাহিত্য মানুষের মনকে মুক্তি দিয়ে আত্মার উন্নতি ঘটায়। আমাদের মনকে প্রসারিত করে। সীমাবন্ধ যেকোনো পতি সাহিত্যচর্চা সম্ভব নয়। লাইব্রেরির উন্মুক্ত পরিবেশেই তা কেবল সম্ভ

৩ নং প্রশ্নের উত্তর গ

উদ্দীপকের মূলভাব ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশিত সাহিত্যচর্চার দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে মেধার বিকাশে এবং মুক্তভাবে জ্ঞান চর্চার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তাই মানুষের মনের পরিধিকে সমৃদ্ধ করে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। যথার্থ শিক্ষার জন্য সাহিত্য চর্চার এমন মনোভার উদ্দীপকের নাজমুলের মধ্যে লক্ষ করা যায়।

উদ্দীপকে দেখা যায়, নাজমুলের সাহিত্যের বই পড়ার প্রতি দারুণ আগ্রহ। সে বাবার সাথে বইমেলায় গিয়ে অবসরকালীন বিনোদনের জন্য কয়েকটি বই কিনে নেয়। তার বাবা তার বই পড়ার প্রতি অগ্রহ দেখে তাকে পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য করে দেন। কারণ তার বাবা জানেন, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে হলে বই পড়ার বিকল্প নেই।

‘বইপড়া’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক পড়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ নয়। যথার্থ শিক্ষার জন্য প্রয়োজন পাঠ্যপুস্তক বহির্ভূত সাহিত্য সম্পর্কিত বই বেশি বেশি পাঠ করা। আর এজন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে।

লাইব্রেরিতে গিয়ে নিজের পছন্দমতো বই পড়ে যথার্থ শিক্ষিত হয়ে ওঠা সম্ভব। জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য সাহিত্য চর্চা করা আবশ্যক। আলোচ্য প্রবন্ধে বর্ণিত এই দিকটির সাথে উদ্দীপকের মূলভাবের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

৩ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ

প্রাবন্ধিকের মতে, আমাদের দেশে যা অর্থকরি নয় এরকম সবকিছুকেই অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। বই পড়ার সাথে তার ফল পাওয়া যায় না। আর এ কারণে বই পড়ার প্রতি কেউ আগ্রহী হয়ে ওঠে না। কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে শুধু প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। এ কারণে প্রয়োজন পাঠ্য বই ছাড়াও বেশি বেশি সাহিত্য বিষয়ক বই পড়ার অভ্যাস পছ ।

উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে স্কুলপড়ুয়া ছাত্র নাজমুলের বই পড়ার প্রতি আগ্রহের কথা। তার এই আগ্রহকে আরো বাড়িয়ে নেয়ার তার বাবা তাকে পাবলিক লাইব্রেরির সদস্য করে দেন। উদ্দীপকটিতে বই পড়ার গুরুত্ব ও লাইব্রেরির প্রতি নির্ভরতার নিকট সার্থকভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

কিন্তু প্রবন্ধে বর্ণিত বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটির দিকটি উদ্দীপকে অনুপস্থিত। আমাদের স্কুল কলেজে শিক্ষার্থীদের নোট মুখস্ত করানো হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা যে মোট দেন, সেই নোট মুখস্ত করে শিক্ষার্থীরা পাস করে কিন্তু লেখকের মতে, পাসকরা বিদ্যা আর শিক্ষিত হওয়া এক কথা নয়।

উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের তুলনা করে বলা যায়, আমাদের স্কুল কলেজে স্বশিক্ষিত হবার কোনো সুযোগ থাকে না। কা এখানে স্বশিক্ষিত হওয়ার অন্তর্নিহিত শক্তিকে নষ্ট করে দেয়া হয়। আমাদের শিক্ষাযন্ত্রের মধ্য দিয়ে যে নিষ্পেষিত হয়ে বেরিয়ে আসে তার আর আপনার বলতে কিছু থাকে না।

উদ্দীপকে কেবল বই পড়ার গুরুত্ব আলোচিত হয়েছে কিন্তু “বই পড়া” প্রবন্ধে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার নানা ত্রুটি, বিষময় ফল, সামাজিক জীবনে লাইব্রেডি : হ নানা ব্যাপকতা লক্ষ করা যায়। তাই এ সব দিক বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের অংশবিশেষ মাত্র।

বই পড়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ

প্রশ্ন ৪ :

ক. “বই পড়া” প্রবন্ধটি লেখকের কোন গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে?
খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বাকাশিবো -২০১৭
গ. সারণিতে “বই পড়া” প্রবন্ধের কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে – যুক্তিসহ উপস্থাপন করো।
ঘ. সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে সারণির ধাপগুলো পর্যালোচনা করো।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর ক

“বই পড়া” প্রবন্ধটি লেখকের ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’ থেকে নেয়া হয়েছে।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর খ

