SSC | বাংলা ১ম পত্র

নবম-দশম | বাংলা ১ম | নিয়তি গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

এসএসসি পরিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ১ম পত্র বইটি থেকে হুমায়ন আহমেদের রচিত নিয়তি গল্পটি হতে কিছূ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আজকের আলোচনা। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ পড়ুন।

নিয়তি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

১. লেখক কী কারণে স্বেচ্ছায় অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন?
উত্তর : লেখক সাহিত্যচর্চার জন্য স্বেচ্ছায় অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন।

২. কীসের ফাঁক দিয়ে কেউটে সাপ বের হয়ে এসেছিল?
উত্তর : মন্দিরের বন্ধ দরজার ফাঁক দিয়ে কেউটে সাপ বেরিয়ে এসেছিল।

৩. ‘তক্ষক’ কী?
উত্তর : তক্ষক একধরনের বিষধর সাপ।

8. ‘কুইনাইন’ কী?
উত্তর : কুইনাইন ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক।

৫. ‘খানদানি’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : খানদানি হলো উঁচু বংশ ।

৬. ‘নিয়তি’ গল্পে সাপ দেখে কার আনন্দের সীমা ছিল না?
উত্তর : ‘নিয়তি’ গল্পে সাপ দেখে লেখকের ছোট ভাই শাহীনের আনন্দের সীমা ছিল না।

৭. মহারাজার বাড়িটি কীরূপ ছিল?
উত্তর : মহারাজার বাড়িটি বিশাল ও প্রাচীন ছিল।

৮. লেখকরা কয় ভাই-বোন ছিলেন?
উত্তর : লেখকরা তিন ভাই-বোন ছিলেন।

৯. ‘শঙ্খনীল কারাগার’ লেখকের কী ধরনের রচনা?
উত্তর : ‘শঙ্খনীল কারাগার’ লেখকের একখানা উপন্যাস ।

১০. হুমায়ূন আহমদ কোন রোগে মারা যান?
উত্তর : হুমায়ূন আহমদ কোলন ক্যান্সারে মারা যান।

১১. মহারাজার বাড়িটি কার হাতে চলে গিয়েছিল?
উত্তর : মহারাজার বাড়িটি পাকিস্তান সরকারের হাতে চলে গিয়েছিল।

১২. লেখক মহারাজার নাম কাকে জিজ্ঞেস করেছিল?
উত্তর : লেখক মহারাজার নাম মাকে জিজ্ঞেস করেছিল।

১৩. ছাপাখানাটির আকৃতি কেমন ছিল?
উত্তর : ছাপাখানাটির আকৃতি মিনি ছিল ।

১৪. মহারাজার ক্ষমতার প্রমাণ বহন করে কোনটি?
উত্তর : মহারাজার ক্ষমতার প্রমাণ বহন করে ছাপাখানাটি।

১৫. প্রতিদিন লেখকের বাবা কী কাঁধে করে যেতেন?
উত্তর : প্রতিদিন লেখকের বাবা বন্দুক কাঁধে করে যেতেন।

১৬. হুমায়ূন আহমেদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

১৭. হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান কোথায়?,
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ থানায়।

১৮. হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নাম কী?
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদের মায়ের নাম আয়শা ফয়েজ।

১৯. হুমায়ূন আহমেদ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।

২০. হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের অদ্ভুত স্বপ্নময় দিনগুলো কোথায় কেটেছে?
উত্তর : হুমায়ূন আহমেদের শৈশবের অদ্ভুত স্বপ্নময় দিনগুলো জগদলে কেটেছে।

২১. জগদলে লেখকরা সপরিবারে কোথায় থাকতেন?
উত্তর : জগদলে লেখকরা সপরিবারে মহারাজার বাড়িতে থাকতেন ।

২২. শৈশবের কোন ঘটনাটি ছিল লেখকের নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার?
উত্তর : লেখকের শৈশবে ম্যালেরিয়া রোগে মৃত্যু ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ।

২৩. ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে লেখকদের কী খাওয়ানো হতো?
উত্তর : ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে লেখকদের বায়োকেমিক ঔষধের পাশাপাশি কুইনাইন খাওয়ানো হতো ।

২৪. ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য লেখকরা প্রতি রোববারে পাঁচ গ্রেন করে কী খেতেন?
উত্তর : ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য লেখকরা প্রতি রোববারে পাঁচ গ্রেন করে কুইনাইন খেতেন ।

২৫., মহারাজার কুকুরটির নাম কী?
উত্তর : জগদলের মহারাজার বাড়িতে থেকে যাওয়া কুকুরটির নাম ছিল বেঙ্গল টাইগার ।

২৬. বেঙ্গল টাইগারকে কীসে করে খাবার দিতে হতো?
উত্তর : বেঙ্গল টাইগারকে থালায় করে খাবার দিতে হতো।

২৭. লেখকের ছোট ভাই শাহীনকে কে রক্ষা করে?
উত্তর : লেখকের ছোট ভাই শাহীনকে বেঙ্গল টাইগার রক্ষা করে।

২৮. বেঙ্গল টাইগারকে লেখকের বাবা কয়টি গুলি করলেন?
উত্তর : বেঙ্গল টাইগারকে লেখকের বাবা দুইটি গুলি করলেন ।

২৯. বেঙ্গল টাইগারকে কে হত্যা করেন?
উত্তর : বেঙ্গল টাইগারকে লেখকের বাবা হত্যা করেন।

৩০. ‘নিয়তি’ গল্পটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর : ‘নিয়তি’ গল্পটি ‘আমার ছেলেবেলা’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

৩১. ‘চাতাল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘চাতাল’ শব্দের অর্থ উঠান।

আরো পড়ুনঃ

নিয়তি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

১. ‘কী আশ্চর্য অনুভূতি’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা লেখকের ম্যালেরিয়া জ্বর আসার সময়ের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করা হয়েছে ।
জগদলে থাকাকালীন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত লেখকের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে জ্বর আসত। জ্বর আসার সময়ে লেখকের প্রচণ্ড শীত লাগত এবং এক আশ্চর্যরকম অনুভূতি লাগত। জ্বর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেখকের দৃষ্টির সামনে প্রতিটি জিনিসের আকৃতি ছোট মনে হতো। এ অদ্ভুত অনুভূতিই আলোচ্য উক্তির মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে ।

২. লেখকরা নিয়ম করে কেন কুইনাইন খেতেন?

