সাধারণ জ্ঞান

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত ৮০ টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | সাধারণ জ্ঞান

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত ৮০ টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আজকের বিশেষ আলোচনা । এই পোস্টে যেসব বিষয় গুলো আলোচনা করা হবে সেগুলো হলো চর্যাপদ, সাহিত্যের আদি যুগ, মধ্য যুগ, আধুনিক যুগ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তরগুলো নিয়ে । সুতরাং সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো নিম্নরুপ:

১. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন/আদি যুগের নিদর্শন-
উত্তরঃ চর্যাপদ’

২. প্রাচীনযুগের সময়কাল- কত খ্রি. পর্যন্ত-
৬৫০-১২০০ খ্রি.

৩. ‘চর্যাপদ’ যে ধর্মাবলম্বীদের সাহিত্য-
উত্তরঃ সহজিয়া বৌদ্ধ ।

৪. বাংলা সাহিত্যের আদি গ্রন্থ ‘চর্যাপদ’-এর রচনাকাল –
উত্তরঃ সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক।

৫. যে রাজবংশের আমলে ‘চর্যাপদ’ রচনা শুরু হয়-
উত্তরঃ পাল।

৬. ‘চর্যাপদ’ যে ছন্দে লেখা-
উত্তরঃ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ।

৭. চর্যাপদের পদগুলো টীকা আকারে ব্যাখ্যা করেন—
উত্তরঃ মুনিদত্ত।

৮. চর্যাপদে খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে
উত্তরঃ ২৩ নং পদ (রচয়িতা : ভুসুকুপা)।

৯. ‘চর্যাপদ’ প্রথম প্রকাশিত হয় কত সালে–
উত্তরঃ ১৯১৬ সালে।(নেপালের রাজ পরিবারের পুথিসালা থেকে)

১০. চর্যাপদের সবচেয়ে প্রাচীন/বাংলা সাহিত্যের আদিকবি-
উত্তরঃ লুইপা (পদ- ২ টি)

১১. চর্যাপদের ভাষাকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী অভিহিত করেছেন-
উত্তরঃ সন্ধা ভাষা/আলো-আঁধারি ভাষা নামে।

১২. চর্যাপদের আবিষ্কারক ড.হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম কী?
উত্তরঃ হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য।

১৩. বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ বলা হয় কোন সময়কালকে ?
উত্তরঃ ১২০১-১৮০০ খ্রি. পর্যন্ত সময়সীমাকে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ ধরা হয়।

১৪. আদি নিদর্শন ও আদিকবি –
উত্তরঃ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য’ মধ্যযুগের আদি নিদর্শন ও আদিকবি বড়ু চণ্ডীদাস।

১৫. মধ্যযুগের সাহিত্যধারা ছিলো কয়টি ও কী কী?
উত্তরঃ : মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের ধারা দুটি। যথা : ১. মৌলিক সাহিত্য এবং ২. অনুবাদ সাহিত্য ।

১৬. বাংলা ভাষার মধ্যযুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়—
উত্তরঃ ১২০১ থেকে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ।

১৭. ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনামলে রাজভাষা ছিল-
উত্তরঃ ফারসি।

১৮. বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিখ্যাত শাসক ছিলেন ।
উত্তরঃ আলাউদ্দীন হোসেন শাহ।

১৯. মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রাচীনতম কবি –
উত্তরঃ শাহ মুহম্মদ সগীর

২০. বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলা হয় কোন সময়কে ?
উত্তরঃ ১২০১-১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে অনেকে বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বা বন্ধ্যা যুগ বলে অভিহিত করেছেন। ব্যাপক নিদর্শন পাওয়া না গেলেও অন্য ভাষার কিছু গ্রন্থের সন্ধান মেলে এই সময়ে। যেমন : ‘শূন্যপুরাণ’, ‘সেক শুভোদয়া।

২১. হিন্দু সমালোচকদের চাপিয়ে দেওয়া দোষ এই অন্ধকার যুগ অন্ধকার যুগ সম্পর্কে মন্তব্যটি –
উত্তরঃ আহমদ শরীফের।