শিক্ষক ছাত্রকে শিক্ষার পথ দেখিয়ে দিতে পারেন, তার কৌতূহল উদ্রেক করতে পারেন, তার বুদ্ধিমত্তাকে জাগ্রত করতে পারেন, মনোরাজ্যের ঐশ্বর্যের সন্ধান দিতে পারেন, তার জ্ঞান পিপাসাকে জ্বলন্ত করতে পারেন, এর বেশি আর কিছু পারেন না। যিনি শিষ্য নিজের মন নিজে গড়ে তোলেন।

যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন এবং অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলেন। সেই শক্তির বলে যে শক্তি বলে নিজের মন, নিজে গড়ে তোলা যায় তাকেই অন্তর্নিহিত শক্তি বলা হয়েছে।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর গ

সারণিতে ‘বই পড়া” প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাব প্রতিফলিত হয়েছে। সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। এক্ষেত্রে লাইব্রেরির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। লাইব্রেরি মানুষের মন ও আত্মার জ্ঞান পিপাসার নিবৃত্তি ঘটায়। এখানেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বচ্ছন্দচিত্তে মানুষ জ্ঞান আহরণ করতে পারে। এ স্বশিক্ষাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষা।

উদ্দীপকের সারণিতে একজন মানুষের প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য বই পড়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেও লেখক বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে নানা যুক্তিপ্রমাণ তুলে ধরেছেন।

লেখক বলেছেন, সুশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই স্বশিক্ষিত… যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসারতা দরকার, যা পাঠ অভ্যাসের মাধ্যমেই কেবল সম্ভব। একজন স্বশিক্ষিত মানুষ সকল নীচতা, স্পর্শকাতরতা, হিংসা-বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে। সে নিজেকে প্রকৃতভাবে চিনতে পারে এবং জানতে পারে। এ কারণে বেশি করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আর বই পড়ার জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাধ্য না হলে যে লোকে বই পড়ে না এ ধারণার অবসান ঘটাতে হবে। তবেই উন্নতি সম্ভব। প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ

সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে সারণির ধাপগুলো অপরিহার্য। সমাজের যে সব ব্যক্তি স্কুল-কলেজের শিক্ষাই শুধু নয়, স্বীয় অনুসন্ধিৎসা আগ্রহে জ্ঞানের নানা বিষয়ে অবগাহন করেছেন, তারা নিঃসন্দেহে সুশিক্ষিত জনে পরিণত হয়েছেন।

উদ্দীপকে একজন মানুষের সুশিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে যে গুণাবলি অর্জন করতে হয় সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেও স্বশিক্ষিত হওয়ার জন্য বই পড়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সুশিক্ষিত হবার প্রথম শর্ত হলো স্বইচ্ছায় বেশি বেশি নানা ধরনের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

আর লাইব্রেরি হলো সেই স্থান, যেখানে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বচ্ছন্দচিত্তে স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়। প্রত্যেক মানুষই এখানে এসে নানা ধরনের বই পড়ে তার স্বীয় আত্মশক্তি ও রুচি অনুসারে নিজের মনকে তৈরি করে নিতে পারে। আবার পরামর্শ বৃদ্ধির জন্য গুরুর নির্দেশনাও প্রয়োজন। গুরু কেবল একজন শিক্ষার্থীর পথপ্রদর্শক।

সে পথ দেখিয়ে দেয় কিন্তু শিক্ষার্থীকে নিজের অন্তর্নিহিত প্রচ্ছন্ন শক্তি বলে সেই পথ অনুসরণ করে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করে আদর্শ ব্যক্তিতে পরিণত হতে হয়। উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের তুলনামূলক বিশ্লেষণে বলা যায়, সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে হলে স্বশিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। একজনকে স্বেচ্ছায় বই পড়তে হবে।

বই পড়ে মনের প্রসারতার বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। আর লাইব্রেরি হলো সমস্ত জ্ঞানের আধার। সেখানে গিয়ে গুরুর নির্দেশনামত সাহিত্য পাঠ করে নিজের ব্যক্তিসত্তার স্ফুরণ ঘটাতে পারলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায়। তাই বলা যায়, সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে উপর্যুপরি সারণির কাজগুলি এক মাইলফলক।

প্রমথ চৌধুরী রচিত বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তরঃ

প্রশ্ন নং ৫ শিশু সুকান্ত চায় শিল্পী হতে। ছবি আঁকা তার শখ। বাংলার প্রকৃতি তাকে অভিভূত করে রাখে। সবুজ অরণ্য, নীল আকাশ, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা তাকে দিয়ে ছবি আঁকিয়ে নেয়। কিন্তু তার মা-বাবা তাকে সব সময় পড়তে বলে। অঙ্ক, ইংরেজি ও বিজ্ঞান- এর মতো বিষয়গুলোকেই কেবল গুরুত্ব দিতে চায় তারা। এক পর্যায়ে সুকান্ত অস্বাভাবিক প্রকৃতির শিশুর মতো আচরণ করে।