উত্তরঃ ম্যালেরিয়া রোগের প্রতিষেধক হিসেবে লেখকরা নিয়ম করে কুইনাইন খেতেন ।
লেখকরা জগদলে থাকা অবস্থায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সে সময়ে ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হিসেবে তেমন কোনো উন্নত ঔষধ আবিষ্কার হয় নি। তাই এ রোগের পরিণতি ছিল অধিকাংশই মৃত্যু। আর তাই এর প্রতিষেধক হিসেবে লেখকরা বায়োকেমিক ঔষধ ছাড়াও প্রতি রবিবারে পাঁচ গ্রেন করে কুইনাইন খেতেন।

৩. লেখক আনন্দ ও আতঙ্কে শিউরে উঠতেন কেন?

উত্তরঃ বন থেকে আসা বিচিত্র শব্দ শুনে লেখক আনন্দ এবং আতঙ্কে শিউরে উঠতেন।
লেখকেরা জগদলে মহারাজার যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ি ছিল বনের ভেতর। সন্ধ্যা হলেই সেই বন থেকে বিচিত্র ধরনের শব্দ আসত। সেই শব্দ শুনে লেখক রোমাঞ্চ অনুভব করতেন এবং আনন্দ এবং আতঙ্কে শিউরে উঠতেন।

৪. জগদলে থাকার সময়কার বিকেলগুলো রোমাঞ্চকর ছিল কেন?

উত্তরঃ জগদলে থাকার সময় প্রতিদিন বিকেলে লেখক তাঁর বাবার সাথে জঙ্গলে বেড়াতে যেতেন বলে বিকেলগুলো রোমাঞ্চকর ছিল। জগদলে থাকার সময় সেখানে স্কুল না থাকায় পড়াশোনার ঝামেলা ছিল না। এছাড়া লেখক তাঁর বাবার সাথে প্রতিদিন বিকেলে বনের পথে ঘুরতে বের হতেন। চিতাবাঘের ভয়ে এসময় লেখক তাঁর বাবার সাথে গুলিভরা বন্দুক থাকত। এরকমভাবে অস্ত্র নিয়ে বনে ঘুরে বেড়াতেন বলেই সে সময়ের বিকেলগুলো লেখকের কাছে রোমাঞ্চকর ছিল।

৫.“বাবা-মা দুজনেই মুখ শুকিয়ে গেল”– কেন?

উত্তরঃ সন্তানের অমঙ্গল আশঙ্কা করে লেখকের বাবা-মা দুজনেরই মুখ শুকিয়ে গেল । জগদলে থাকাকালীন লেখকের একদিন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলো, যা ম্যালেরিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। সে সময় ম্যালেরিয়া ছিল ভয়াবহ এক রোগের নাম। এ রোগে মানুষের মৃত্যু ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। একবার কেউ এ রোগে পড়লে তার জীবনীশক্তি সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যেত। এ কারণে লেখকের বাবা-মার মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল ।

৬. লেখকের ভাই শাহীন সাপের কামড় থেকে কীভাবে রক্ষা পেল?

উত্তরঃ বেঙ্গল টাইগার নিজের জীবন বিপন্ন করে সাপটিকে মেরে ফেলায় শাহীন সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেল । লেখকের ভাই শাহীন সাপের দিকে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে বেঙ্গল টাইগার সাপটির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সাপের ফনা কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে। এর ফলে সাপটির মৃত্যু হয় এবং লেখকের ভাই সাপের কামড় থেকে রক্ষা পায় ।

৭. সাপের কামড়ে কুকুরটির কী অবস্থা হয়?

উত্তরঃ সাপের কামড়ের বিষক্রিয়ায় কুকুরটির গায়ে পচন ধরে। লেখকের ভাই শাহীনকে বাঁচাতে কুকুরটি সাপের ফণা ছিড়ে ফেলে। এসময় কুকুরটি সাপের কামড় খায়। বিষক্রিয়ার কারণে • প্রাথমিকভাবে কুকুরটির নড়াচড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পর দিন তার চামড়া খসে পড়ে এবং দগদগে ঘা দেখা যায়। এর দু’দিন। পর কুকুরটির শরীরের মাংস পচতে শুরু করে।

৮. লেখকের বাবা কুকুরটিকে মেরে ফেললেন কেন?

উত্তরঃ সাপের কামড়ের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত কুকুরটির যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে লেখকের বাবা কুকুরটিকে গুলি করে মেয়ে ফেললেন। লেখকের পোষা কুকুরটি লেখকের ভাই শাহীনকে বাঁচাতে সাপটিকে মেরে ফেললেও নিজে সাপের কামড় বিষক্রিয়ায় একসময় কুকুরটির শরীরের মাংস পচতে শুরু করে। কুকুরটির কাতরধ্বনি এবং কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এমন যুক্তরা থেকে মুক্তি দিতে লেখকের বাবা কুকুরটিকে মেরে ফেললেন।

চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন  ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button