SSC | বাংলা ১ম পত্র

SSC | বাংলা ১ম | মমতাদি গল্পের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মমতাদি গল্পটি হতে এসএসসি (SSC) পরিক্ষায় কমন উপযোগী কিছু গুরুপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মমতাদি গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর

১. প্রশ্ন: মমতাদির বয়স কত?
উত্তর : মমতাদির বয়স তেইশ বছর।

প্রশ্ন : মমতাদি ছেলেটিকে কী খেতে দিয়েছিল?
উত্তর : মমতাদি ছেলেটিকে লেবু খেতে দিয়েছিল ।

৩. প্রশ্ন : মমতাদি কোথায় থাকে?
উত্তর : মমতাদি জীবনময়ের গলির সাতাশ নম্বর বাড়ির একতলায় থাকে।

৪. প্রশ্ন : মমতাদি কত টাকা মাইনে আশা করেছিল?
উত্তর : মমতাদি বারো টাকা মাইনে আশা করেছিল ।

৫. প্রশ্ন: লেখকের কপালে কে চুম্বন করেছিল?
উত্তর : লেখকের কপালে মমতাদি চুম্বন করেছিল।

প্রশ্ন : কে সম্মানে চোখের জল ফেলল?
উত্তর : মমতাদি সম্মানে চোখের জল ফেলল ।

প্রশ্ন : কাকে আস্কারা দিলে জ্বালিয়ে মারবে?
উত্তর : লেখককে আস্কারা দিলে জ্বালিয়ে মারবে।

৮. প্রশ্ন : মমতাদির গালে লেখক কয়টি দাগ দেখতে পেয়েছিলেন?
উত্তর : মমতাদির গালে লেখক তিনটি দাগ দেখতে পেয়েছিলেন।

৯. প্রশ্ন: কবে থেকে মমতাদি’র স্বামীর চাকরি হয়েছে?
উত্তর : ইংরেজি মাসের পয়লা তারিখ থেকে মমতাদির স্বামীর চাকরি হয়েছে।

১০. প্রশ্ন : জীবনময় লেনের পরিবেশ কী রকম?
উত্তর : জীবনময় লেনের পরিবেশ বিশ্রী নোংরা।

১১. প্রশ্ন : মমতাদির ঘরে লেখক কতটি লেবু পেয়েছিলেন?
উত্তর : মমতাদির ঘরে লেখক দু’টি লেবু পেয়েছিলেন।

১২. প্রশ্ন : কার ঘরে বিশৃঙ্খলার অন্ত নেই?
উত্তর : মমতাদির ঘরে বিশৃঙ্খলার অন্ত নেই।

১৩. প্রশ্ন : মমতাদির স্বভাব কেমন ছিল?
উত্তর : মমতাদির স্বভাব ভারি চাপা ছিল ।

১৪. প্রশ্ন : প্রথম দিন মমতাদির পরনে কী রকম শাড়ি ছিল?
উত্তর: প্রথম দিন মমতাদির পরনে সেলাই করা ময়লা শাড়ি ছিল ।

১৫. প্রশ্ন : মমতাদি লেখককে শোবার ঘরে কোথায় বসতে দিল?
উত্তর : মমতাদি লেখককে শোবার ঘরে টুলে বসতে দিল।

১৬. প্রশ্ন : মমতাদির বেতন কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল?
উত্তর : মমতাদির বেতন ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

১৭. প্রশ্ন : ‘মমতাদি’ গল্পে সাতাশ নম্বর বাড়িটি কয়তলা?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে সাতাশ নম্বর বাড়িটি দুইতলা ।

১৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম প্রবোধ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

২১. কাজের জন্য যে এসেছিল তার নাম কী?
উত্তর : কাজের জন্য যে এসেছিল তার নাম মমতা ।

২২. মমতার বাড়িতে কে কে আছে?
উত্তর : মমতার বাড়িতে স্বামী আর এক ছেলে আছে।

২৩. কুটুম গল্পকথকের বাড়িতে কী নিয়ে এসেছিল?
উত্তর : কুটুম গল্পকথকের বাড়িতে রসগোল্লা আর সন্দেশ নিয়ে এসেছিল।