২২. অন্ধকার যুগে আবিষ্কৃত দুটি সাহিত্যকর্ম—
উত্তরঃ ‘শূন্যপুরাণ’ এবং ‘সেক শুভোদয়া ।

২৩. বৌদ্ধধর্মীয় তত্ত্বগ্রন্থ শূন্যপুরাণ’র রচয়িতা কে ছিলেন /
উত্তরঃ রামাই পণ্ডিত ।

২৪. পীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক কাব্য ‘সেক শুভোদয়ার’ রচয়িতা –
উত্তরঃ হলায়ুধ মিশ্র।

২৫. যে শাসকদের সময়কে বাংলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলা হয়—
উত্তরঃ তুর্কি ।

 

বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত ৮০ টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | সাধারণ জ্ঞান
বাংলা সাহিত্য সম্পর্কিত ৮০ টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

 

২৬. ‘শূন্যপুরাণ’ যতটি অধ্যায়ে বিভক্ত—
উত্তরঃ ৫১টি।

২৭. ‘শূন্যপুরাণ’ প্রকাশিত হয়—
উত্তরঃ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ।

২৮. ‘শূন্যপুরাণ’ ও ‘সেক শুভোদয়া যে ধরনের রচনা—
উত্তরঃ চম্পূকাব্য

২৯. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য।

৩০. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা –
উত্তরঃ মধ্যযুগের আদিকবি বড়ু চণ্ডীদাস

৩১.গঠনরীতিতে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য মূলত—
উত্তরঃ নাটগীতি ।

৩২. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যে বড়ায়ি যে ধরনের চরিত্র-
উত্তরঃ রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী ।

৩৩. মধ্যযুগের প্রথম কাব্য-
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।

৩৪. মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন—
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ।

৩৫. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যগ্রন্থ আবিষ্কার করেন—
উত্তরঃ বসন্তরঞ্জন রায়। ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের প্রকৃত নাম- শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ। বসন্তরঞ্জন রায়ের উপাধি- বিদ্বদ্বল্লভ ।

৩৬. মধ্যযুগের সাহিত্যের প্রধান বিষয়বস্তু—
উত্তরঃ ধর্মকেন্দ্রিকতা।

৩৭. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যটি প্রকাশিত হয়—
উত্তরঃ বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে।

৩৮. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচনাকাল-
উত্তরঃ চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দী (১৩৪০-১৪৪০) ।

৩৯. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র—
উত্তরঃ রাধা, কৃষ্ণ ও বড়ায়ি ।

৪০. বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ
উত্তরঃ ১৮০১-বর্তমান

৪১. বাংলা কথ্য ভাষার আদি গ্রন্থের নাম-
উত্তরঃ কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ

৪২. শ্রীরামপুরের মিশনারিরা স্মরণীয় যে জন্য –
উত্তরঃ প্রথম বাংলা মুদ্রণ।

উপমহাদেশের প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়-
উত্তরঃ ১৪৯৮ সালে।

৪৩. বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত—
উত্তরঃ রংপুরে, ১৮৪৭ সালে।

৪৪. বাংলা মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কৃত হয়—
উত্তরঃ ১৮০০ সালে।

৪৫. বাংলা অক্ষরের প্রথম নকশা তৈরি করেন-
উত্তরঃ চার্লস উইলকিন্স।

৪৬. বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক-
উত্তরঃ চার্লস উইলকিন্স ।

৪৭. ইয়ংবেঙ্গল’ আন্দোলনের প্রবক্তা-
উত্তরঃ ডিরোজিও।

৪৮. ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীর মুখপত্ররূপে যে পত্রিকা প্রকাশিত হয়-
উত্তরঃ ‘জ্ঞানান্বেষণ’ ও ‘এনকোয়েরার’।

৪৯. ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ –
উত্তরঃ এর প্রতিষ্ঠা- ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দে। ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ -এর প্রধান লেখক- কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ।

৫০. মুসলিম সাহিত্য সমাজ’-এর মুখপত্র ছিল-
উত্তরঃ শিখা পত্রিকা (১৯২৭)।

৫১. বাংলা গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব-
উত্তরঃ উনিশ শতকে/আধুনিক যুগে।

