অন্যান্য

এন আইডি কার্ড সংশোধন | ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য শুরুতেই জাতীয় পরিচয়পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে। তারপর জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে।

তারপর হচ্ছে ফেস ভেরিফিকেশন করে অ্যাকাউন্ট লগইন করতে হবে এবং প্রোফাইলের এডিট বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে আপনান ভোটার আইডি কার্ডটি সংশোধন করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়মঃ

ধাপ ১ঃ অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রার

অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য শুরুতেই জাতীয়পরিচয় পত্রের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে  জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রার করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রার

ধাপ ২ঃ

ভোটার আইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ এবং একটি সিকিউরিটি ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনাকে ভোটার আইডি কার্ডের ঠিকানা যাচাই করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ডের মধ্যে যে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা ছিল ঠিক তাই সঠিকভাবে এন্ট্রি করে দিতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার “বিভাগ, জেলা ও উপজেলা যথাযত এন্ট্রি করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই

ধাপ ৩ঃ মোবাইল নাম্বার যাচাই

এই ধাপে আপনার মোবাইল নাম্বার যাচাই করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড করার সময় আপনি যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছিলেন ঠিক সেই নাম্বারটির কান্ট্রি কোডসহ প্রথমের কয়েকটি সংখ্যা এবং শেষের তিনটি সংখ্যা দেখানো হবে। যদি মনে করেন সেই নাম্বারটি এখন আপনার কাছে আছে তবে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করে দিলেই হবে। অন্যথায় মোবাইল পরিবর্তন বাটনে ক্লিক করে মোবাইল নাম্বারটি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। সর্বোপরি আপনার কাছে থাকা মোবাইল নাম্বারটি এন্ট্রি করে বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করে দিবেন। 

তারপর আপনার মোবাইল নাম্বারে ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে সেটি যাচাই করন কোডের ঘরে বসিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করবেন। মোবাইল নাম্বার যাচাই হয়ে গেলে আপনাকে মুখমন্ডল যাচাই করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
মোবাইল নাম্বার যাচাই

আরো পড়ুনঃ

ধাপ ৪ঃ মুখমন্ডল যাচাই বা ফেস ভেরিফিকেশন

এই ধাপে এসে আপনাকে শুরুতেই NID Wallet নামের একটি অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে হবে। NID Wallet এর মাধ্যমে আপনার বা যার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে চান তার মুখমন্ডল/ফেস ভেরিফিকেশন করেই প্রোফাইলে প্রবেশ করতে হবে। 

ফেস ভেরিফিকেশন করতে আপনার সামনে প্রদর্শিত QR Code টি প্রথমেই  স্ক্যান করুন। এবং নিজরে মুখমন্ডল এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করে যাচাই করতে হবে। NID Wallet দ্বারা ফেস যাচাই সম্পন্ন হলে দুটি বাটন দেখতে পাবেন একটি হলো এড়িয়ে যান অপরটি হলো সেট পাসওয়ার্ড। আপনি যদি পরবর্তীতে কোন ঝামেলা ছাড়াই পূনরায় রেজিষ্ট্রার করতে চান তবে সেট পাসওয়ার্ড এ ক্লিক করে দিবেন। প্রয়োজন না হলে এড়িয়ে যান বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
মুখমন্ডল যাচাই বা ফেস ভেরিফিকেশন

ধাপ ৫ঃ ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন

আপনার মুখমন্ডল বা ফেস ভেরিফিকেশনের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনার সামনে আপনার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য সকল তথ্য দেখতে পাবেন। এখান থেকে আপনি প্রোফাইল বাটনে একটি ক্লিক করে দিবেন। 

এই ধাপে তথ্য পরিবর্তনের জন্য তিনটি প্রধান ক্যাটাগরি রয়েছে। 

  • ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন
  • ঠিকানা পরিবর্তন সংশোধন
  • অন্যান্য তথ্য সংশোধন