২৪. গল্পকথক মমতাকে প্রথমে কী বলে ডাকল?
উত্তর : গল্পকথক মমতাকে প্রথমে ‘বামুনদি’ বলে ডাকল।

২৫. মমতাদির গালে কিসের দাগ ছিল?
উত্তর : মমতার গালে চড়ের দাগ লেগে ছিল ।

২৬. মমতা লেখককে কোথায় বসালো?
উত্তর : মমতা লেখককে শোবার ঘরে নিয়ে টুলে বসালো ।

২৭. মমতার বাড়িতে কে ঘুমিয়ে ছিল?
উত্তর : মমতার বাড়িতে তার ছেলে ঘুমিয়ে ছিল ।

২৮. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কোথায়?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর অঞ্চলের মালবদিয়া গ্রামে ।

২৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কতগুলো উপন্যাস রচনা করেছেন?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চাশটির অধিক উপন্যাস রচনা করেছেন।

৩০. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অতসীমামী’ কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
উত্তর : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অতসীমামী’ গল্পটি বিচিত্রা পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় ৷

৩১. মমতাদির শোয়ার ঘরে কয়টি জানালা ছিল?
উত্তর : মমতাদির শোয়ার ঘরে দু’টি জানালা ছিল।

৩২. মমতাদির ছেলে রাত্রে ঘুমায়নি কেন?
উত্তর : মমতাদির ছেলে রাত্রে পেটের ব্যথার কারণে ঘুমায়নি।

৩৩. মমতাদি লেখককে মাদুর পেতে কোথায় বসাল?
উত্তর : মমতাদি লেখককে বাইরের রোয়াকে মাদুর পেতে বসাল ।

৩৪. লেখকের মায়ের মায়া বসেছে কার ওপর?
উত্তর : লেখকের মায়ের মায়া বসেছে মমতাদির ওপর।

৩৫. মমতাদি গল্পে মাস্টারের হাতে চড় খেয়েছিল কে?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে মাস্টারের হাতে চড় খেয়েছিল অবনী।

৩৬. ‘মমতাদি’ গল্পে খোকা জীবনময় লেনের নাম কী দিয়েছিল?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পে খোকা জীবনময় লেনের নাম দিয়েছিল যমালয়ের পথ।

৩৭. লেখকের বাড়িতে মমতাদির আগমন ঘটেছিল কোন ঋতুতে?
উত্তর : লেখকের বাড়িতে মমতাদির আগমন ঘটেছিল শীত ঋতুতে।

৩৮. ‘মমতাদি’ গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : ‘মমতাদি’ গল্পটি ‘সরীসৃপ’ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত

মমতাদি গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

১. মমতাদি কেন রান্নার কাজ করতে এল?

উত্তরঃ মমতাদির সংসারে দারুণ অভাব থাকায় সে রান্নার কাজ করতে এল।মমতাদি ভদ্র ঘরের সন্তান এবং তার নিজেরও আত্মসম্মানবোধ আছে। কিন্তু স্বামীর চাকরি না থাকায় সংসারে সুখ ছিল না। এছাড়াও মমতাদির ছেলে খুব অসুস্থ। ফলে সংসারের চাকা সচল রাখার জন্যই মমতাদি রান্নার কাজ করতে এসেছে।

২. লেখকের মা কেন মমতাদিকে কাজ ছাড়তে বলল?

