SSC | বাংলা ১ম পত্র

SSC | উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন গল্পটি হতে এসএসসি পরিক্ষায় কমন উপযোগী কিছু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর গুলো নিয়ে আজকের সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

প্রশ্ন ১১ : 

আমার একার আলো সে যে অন্ধকার,
যদি না সবারে অংশ দিতে পারি তার।
সকলের মাঝে বন্ধু সকলের সাথে যাইব কাহারে বল ফেলিয়া পশ্চাতে। সকল সময় সে যে হয় মোর ভাই,
দেরি হোক তবু তারে সঙ্গে নিয়ে যাই।

ক. ‘বোধন-বাঁশি’ কথাটির অর্থ কী?
খ.’কাজেই তোমাদের এই দেশকে, জাতিকে উন্নত করিবার আশা ঐ কথাতেই শেষ হইয়া যায়’-বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন? ১
গ. উদ্দীপকের কথাগুলো প্রবন্ধের যে বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে লেখকের মনের কথাই যেন উদ্দীপকের সারকথা।’-বিশ্লেষণ করো।

১১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘বোধন-বাঁশি’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তরঃ বোধ জাগিয়ে তোলার বাঁশি।

খ. কাজেই তোমাদের এই দেশকে, জাতিকে উন্নত করিবার আশা ঐ কথাতেই শেষ হইয়া যায়’—বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তরঃ ভদ্রসমাজের দেশকে, জাতিকে উন্নত করার আশা কেবল কথাতেই শেষ হয়, বাস্তবায়ন তাদের সাধ্যাতীত—প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা লেখক এ কথায় বোঝাতে চেয়েছেন। আমাদের সমাজের ভদ্র সম্প্রদায় বলে পরিচিত লোকেরা জাতির দুর্গতি বুঝে এবং বুঝাতেও পারে। আবেগ দিয়ে তারা কাঁদাতেও পারে। অর্থাৎ তারা পরিকল্পনা করতে পারে। কিন্তু তাকে কার্যকর করার ক্ষমতা তাদের নেই। কারণ তারা কর্মী নন। সে পরিকল্পনাকে কার্যকর করতে প্রয়োজন শ্রমিক তথা ছোটলোক সম্প্রদায় ৷

গ. উদ্দীপকের কথাগুলো প্রবন্ধের যে বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ

১. উদ্দীপকের কথাগুলো প্রবন্ধের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমাজ উন্নয়ন সম্ভব এই বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

২. কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডই একহাতে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বিশেষ দ্বারা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন সামষ্টিক উদ্যোগ। একক প্রচেষ্টায় কিছুদূর হয়তো যাওয়া যায় কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছা যায় না ।

৩. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, মানুষ সামাজিক জীব, সমাজের সবাইকে সাথে নিয়েই অগ্রযাত্রায় সামিল হতে হয়। দেশের মানুষকে পেছনে ফেলে একা সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করলে সে সাফল্যের সুফল বেশিদিন ভোগ করা যায় না। তাছাড়া সমাজের সবাই একে অপরের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়।

সেখানে কাউকে পেছনে ফেলে একা। কীভাবে সুখ ভোগ করা যায়। তাই সমাজের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে বেশিরভাগ লোকদের অবজ্ঞা করে অবহেলা করে নির্যাতন করে উন্নতির আশা করলে তা হবে আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। এগুতে হবে সবাইকে সাথে নিয়ে। উদ্দীপকেও এ ভাবধারারই প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায়।

घ.‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের লেখকের মনের কথাই যেন উদ্দীপকের সারকথা।’—বিশ্লেষণ করো।

১. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সমষ্টিকে নিয়ে একবার যে প্রত্যয় ব্যক্ত হয়েছে, উদ্দীপকের মূলভাবও তাই।

২. সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে অসাধ্যকে সাধন করতে। তাই সমাজের একটি বৃহত্তর অংশকে ব্যতিরেকে সমাজ উন্নয়নের কথা চিন্তা করাটাই অমূলক। এজন্য সবাইকে ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ কাজ করতে হবে।