এখান থেকে আপনি যে ক্যাটাগরির তথ্য পরিবর্তন করতে চান ঐ ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করে উপর থেকে এডিট বাটনে ক্লিক করে দিবেন। এডিট বাটনে ক্লিক করার পর যে ইন্টারপ্রেস আসবে তা পড়ে নিতে পারেন। অতঃপর বহাল বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন

ধাপ ৬ঃ এডিট প্রোফাইল

এই ধাপে আপনি যা এডিট করতে চান তা সিলেক্ট করে দিবেন। ধরেন আপনি ব্যক্তিগত তথ্য সংশোধন করতে চাচ্ছেন এখন ব্যক্তিগত তথ্যের ক্যাটাগরিতে যা যা পরিবর্তন করা যাবে তা হলো:

  • ব্যক্তির নিজের নাম (বাংলা)
  • ব্যক্তির নিজের নাম (English)
  • জন্ম তারিখ পরিবর্তন
  • জন্ম নিবন্ধন নাম্বার
  • লিঙ্গ
  • জন্মস্থান
  • পিতার নাম সংশোধন (বাংলা)
  • পিতার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার
  • মায়ের নাম সংশোধন (বাংলা)
  • মায়ের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার

এখান থেকে একাধিক তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি যে কয়টি তথ্য পরিবর্তন করতে চান সে কয়টি সিলেক্ট করে দিবেন। এবং সঠিক তথ্যগুলো এন্ট্রি করে দিবেন।  সঠিক তথ্য এন্ট্রি করা হয়ে গেলে আপনাকে উপর থেকে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।

ধাপ ৭ঃ পরিবর্তন

এই ধাপে আপনি যা যা পরিবর্তন করেছেন তা দেখতে পাবেন। পূর্বে যা ছিল এবং যেগুলো পরির্বতন হয়েছে তা সবই আপনি আবারো দেখে নিতে পারেন। যদি মনে করেন সব কিছু ঠিক আছে তাহলে পরিবর্তন বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ধাপ ৮ঃ ট্রানজেকশন

এই ধাপে আপনি দেখতে পাবেন যে, আপনার সংশোধনের ফি কোন অবস্থায় আছে। যদি আপনি ইতিপূর্বে সংশোধন বাবদ ফি জমা দিয়ে থাকেন তবে You have total deposit এ দেখতে পাবেন।

এই ধাপে একটা বিষয় উল্লেখ্য যে, নিচে আপনি দুটি অফশন পাবেন প্রথমটি হলো আবেদনের ধরন অন্যটি হলো বিতরনের ধরন। আপনি  যদি স্মার্টকাড এর তথ্য পরিবর্তন করতে চান তাহলে অবশ্যই স্মার্টকার্ড অফশনটি সিলেক্ট করে দিবেন। তা’নাহলে রেগুলারই থাকবে। deposit বা ফি আদায় করা হয়ে থাকলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৯ঃ কাগজপত্র বা নথি সরবরাহ করুন

কাগজপত্রের ধাপে আপনি শুরুতেই একটি অফশন দেখতে পাবেন যেখানে ডিফোল্ট অবস্থায় ADMIT_CARD লিখা রয়েছে। সেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার সংশোধনি তথ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে দিবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করা হয়ে গেলে আবারো পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

ধাপ ১০ঃ নিশ্চিত করুন/জমা দিন

এই ধাপে আপনার আপলোড করা কাগজগুলো দেখতে পাবেন। যদি মনে করেন যে, সবকিছু ঠিক আছে তাহলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিলেই আপনার কাজ শেষ।

এখন আপনার প্রোফাইলে দেখতে পাবেন একটি ডাউনলোড অফশন রয়েছে। ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আপনার আবেদন পত্রটি ডাউনলোড করে নিবেন। এই পত্রে এতক্ষণ যা সংশোধন করেছেন সবই দেখতে পাবেন। 

আপনার আপলোড করা ফাইল যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে কিছুদিন পর আপনার ফোনে এসএমস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন এই ডাউনলোড করা ফাইলটির অর্জিনাল বা আসল কপিটি নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে নিয়ে যেতে হবে।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আমি আপনাদেরকে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে যথাযতভাবে বুঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button