অন্যান্য

SSC | Chemistry | রসায়ন | অধ্যায় ২ | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

SSC | Chemistry | রসায়ন | অধ্যায় ২ | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর : এস এস সি পরিক্ষায় কমন উপযোগী রসায়ন বিষয়টির ২নং অধ্যায় হতে গুরুত্বপুর্ণ কিছু জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আজকের বিশেষ আলোচনা ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তরঃ

১। সকল পদার্থ সাধারণত কয়টি অবস্থায় বিরাজ করে?
উত্তরঃ সকল পদার্থ সাধারণত। তিনটি ভৌত অবস্থায় বিরাজ করে কঠিন তরল ও বায়বীয়।

২। কোন ধরনের পদার্থের নিদির্ষ্ট আকার ও আয়তন আছে?
উত্তরঃ কঠিন পদার্থের নিদির্ষ্ট আকার ও আয়তন আছে।

৩। কিসের ভিত্তিতে পদার্থকে এক অবস্থা থেকে অপর অবস্থায় রুপান্তর করা সম্বব?
উত্তরঃ গতিতত্তের ভিত্তিতে তাপশক্তি ব্যবহার করে পদার্থকে এক অবস্থা হতে অপর অবস্থায় রুপান্তর করা সম্ভব।

৪। তরল কোন অবস্থায় গ্যাসে পরিণত হয়?
উত্তরঃ তরলকে তাপ দিলে তা স্ফুটানাঙ্কে পৌছে এবং গ্যাসীয় অবস্থায় পরিণত হয়।

৫। গ্যাসের চাপ কী?
উত্তরঃ কোনো আধারের গায়ে গ্যাসীয় কণাসমূহ যে চাপ প্রদান করে তাকে গ্যাসের চাপ বলে।

৬। কোন পদার্থ নীল লিটমাসকে লাল করে ?
উত্তরঃ অম্লীয় পদার্থ নীল লিটমাসকে কাগজকে লাল করে।

৭। কপার সালফেটের সংকেত লেখ।
উত্তরঃ কাপর সালফেটের সংকেত CuSO4

৮। পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গনেট কোন বর্ণের?
উত্তরঃ পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গনেট বেগুনি বর্ণের।

৯। মোমকে বাতাসের উপস্থিতিতে দহন করলে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর মোমকে বাতাসের উপস্থিতিতে দহন করলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়।

১০। ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় এবং ঠান্ডা করলে তা সরাসরি কঠিনে রুপান্তরিত হয় তবে উক্তপ্রক্রিয়াকে ঊর্ধ্বপতন বলে।

১১। আন্ত আণবিক শক্তি কী?
উত্তরঃ প্রত্যেক পদার্থই অণুর সমন্বয়ে গঠিত। এই অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যে শক্তি বলে অণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ বিদ্যমান তাকে আন্তঃ আণবিক শক্তি বলে।

১২। শুষ্ক বরফ কী?
উত্তরঃ কঠিন কার্বন ডাইঅক্সাইডকে শুষ্ক বরফ বলা হয়।

১৩। তরল স্ফটিক কী?
উত্তরঃ কিছ ু কিছু তাপ প্রয়োগে সরাসির পরিষ্কার তরলে রুপান্তরিত না হয়ে একটি অস্বচ্ছ তরলে পরিণত হয়। এ অব্স্থায় পদার্থটি তরল পদার্থের ন্যায় প্রবাহিত হতে পারে আবার কঠিন স্ফটিকের মতো ত্রিমাত্রিক আণবিক গঠন অর্জন করতে পারে । তাই ্এদেরকে তরল স্ফটিক বলে।

১৪।কঠিন পদার্থ কোন তাপমাত্রায় তরলে পরিণত হয়।
উত্তরঃ কঠিন পদার্থ গলনাঙ্কের তাপমাত্রায় তরলে পরিণত হয়।

১৫। আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি কী?
উত্তরঃ পদার্থের অণুসমূহ পরস্পরকে নিদির্ষ্ট শক্তিতে আকষণ করে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃকণা আকর্ষণ শক্তি বলে।

১৬। তিনটি ঊধ্বপাতিত পদার্থের নাম লেখ।
উত্তরঃ ঊধ্বপতিত হয় এমন তিনটি পদার্থ হল ন্যাপথালিন, আয়োডিন ও কর্পূর।