উত্তরঃ লেখকের মা আন্তরিকতার কারণেই মমতাদিকে কাজ ছাড়তে বলল।মমতাদি ভদ্র ঘরের সন্তান এবং তার আত্মসম্মানবোধও আছে। কিন্তু সংসারের দৈন্যের কারণেই সে লোকদের বাসায় কাজ করতে এসেছে। হঠাৎ লেখকের মা শুনল যে মমতাদির স্বামীর চাকরি হয়েছে। এজন্য মমতাদিকে আন্তরিকতার জন্যই লেখকের মা কাজ ছাড়তে বলল। কেননা আমাদের সমাজে অন্যের বাসায় কাজ করে শুনলে কেউ সম্মান দিয়ে কথা বলে না।

৩. ‘সবাই যদি তোমার মত ভালোবাসত – মমতাদির একথা বলার কারণ কী?

উত্তরঃ মমতাদি লেখকের বাড়িতে কাজ নিলে গল্পকথক মমতাদিকে পছন্দ করে এবং তার স্নেহ পেতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে মমতাদির সঙ্গে তার ভাব হয়। গল্পকথকের এ সরল ভালোবাসা মমতাদির শত প্রশান্তির মাঝেও তার মাতৃত্ববে জাগিয়ে তোলে। এজন্য মমতাদি আলোচ্য উক্তিটি করে।

৪. স্বামীর চাকরি হবার পরও মমতাদি গল্পকথকের বাড়ির কাজ ছাড়ল না কেন?

উত্তরঃ মায়ার বন্ধনের কারণে স্বামীর চাকরি হবার পরও মমতাদি কাজ ছাড়ল না।মমতাদির স্বামীর চাকরি হবার কথা শুনে লেখকের মা মমতাদিকে ইচ্ছে হলে কাজ ছেড়ে যাবার কথা বলেন। এতে মমতাদির চোখে জল এসে যায়। সে কাজ করতে চেয়ে বলে তার স্বামীর সামান্য চাকরি, তাতে সংসার চলে না। আসলে সে বাড়তি আয়ের কথা ভেবে নয়। লেখকের পরিবারের সঙ্গে এক নিবিড় বন্ধনের কারণেই মমতাদি কাজ ছেড়ে দিতে চায় না।

৫. মমতাদির কাজ দেখে সকলে খুশি হলো কেন?

উত্তরঃ মমতাদির কাজে নিপুণতা আর আন্তরিকতার ছাপ দেখে সবাই খুশি হলো।মমতাদি গৃহকর্মে ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ। কাজে যোগ দেবার পর থেকেই তিনি নীরবে নতমুখে সব কাজ করতে লাগলেন। কোনো কাজের দিক-নির্দেশ না পেলেও বুদ্ধি খাটিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেন। বিনা আড়ম্বরে তাঁকে নিখুঁতভাবে কাজ করতে দেখে সবাই তাঁর উপর সন্তুষ্ট।

৬. মমতাদি দেখতে কীরকম ছিলেন?

উত্তরঃ মমতাদি ছিলেন তেইশ বছর বয়সের কিশোরী এক নারী। মমতাদির চোখ দু’টি অচঞ্চল। মুখে গাঢ় শ্রান্তির ছায়া। কপালে একটি ক্ষত চিহ্ন। ভাৱি চাপা স্বভাবের। কথা বলে কম। মিষ্টি গলা। চোখে-মুখে স্নেহ ভরা। কাজ করে বুদ্ধি খাটিয়ে শৃঙ্খলা ও ক্ষিপ্রতায়।

৭. পর্দা ঠেলে উপার্জনের জন্য বাইরে এসেছে- কথাটি বুঝিয়ে দেখো।

উত্তরঃ পর্দা ঠেলে উপার্জন কথাটির মাধ্যমে নারীদের বাইরে এসে আয় রোজগার করাকে বোঝানো হয়েছে।মমতা তার স্বামীর চাকরি না থাকায় নিজেই কাজের জন্য বের হয়। তখন মেয়েদের বাইরে কাজ করার প্রথা তেমন ছিল না। কিন্তু মমতা প্রচলিত প্রথার বাইরে এসে কাজ করতে বের হয়। তার সংসারে অভাব ছিল বলে মর্যাদাসম্পন্ন ঘরের নারী হয়েও অপরের বাড়িতে কাজ নিতে হয়। প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা এটাই বোঝানো হয়েছে।