৫২. বাংলা গদ্যে প্রথম যতিচিহ্ন ব্যবহার করেন-
উত্তরঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

৫৩. বাংলা চলিত রীতির প্রবর্তক-
উত্তরঃ প্রমথ চৌধুরী।

৫৪. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ—
উত্তরঃ ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ ।

৫৫. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যুগ বিভাগ—
উত্তরঃ ৩টি।

৫৬. সবচেয়ে বেশি চর্যাপদ পাওয়া গেছে যে কবির—
উত্তরঃ কাহ্নপা ।

৫৭. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন—
উত্তরঃ দোহাকোষ ।

৫৮. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়—
উত্তরঃ ১৯০৭ সালে।

৫৯. চর্যাপদ যে ছন্দে লেখা—
উত্তরঃ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে ।

৬০. যে কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন—
উত্তরঃ ভুসুকুপা ।

৬১. বাংলা সাহিত্যের আদি কবি—
উত্তরঃ লুইপা।
৬২. চর্যাপদের আবিষ্কারের কাল—
উত্তরঃ ১৯০৭ খ্রি.।

৬৩. চর্যাপদের আদি কবি—
উত্তরঃ লুইপা।

৬৪. ‘চর্যাপদে’ যার পদ সবচেয়ে বেশি—
উত্তরঃ কাহ্নপা।

৬৫. চর্যাপদে যতজন কবির পদ রয়েছে—
উত্তরঃ ২৪ জন।

৬৬. বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন—
উত্তরঃ চর্যাপদ।

৬৭. ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চর্যাপদের ভাষা হচ্ছে
উত্তরঃ বঙ্গ-কামরূপী ।

৬৮. চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় রচিত এটি প্রথম প্রমাণ করেন—
উত্তরঃ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ।

৬৯. চর্যাপদের পদগুলো টীকার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন
উত্তরঃ মুনিদত্ত।

৭০. বাংলা সাহিত্যের আদি গ্রন্থ ‘চর্যাপদ’-এর রচনাকাল –
উত্তরঃসপ্তম থেকে দ্বাদশ শতক

৭১. চর্যাপদে প্রাপ্ত পদের সংখ্যা—
উত্তরঃ সাড়ে ৪৬টি।

৭২. চর্যাপদের মূল নাম কী?
উত্তরঃ চর্যাচর্যবিনিশ্চয় ।

৭৩. চর্যাপদের পদকর্তা হিসেবে পাওয়া যায়—
উত্তরঃ মোট ২৩ জন, মতান্তরে ২৪ জনের পরিচয় ।

৭৪. চর্যাপদের সবচেয়ে বেশি পদের রচয়িতা—
উত্তরঃ কাহ্নপা (১৩টি)।

৭৫. চর্যাপদের আধুনিকতম পদকর্তা—
উত্তরঃসরহপা অথবা ভুসুকুপা ।

৭৬. দ্ব্যর্থক, রূপকাত্মক ও অস্পষ্টতার জন্য চর্যাপদের ভাষাকে —
উত্তরঃ সন্ধ্যা ভাষা বা সান্ধ্য ভাষা বলে ।

৭৭. চর্যাপদের প্রাচীন বাঙালি কবি ছিলেন—
উত্তরঃ শবরপা ।

৭৮. প্রথম বাঙালি কবি হিসেবে পূর্ণাঙ্গ পদ রচনা করেন—
উত্তরঃ লুইপা।

৭৯. চর্যাপদকে ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে দাবি জানিয়েছে—
উত্তরঃ হিন্দি, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষা-ভাষীরা ।

৮০. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন ‘চর্যাপদ’-এর আবিষ্কারক—
উত্তরঃ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

৮১. হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ প্রকাশ পায়—
উত্তরঃ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে।

 

বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পর্কিত ১২০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

 

৮২. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি —
উত্তরঃ মহামহোপাধ্যায়।

৮৩. ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ছিলেন—
উত্তরঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের (১৮ জুন ১৯২১) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

 

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button