৩. লেখক সমাজবিজ্ঞানীর মতো আমাদের সমাজকে পর্যবেক্ষণ করে ব্যথিত বোধ করেছেন। তিনি লক্ষ করেছেন, আমাদের সমাজের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজন রেখা টেনে জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। এর একশ্রেণির লোক ভদ্রসমাজ আরেক শ্রেণি, ‘ছোটলোক’ অভিধায় বিশেষিত। আবার ভদ্রসমাজ কর্তৃক ছোটলোক সমাজ নানাভাবে নিগৃহীত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এর ফলে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। দেশকে, জাতিকে উন্নত করতে হলে এ বিভাজন রেখাকে মুছে ফেলতে হবে দৃঢ় পদক্ষেপে। কারণ ভদ্রসমাজকে স্বীকার করতে হবে তারা কেবল পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারেন কিন্তু তাকে বাস্তবায়ন তাদের কর্ম নয়। বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন তথাকথিত ছোটলোক সমাজ ।

৪. যেহেতু কেবল কথায় কাজ হবে না তাই সবাইকে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি বিরাজ করবে। উদ্দীপকেও বলা হয়েছে, সমাজের প্রতিটি মানুষ একে অপরের পরমাত্মীয়। এখানে সবাইকে নিয়েই সুখের সন্ধান করতে হবে। অতএব দেখা যায়— লেখকের আকাঙ্ক্ষাই উদ্দীপকের মর্মকথা। মুক্তির জন্য চাই ঐক্য, চাই সাম্যমৈত্রীর দৃঢ় বন্ধন ।

প্রশ্ন ১২

সুইপাররা ধর্মঘট করেছে। শহরবাসীদের কাছে শহরটা মনে হচ্ছে নরক। রাস্তায় বেরুবার জো নেই। দু একদিনের মধ্যে ধর্মঘট না ভাঙলে শহর ছেড়ে যেতে হবে। সাহেদ সাহেব কখনো সুইপাররা যে সমাজের জন্য, সভ্যতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে চিন্তা করেন নি। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সমাজ সভ্যতার জন্য তথাকথিত নীচু শ্রেণির মানুষ কেবল প্রয়োজনীয়ই নয়, অপরিহার্যও বটে। তাই এদের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া উচিত।

ক. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের শুরুর কবিতাটি কোন কবির রচনা?
খ. ‘তোমার আত্মা কি শিহরিয়া উঠিবে না?’ কেন?
গ. উদ্দীপকে প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি প্রবন্ধের সমগ্র ভাবের প্রতিনিধিত্ব করে কি? মতামত দাও ৷

১২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের শুরুর কবিতাটি কোন কবির রচনা?

‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের শুরুর কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা ।

খ. ‘তোমার আত্মা কি শিহরিয়া উঠিবে না?’ কেন?

১. প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে লেখক সমাজের অভিজাত শ্রেণির আত্মোপলব্ধির জেগে ওঠার কথা বলেছেন ।

২. আমরা স্রষ্টার কৃপায় কেউ বড় ঘরে কেউ বা ছোট ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি। যারা বড় ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি তারা অন্যদের ছোটলোক বলে অবহেলা, অবজ্ঞা আর অত্যাচারে জর্জরিত করি। কিন্তু বড় ঘরে জন্মগ্রহণ তো আমার কোনো কর্মের পুরস্কার নয়, স্রষ্টার কৃপা। কিন্তু স্রষ্টা যদি আমাকেও চন্ডালের ঘরে পাঠাতেন আর এভাবে অত্যাচারিত, অপমানিত হতাম। তাহলে আমি কী করতাম । লেখক এ উদাহরণের মাধ্যমে আমাদের আত্মোপলব্ধির জগতে ঘা মেরেছেন।

গ. উদ্দীপকে প্রবন্ধের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো ।

১. উদ্দীপকে প্রবন্ধের ছোট লোকদের মর্যাদা ও গুরুত্বের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

২. আমরা যারা স্রষ্টার কৃপায় সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি তারা বেশিরভাগই ধরাকে সরা জ্ঞান করছি। আমরা জন্মসূত্রে ভাগ্যবানরা হতভাগ্যদের নানাভাবে অবহেলায় অপমানে অত্যাচারে জর্জরিত করে তুলছি। আমরা তথাকথিত ছোটলোকদের মূল্য ও মর্যাদা অনুধাবন করতে পারি না।

তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করি। লেখক তাই ভাগ্যবানদের, আভিজাত্যাভিমানীদের ছোটলোকদের অবস্থানে নিজেদের একবার কল্পনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।

৩. উদ্দীপকের সাহেদ সাহেব একজন মানবতাবাদী ব্যক্তি। সুইপারদের ধর্মঘট তার ঘটে সমাজের তথাকথিত ছোটলোকদের সামাজিক গুরুত্ব সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা ঢেলে দিয়েছে। বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, যাদের ছোটলোক বলে নানাভাবে অপমান করা হচ্ছে সমাজের জন্য সভ্যতার জন্য তারা কতটা অপরিহার্য। লেখকের আহ্বানের বাস্তব প্রয়োগ ঘটেছে উদ্দীপকের সাহেদ সাহেবের দ্বারা। উদ্দীপকের সাহেদ সাহেবের দ্বারা ছোটলোকদের গুরুত্ব ও মর্যাদার দিকটি উদ্ঘাটিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত দিকটি প্রবন্ধের সমগ্র ভাবের প্রতিনিধিত্ব করে কি? মতামত দাও ।

১. উদ্দীপকটি ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবেরই প্রতিনিধিত্বকারী।

২. নজরুল ইসলাম সমাজের ভদ্রলোক সম্প্রদায় কর্তৃক ছোটলোকদের অবহেলিত ও অত্যাচারিত হতে দেখে ব্যথিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন এসব ছোটলোকেরাও আমাদের ভাই। তাদেরকে মানুষ ভেবে তাদের ব্যথায় সমব্যথী হবার উদাত্ত আহ্বানজানিয়েছেন।

৩. উদ্দীপকের সাহেদ আর দশজন ভদ্রলোকের মতোই তথাকথিত ছোটলোকদের ব্যাপারে নেতিবাচক মানসিকতা পোষণ করে। আসছিলেন। এদের সামাজিক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন নি বলে মর্যাদার চোখেও কখনো দেখেন নি। কিন্তু সুইপারদের ধর্মঘটের মাধ্যমে তিনি তাদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারলেন। তিনি বুঝতে পালেন, তথাকথিত ছোটলোকেরা কেবল প্রয়োজনীয় নয় অপরিহার্যও বটে।

বাস্তবতা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর প্রবন্ধে মানুষকে ভালবেসেছেন। তিনি এদের দুর্গতি দেখে ব্যথিত বোধ করেছেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন সমাজের ভদ্রলোকদের এ আচরণ অন্যায়। জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই এ দৃষ্টিভঙ্গির আশু পরিবর্তন আবশ্যক।

তথাকথিত ছোটলোকেরা সংখ্যায় অনেক বেশি। এ বৃহত্তর জনশক্তিকে দূরে রেখে সভ্যতার চাকা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাছাড়া এরা ছোটলোক বলেতো কোন অপরাধ করে নি। তাদের অন্তর পবিত্র, আবিলতামুক্ত। তারা কর্মী 1

৪. জাতিকে, সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে দেশের প্রতিটি মানুষকে একই পতাকাতলে সমবেত করতে হবে। এদের মনের মধ্যে শত শত বছর ধরে যে হীনমন্যতা জমা করা হয়েছে তা যত্নের সাথে মুছে দিতে হবে। কাজী নজরুল ইসলামের এটাই প্রত্যশা। উদ্দীপকের সাহেদ সাহেব ও এদের উপযুক্ত মর্যাদার তাগিদ অনুভব করেছেন। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি প্রবন্ধের সামগ্রিক ভাবেরই প্রতিনিধিত্ব করছে।

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

১. নজরুল কোন দৈনিক পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর: সান্ধ্য ‘দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) এর ।

২/ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রাম ।

৩. কাজী নজরুল ইসলাম কোন হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম বর্ধমান ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার দরিরামপুর হাইস্কুলে লেখাপড়া করেন।

৪. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে কোথায় যান?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম ১৭ বছর বয়সে সেনাবাহিনীর বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়ে করাচিতে যান ।

৫. কাজী নজরুল ইসলামকে ‘বিদ্রোহী কবি বলা হয় কেন?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখায় সামাজিক অবিচার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বলে তাঁকে ‘বিদ্রোহী কবি’
বলা হয়।