৮. ‘যার অমন মিষ্টি গলা, চোখে মুখে যার উপচেপড়া স্নেহ, তার ব্যবহার এমন রূঢ়।’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ আলোচ্য উক্তিটি মমতাদি গল্পের মমতার আচরণ প্রসঙ্গে করা হয়েছে। মমতা লেখকের বাড়ির কাজের জন্য এসেছিল। কাজ ঠিক হওয়ার পর লেখক তাকে রান্নাঘর দেখাতে চাইলে সে এক সেকেন্ড না দাঁড়িয়ে লেখককে তুচ্ছ করে দিয়ে চলে যায়। এতে লেখক বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন-“যার অমন মিষ্টি গলা, চোখে মুখে যার উপচেপড়া স্নেহ, তার ব্যবহার এমন রূঢ়।”

৯. “কাজগুলিকে সে আপনার করে নিল, মানুষগুলির দিকে ফিরেও তাকাল না’—উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো ।

উত্তরঃ আলোচ্য কথাটি মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। কাজের প্রতি কার ভালোবাসা দেখে।গল্পকথক ছেলেটির প্রত্যাশা ছিল মমতাদি তাকে আপন করে নেবে। কিন্তু ভালেবাসার কোনো লক্ষণ না দেখে তিনি ক্ষুব্ধ হলেন। দুবার খাবার জল চাইল, চার পাঁচ বার রান্নাঘরে মমতার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেও তাকে সে রীতিমতো উপেক্ষা করল। বাড়ির সকলের সাথেই তার এমন ব্যবহার। কিন্তু কাজগুলোকে সে ভালোবেসেই করে গেল ।

১০. ‘ধরা ছোঁয়ায় অতীত শব্দহীন অনুভূতিহীন নির্বিকার বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর ।

উত্তরঃ ‘মমতাদি’ গল্পের উল্লিখিত উক্তিটি দ্বারা মমতার নির্বিকারভাবে নিঃশব্দে কাজ করে যাওয়াকে বোঝানো হয়েছে। মমতার মিষ্টি গলা কিন্তু একটা কথা বলে না। তার চোখ মুখে স্নেহে ভরা কিন্তু তার প্রকাশ তেমন নেই। দুএকটা দরকারি কথা ছাড়া খুব একটা কথা বলে না। সে যেন ছায়াময়ী মানবী। ছায়ার মতোই তার বিচরণ। তাই বলা হয়েছে ধরা ছোঁয়ার অতীত শব্দহীন অনুভূতিহীন নির্বিকার।

১১. ‘আজ প্রথম দেখলাম, সে নিজের মনে হাসছে- কথাটি বুঝিয়ে লেখো ।

উত্তরঃ মমতার গম্ভীর মুখের বাইরে হাস্যোজ্জ্বল মুখটি গল্পকথক খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়ে আলোচ্য উক্তিটি করেছেন। ত গল্পকথক ছেলেটি একদিন বাড়িতে কুটুমের আনা রসগোল্লা আর সন্দেশ গোপনে খাওয়ার সময় মমতার হাতে ধরা পড়ে। মমতা অসুখ হবে বলে ছেলেটিকে খেতে বারণ করে এবং তাকে জল খেতে ডাকে। ছেলেটি এতে মুগ্ধ হয়ে যায়। এতদিন সে রান্নাঘরে তার পাশে বসে যে মুখ দেখেছিল তাতে ছিল না কোনো গম্ভীরতা। এই প্রথম সে দেখল তার মুখ হাসছে।

১২. মমতাদি চোখের জল ফেলল কেন?