১৭। মোম কোন ধরনের যৌগ?
উত্তরঃ মোম একটি হাইড্রোকার্বন অর্থাৎ জৈব যৌগ।

১৮। মোমের দহেন ক্ষতিকর গ্যাসটির নাম কী?
উত্তরঃ মোমের দহেন ক্ষতিকর গ্যাসটির নাম কার্বন ডাইঅক্সাইড

১৯। নিঃসরণ কী?
উত্তরঃ বাহ্যিক উচ্চ চাপের প্রভাবে পাত্রের সরু ছিদ্র পথদিয়ে কোনো গ্যাসের সজোরে একমুখী বের হওয়ার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে।

২০। ব্যাপন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মাধ্যমে কঠিন তরল ও গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফুর্ত ও সমভাবে ছড়িয়ে পড়া বা পরিব্যপ্ত ও হওয়াকে ব্যাপন বলে।

SSC | Chemistry | রসায়ন | অধ্যায় ২ | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
রসায়ন | অধ্যায় ২ | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তরঃ

১। আন্তঃ আণবিক শক্তি বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ আন্তঃ আণবিক শক্তিঃ প্রত্যেক পদার্থই অণুর সমন্বয়ে গঠিত। এই অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। যে শক্তি বলে অ ণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ বিদ্যমান তাকে আন্তঃ আণবিক শক্তি বলে।
ব্যাখ্যাঃ পদার্থের অবস্থাভেদে আন্তঃআণবিক কশক্তি তারতম্য ঘটে। যেমন- কঠিন পদার্থের সবচেয়ে বে শি তরলের আন্তঃআণবিক শক্তি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম এবং গ্যাসয়ি পদার্থের সবচেয়ে কম।

২। মোমবাতির দহন কী ধরনের পরিবর্তন ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ মোমবাতির দহন রাসায়নিক পরিবর্তন। মোম বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে CO2 ও জলীয় বাষ্প তৈরি করে। উৎপন্ন CO2 ও জলীয় বাষ্পের ধর্ম মোম ও অক্সিজেনের ধর্ম হতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং মোমবাতির দহন একটি রাসায়নিক পরিবর্তন।

৩। তাপ প্রয়োগের ফলে অণুসমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তরঃ তাপ প্রয়োগের ফলে গতিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণঃ পদার্থ যেসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত সে কণাগুলো যেকোনো তাপমাত্রায় চলাচল করে। পদার্থে র এ শক্তিই গতিশক্তি। তাপ প্রয়োগের ফলে ক্ষুদ্র কণাগুলোর চলাচলের গতি বৃদ্ধি পায়। এ কারণে গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪। গ্যাসকে কীভাবে সিলিন্ডারে রাখা হয়?
উত্তরঃ বিভিন্ন গ্যাসকে চাপ প্রযোগ করে সংকুচিত করার মাধ্যমে তরলে পরিণত করা হয়। এ তরলকে নিদির্ষ্ট আকৃতির সিলিন্ডারে ভরে রাখা হয়। যেমন প্রাকৃতিক গ্যাসকে চাপ প্রয়োগ করে সিএনজিতে পরিণত করে যানবাহনের জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয।

৫। তাপমাত্রা বাড়ালে ব্যাপনের হার বাড়ে কেন?
উত্তরঃ কোনো মাধ্যমে কঠিন তরল বা গ্যাসের কোনো জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে। কোনো পদার্থের ব্যাপনের হার তার ভর ও আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের ওপর নির্ভরশীল। আন্তঃআণবিক আকর্ষণ তথা ঘনত্ব কম হলে ব্যাপন দ্রুত হয় অর্থাৎ ব্যাপন হার বেশি হয়। তাপমাত্রা বাড়ালেও বস্তুর আন্তঃকণা আকর্ষণ কমেগিয়ে ব্যাপন হার বেড়ে যায়।