ক. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক কে? )
খ. জাতির আত্মরক্ষার জন্য শিক্ষার উল্টো টান কেন টানতে হবে?
গ. শিক্ষা পদ্ধতির কোন কোন খারাপ দিক উদাহরণ হিসাবে উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে? যুক্তিসহ উল্লেখ করো। |
ঘ. মনের বিরুদ্ধে কোনো শিশুকে শিক্ষাদানের চেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে।—উদ্দীপক এবং পঠিত প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর ক

‘বইপড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরী।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর খ

জাতির আত্মরক্ষার্থে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষার জন্য শিক্ষার উল্টো টান টানতে হবে। আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে ধরনের শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে তা জ্ঞান বিকাশে সহায়ক নয়। শিক্ষকেরা পার্শ্বে লক্ষ্য নিয়েই নোটসর্বস্ব মুখস্তনির্ভর শিক্ষা দিয়ে থাকে, আবার শিক্ষার্থীদেরও পাশের দিকে নজর থাকে বেশি। এতে জাতি দিয়ে দিনে মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জাতির আত্মরক্ষার জন্য শিক্ষার উল্টো টান টানতে হবে ।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর গ

 শিক্ষা পদ্ধতির নোটসর্বস্ব মুখস্তনির্ভরতা এবং শিক্ষার খারাপ দিকগুলো উদ্দীপকে উদাহরণ হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষা মানুষের আত্মাকে উদ্বোধিত করে, মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে। একমাত্র আনন্দের স্বার্থেই মানুষের মন সজীব, সতেজ ও সজাগ হয়ে উঠে। কিন্তু দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় বর্তমান তা একেবারেই নেই ।

যা উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকে আনন্দহীন, পাঠ্যবইনির্ভর মুখস্তবিদ্যার কথা বলা হয়েছে। শিশু সুকান্তর শিল্পী হবার মানসে নিজের সুপ্ত প্রতিষ্ঠা জাগ্রতকরণে প্রকৃতির শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি ঝোঁক থাকলেও তার বাবা-মা দেশের প্রচলিত শিক্ষা-ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব বেশি দেয়ায় এক পর্যায়ে তার সুপ্ত প্রতিভা বিনষ্ট হয়ে যায়।

“বইপড়া’ প্রবন্ধের লেখক শিক্ষার এ ত্রুটিপূর্ণ অবস্থার কথা যৌক্তিকভাবে ধরেছেন। লেখকের মতে, আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবিষয় গেলানো হয়, তাতে জ্ঞানার্জনে সুযোগ একেবারেই সীমিত। তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিক্ষার্থীরা আর কোনো জ্ঞান নির্ভর বই পড়তে চায় না।

ফলে আদর্শ শিক্ষ তাদের কাছে অধরাই থেকে যায়। বর্তমানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দেয়া নোট মুখস্ত করে এবং পরীক্ষার খাতায় ব উগরায়। তাই লেখক এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার পক্ষপাতি নন। এ দিক বিবেচনায় তাই বলা যায়, শিক্ষা পদ্ধতির খারাপ অব নোটসর্বস্ব মুখস্তবিদ্যার দিক উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ

“মনের বিরুদ্ধে কোনো শিশুকে শিক্ষাদানের চেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে” উক্তিটি যথার্থ। একমাত্র আনন্দের স্বর্গেই মানুষের মন সজীব, সতেজ ও সজাগ হয়ে উঠে। মনের দাবি রক্ষা করতে না পারলে মানুষের বাঁচে না। এ জন্য শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে আনন্দনির্ভর ও চিত্তাকর্ষক; যা উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধে প্রতিফলিত হয়েছে।

উদ্দীপকের শিশু সুকান্ত শিল্পী হতে চায়। বাংলার প্রকৃতি তাকে অভিভূত করে রাখে। আপন মনে সে প্রকৃতি বিচিত্র ধরনের শিক্ষা গ্রহণ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু তার বাবা-মা অঙ্ক, ইংরেজি, বিজ্ঞানের মতো পাঠ্য বিষয়গুলো বার বার বলায় তার মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এক পর্যায়ে সে অস্বাভাবিক প্রকৃতির শিশুর মতো আচরণ করে।

বইপড়া’ প্রবন্ধের থেকে নিজে নিজে ধরনের আনন্দহীন জোরপূর্বক গলাধঃকরণ শিক্ষার বিষময় ফলের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে তাতে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে তেমন একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে না। শিক্ষাব্যবস্থায় জাতি দিনে দিনে মেধাশূন্য হয়ে আত্মবিকাশে বাধা পাচ্ছে।

উপরন্ত উদ্দীপক ও ‘বইপড়া’ প্রবন্ধের তুলনামূলক আলোচনায় তাই বলা যায়, যে শিক্ষার সাথে আনন্দের লেশমাত্র নেই সে শিক্ষা শিক্ষা হতে পারে না। জোরপূর্বক মুখস্তনির্ভর শিক্ষায় জাতির আত্মরক্ষা হয় না। ফলশ্রুতিতে জাতি দিনে দিনে মুখ থুবড়ে দহে একথা বলা যায়, উপর্যুক্ত উক্তিটি যথার্থ বলে প্রমাণিত হয়েছে।

 

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button