উত্তরঃ মমতাদি সম্মানিত হয়ে আবেগে চোখের জল ফেলল । গল্পকথক ছেলেটিকে একদিন মমতাদি আদর করার সময় ছেলেটির মা আসে। মমতাদি ভয়ে ব্রিত হয়ে যায়। মা তখন হেসে বলেন, বেশি আস্কারা না দিতে। ছেলেটির মা চলে গেলে মমতার চোখ দিয়ে দুর্বোধ্য রহস্যঘেরা চোখের জল টপ টপ করে ঝরে পড়ে। চোখের এ জল সম্মানের।

১৩. ‘কারো কাছে যা পাই না, তুমি তা দেবে কেন?” এ কথা মমতা কেন বলল?

উত্তরঃ মমতার গালে চড়ের দাগ দেখে গল্পকথক গালে হাত বুলিয়ে দিতে চাইলে মমতা এ কথা বলে। মমতার গালে চড় মারার কথা গল্পকথক ছেলেটি জিজ্ঞেস করলে তার চোখ পলকহীন হয়ে যায়। বেদনায় মুখ কালো হয়ে যায়। ১. চড় মারার বিষয়টি ছেলেটির কাছে লুকাতে চায়। কিন্তু বিবর্ণ গালে তিনটি রক্তহীন দাগ দেখে তার মন খারাপ হয়ে যায়। সে গালে হাত বুলিয়ে দিতে গেলে মমতা উল্লিখিত উক্তিটি করে। প্রথমক পাচে মুদীনি করা । চিত ক

১৪. ‘মিথ্যে বললে কী হয় খোকা’ মমতা কেন গল্পকথক ছেলেটিকে এ কথা বললো?

উত্তরঃ ক্ষমতা তার কাজ ছেড়ে দেওয়ার কারণ লুকাতে মিথ্যে বলার অপরাধবোধ থেকে গল্পকথককে এ কথা বলে । মমতার স্বামীর চাকরি হয়েছে তবু সে বাড়ির কাজ না ছাড়ার কারণ হিসেবে তার স্বামীর সামান্য চাকরির কথা বলে। আসলে সে মিথ্যে বলেছিল গল্পকথকের পরিবারের সাথে তার মায়ার বন্ধনের বিষয়টি লুকাতে। সে ভালোবাসার বন্ধন ছিন্ন করতে চায় না। কিন্তু শুধু এই ভালোবাসার বন্ধনের কারণেই তো কাজ করা যায় না ভেবে সে স্বামীর সামান্য চাকরি করার ব্যাপারে মিথ্যে বলে।

১৫. মমতাদি ছেলেটিকে ‘বামুনদি’ ডাকতে নিষেধ করল কেন?

উত্তরঃ আত্মসম্মানটুকু বজায় রাখতেই মমতাদি ছেলেটিকে বামুনদি ডাকতে নিষেধ করল।গল্পকথক ছেলেটি একদিন মমতাকে বামুনদি বলে ডাকলে মমতা চমকে উঠে। হাসি বন্ধ করে এমনভাবে তাকাল যেন তাকে গাল দেওয়া হয়েছে। ছেলেটি তাকে আবার বামুনদি বলে ডাকলে সে তার গা ঘেঁষে বসে গম্ভীর মুখে বামুনদি বলে ডাকতে নিষেধ করল তার মা রাগ করতে পারেন এই অজুহাতে। বস্তুত রাঁধুনী পরিচয়টি মমতাদি মেনে নিতে পারছিল না।

১৬. লেখককে বাসায় নিতে মমতাদির অনিচ্ছা প্রকাশের কারণ কী?

উত্তরঃ লেখককে বাসায় নিতে মমতাদির অনিচ্ছা প্রকাশের কারণ বাড়ির পরিবেশ ও সাংসারিক দৈন্য। মমতাদি জীবনময়ের গলির ছোট একটি অন্ধকার ঘরে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাস করে। লেখক অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলে । মমতাদি তাই ভাবে লেখককে নিয়ে গেলে লেখক হয়তো বিরক্ত হবে। দারিদ্র্য আর সংকোচের কারণেই লেখককে বাসায় নিতে মমতাদি অনিচ্ছা প্রকাশ করে।

চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন  ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button