কক্সবাজার জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত? (ইতিহাস ও দর্শনীয় স্থান)
বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ভিতরে কক্সবাজার অন্যতম একটি জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগরে এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। কক্সবাজার জেলাটি কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা যাক ।
কক্সবাজার জেলা নামকরণঃ
পালংকি ছিল কক্সবাজারের অতীত নাম। ধারণা করা হয় তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রএকজন সদস্য হিরাম কক্সের নাম অনুসারে কক্স নামটি এসেছে । এখান থেকেই কক্সবাজার নামটি এসেছে অনকেই ধারণা করে থাকে । ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার কে চট্রগ্রাম জেলা থেকে আলাদা করে নতুন একটি জেলায় রুপান্তর করা হয়। ২,৪৯১.৮৬ বর্গ কি.মি. হলো এই জেলার আয়তন । প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এখানে ৯২০ জন বসবাস করে থাকে । এই সকল ধর্মের লোকেরা বসবাস করে থাকে।
এই জেলার অবস্থানঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন জেলা হলো কক্সবাজার জেলা। কক্সবাজার জেলাটির অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে ২০°৩৫´ থেকে ২১°৫৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫০´ থেকে ৯২°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। এই জেলাটির অবস্থান চট্টগ্রাম শহর হতে ১৫২ কি. মি দক্ষিণে। আর ঢাকা শহরে থেকে কক্সবাজারের অবস্থান ৪১৪ কিলোমিটার দূরে। সড়ক ও বিমান উভয় পথে আপনি কক্সবাজার যেতে পারবেন।
কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত খাবার সমুহঃ
দর্শনীয় স্থান হিসেবে কক্সবাজার জেলার যেমন খ্যাতি রয়েছে ঠিক তেমনই খাবার দিক থেকে এই জেলা কোনো অংশে কম নয় । কক্সবাজার জেলার বিখ্যাত খাবার সমুহ গুলো হলোঃ ইলিশ মাছের মালাইকারি, মুন্ডি, লইট্যা ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, চিংড়ি ভাজা, মোচা ভাত, মধু ভাত, বাঁশখালীর খিচুড়ি, চিকেন লাকসু,বৈদ্যনাথ ঝিঙা, কাঁকড়া ভুনা ইত্যাদি ।
কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান সমুহঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন জেলা হিসেবে পরিচিত কক্সবাজার জেলা। এই জেলা প্রতিবছর ছুটির দিন গুলো হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ঘুরেতে আসে এই জেলায়। চলুন জেনে নিই কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ।
১. রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড
২. বার্মিজ বাজার
৩. সোনাদিয়া দ্বীপ
৪. ইনানী সমুদ্র সৈকত
৫. হিমছড়ি
৬. সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
১. রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডঃ
বিনোদন প্রেমীদের জন্য কক্সবাজারের ঝাউতলায় নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড। এই মিউজিয়াম টি তে সমুদ্র ও মিঠা পানির মিলে প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এই জাদুঘরের ভিতরে ঢুকলে মনে হবে আপনি কোন সাগরের তলদেশে আছেন যেখানে সামুদ্রিক ছোট বড় প্রাণী গুলো চলাফেরা করছে।
২. বার্মিজ বাজার
বার্মিজ বাজারটি একজন বর্মী মহিলার হাত ধরে ১৯৬২ সালে তৈরি হয়। প্রথম অবস্থায় এই বাজারটিতে বার্মিজ কাপড়, লুঙ্গি, চাদর, গামছা বিক্রি হতো । পর্যটকদের আনাগোনার ফলে এই বাজারটা ধীরে ধীরে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
৩. সোনাদিয়া দ্বীপ
জীব বৈচিত্র্যের দীপ নামে পরিচিত সোনাদিয়া দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত। উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে এই দীপ্তটির আয়তন ৯ কিলোমিটার।
৪. ইনানী সমুদ্র সৈকত
কক্সবাজার থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইনানী সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটিতে জোয়ার ভাটা অন্যান্য সমুদ্রের তুলনায় অনেকাংশে। জোয়ার ভাটা কম কিসেহওয়ার কারণে দর্শনার্থীদের বেড়ানো সহজ হয়। আপনি চাইলে এখানে বেড়াতে আসতে পারেন।
৫. হিমছড়িঃ
আপনি যদি কখনও কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন তাহলে কক্সবাজার থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি।এখানে আপনি যেটা দেখতে পাবেন মেরিন ড্রাইভ রোড, শীতল ঝর্ণার পানি, বিত্তীর্ণ সমুদ্রের জলরাশির পানি।
৬. সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
কক্সবাজার থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা প্রবাল দ্বীপ এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এটির আয়তন প্রায় ১৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্রের মাঝে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে ওঠা এই দ্বীপটি অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।এই দ্বীপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ হল সারি সারি গড়ে তোলা নারিকেল গাছগুলো এই দ্বীপের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে। কক্সবাজার বেড়াতে আসলে এই দিকটি ভ্রমণ করতে ভুলবেন না।
সর্বশেষঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে অবস্থিত কক্সবাজার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৈসর্গিক নগর বা সমুদ্র সৈকত নগর। এই সমুদ্র সৈকতটি পর্যটকদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান, যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাগরের তীরের সৌভাগ্যিক দৃশ্য, বালুকাময় রাশি যা ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য পেতে কক্সবাজার হলো ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনন্য একটি উদাহারণ। এখানে বেড়াতে আসলে আপনার মনটা হারিয়ে কোন একজন অজনায় ।
চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।