৬. কাজী নজরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারান?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম তেতাল্লিশ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারান।

৭. কাজী নজরুল ইসলামকে কখন ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর ঢাকায় এনে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

৮. কোন কবিকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়?
উত্তর: কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় কবির মর্যাদায় ভূষিত করা হয়।

৯. কাজী নজরুল ইসলাম এর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখ ।
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম এর কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম হলো-অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ছায়ানট, প্রলয়-শিখা, সিন্ধু-হিন্দোল।

১০. আমাদের অভিজাত সম্প্রদায় হতভাগাদের কী নামকরণ করেছে?
উত্তর : আমাদের অভিজাত সম্প্রদায় হতভাগাদের ‘ছোটলোক’ নামকরণ করেছে।

১১. আমরা কাদের উপেক্ষা করছি?
উত্তর : আমরা তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায় উপেক্ষা করছি।
১২. ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’ প্রবন্ধে সংকলিত রবীন্দ্রনাথের কবিতায় দেশকে কী বলে সম্বোধন করা হয়েছে?
উত্তর : ‘দুর্ভাগা’

১৩. নজরুলের সম্পাদনায় কোন অর্ধসাপ্তাহিক পত্রিকা ছাপা হয়?
উত্তর: ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)।

১৪. নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি?
উত্তর: ব্যথার দান (প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯২২)।

১৫. নজরুল বাংলাদেশের কোন সংগীতের রচয়িতা?
উত্তর: রণসঙ্গীত।

১৬. নজরুল সম্পাদিত ‘লাঙল’ পত্রিকার প্রকাশকাল কত?
উত্তর: ১৯২৫ সাল ।

১৭. নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম কী?
উত্তর: বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী ।

১৮. নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম কী?
উত্তর: মুক্তি।

১৯. নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর: অগ্নিবীণা।

২০. নজরুলের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম কী?
উত্তর: ঝিলিমিলি।

২১. নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর: বিষের বাঁশি।

উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

১. “আমাদের দেশের তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়”-এ কথাটি ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর আমাদের দেশের ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায় বলতে নিম্ন আয়ের মানুষদের বোঝানো হয়েছে।
আমাদের অভিজাত সম্প্রদায় আমাদের দেশের দরিদ্রশ্রেণির নিম্ন আয়ের মানুষদের তথাকথিত ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায় নাম দিয়েছে। তথাকথিত এই ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের পরিশ্রমের ফলেই তারা বড়লোক হয়েছেন, অথচ তথাকথিত এই ‘ছোটলোক’ সম্প্রদায়ের অন্তর কাঁচের ন্যায় স্বচ্ছ যারা জন্ম হতে ঘৃণা, উপেক্ষা পেয়ে নিজেকে ছোট মনে করে । সঙ্কোচে নিজেকে জড়িয়ে রাখে।

২. আমাদের দেশে জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হতে পারছে না কেন?

উত্তর সত্যিকার মানুষদের অবহেলার কারণে দেশে জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হতে পারছে না।
দেশের জনগণ নিয়েই দেশ এবং ব্যক্তির সমষ্টিই জাতি। যদি দেশকে, জাতিকেই সকলে বুঝতে না পারে তাহলে উন্নতি আশা করা যায় না।
দেশের দুর্দশা, জাতির দুর্গতি বুঝতে না পারলে কোন ক্ষেত্রেই অগ্রগতি সম্ভব নয়। এসব কারণেই আমাদের দেশে জনশক্তি বা গণতন্ত্র গঠিত হতে পারছে না।

৩. “ দেখিবে বিশ্ব তোমাকে নমস্কার করিবে”- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর উপেক্ষিতদের পাশে একই প্রাণের বন্ধনে মিলে গেলে বিশ্ব নমস্কার করবে বলে লেখক বলেছেন।
• আমাদের পতিত, চন্ডাল, ছোটলোক ভাইদের বুকে করে তাদের আপন করে নিতে হবে। তাদের মতো পোশাক পরে তাদের প্রাণে আমাদের প্রাণের সংযোগ করে উচ্চ শিরে সম্মুখে এসে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই বিশ্ব নমস্কার করবে।

আরো পড়ুনঃ

চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button