৬। NH3 এবং HCI এর মধ্যে কোনটির ব্যাপনের হার বেশি এবং কেন?
উত্তরঃ কোন বস্তুর ব্যাপনের হার বলতে আমরা বুঝি বস্তুটি কোনো মাধ্যমে প্রতি একক সময়ে কতটুকু ছড়িয়ে পড়েছে। যে বস্তর ঘনত্ব তথা আণবিক কভর কম তার ব্যাপনের হার বেশি। আর যার আণবিক ভর বেশি তার ব্যাপনের হার কম। NH3
এবং HCI এর মধ্যে NH3 আণবিক ভর (17) কম আর HCI এর আণবিক ভর (36.5) বেশি। সুতরাং NH3 এর ব্যাপনের হার HCI অপেক্ষা বেশি।

৭। গ্যাসের অণু ইচ্ছামতো চলাচল করতে পারে কেন?
উত্তরঃ তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে একই পদার্থ তিনটি ভৌত অবস্থায় থাকতে পালে। যথা কঠিন তরল ও বায়বীয় । এদেরকে গ্যাসীয় পদার্থের কণাগুলোর আন্তঃকণা আকর্ষন বল সবচেয়ে কম থাকে। এদের মধ্যে আন্তঃকণা আকর্ষন বল কম কারণে এরা ইচ্ছামত চলাচল করতে পারে।

৮। আয়োডিনকে উদ্বায়ী পদার্থ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ যেসব পদার্থ তাপ দিলে কঠিন অব্স্থা থেকে সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় বা তাপসরিয়ে নিলে গ্যাসীয় অবস্থা থেকে কঠিন পরিণতহয় তাদেরকে উদ্বায়ী পদার্থ বলে। এসব পদার্থে তরর দশা অনুপস্থিত। আয়োডিনে তা দিলে তা কঠিন থেকে সরাসরি বাষ্পে পরিনথ হয়। এজন্য আয়োডিনকে উদ্বীয় পদার্থ বলা হয়।

৯। কণার গতিশক্তি ও পদার্থের অবস্থার সম্পকেৃ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কণাসমূহ যত তাপ অজর্ন করে তাদের গতিশক্তি তত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে গতিশক্তি বৃিদ্ধ পাওয়ায় আন্তঃআণবিক দুরত্ব বৃদ্ধি পায় ও আন্তঃ আণবিক বল হ্রাস পায় । ফলে পদার্থটি কঠিন থেকে তরলএবং আরো তাপ প্রয়োগে তরল হতে গ্যাসে পরিণত হয়। অথার্ৎ কণার গতিশক্তি যত বৃদ্ধি পেতে থাকে পদার্থ তত কঠিন থেকে তরল হয়ে গ্য াসে পরিণত হতে থাকবে।

১০। অপেক্ষা CO2 এর ব্যাপন কাল বে শি থাকে?
উত্তরঃ ব্যাপন বস্তুর ভর ও ঘনত্বের ওপর নির্ভরশীল। বস্তুর ভর বেশি হলে ব্যাপন হার কম অথার্ৎ ব্যাপন সময় বেশি হবে। হাইড্রোজেন H2 আণবিক ভর= 1*2=2 কার্বন ডাইঅক্সাইডের CO2 আণবিক ভর=12+16*2=44 সুতরাং হাইড্রোজেনের তুলনায় কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভর বেশি হওয়ায় ইহার ব্যাপন হার কম অথার্ৎ ব্যাপন সময বেশি লাগবে।

১১। তাপ প্রয়োগে পদার্থের আয়তন বাড়ে ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পদার্থ মাত্রই অনেকগুলো অণুর সৃষ্টি । পদার্থকে তাপ দিলে বা তাপ প্রয়োগ করলে অনুগুলো গতিপ্রাপ্ত হয় এবং এদের মধ্যে আন্তঃআনবিক দূরত্ব বেড়ে যায়। ফলে পদার্থের আয়তন বেড়ে যায়।

১২। আয়োডিনকে তাপ দিলে তা সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি আয়োডিন একটি ঊধ্বপাতী পদার্থ। এটি তিনটি অবস্থার পরিবর্তে দুটি অবস্থা প্রদর্শন করে। তাই আয়োডিনকে তাপ দিলে তা তরলে পরিণত না হয়ে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়।

১৩। বরফ গলনের সময় এর তাপমাত্রা পরিবর্তন হয় কেন?
উত্তরঃ বরফ ও পানি একই পদার্থের দুটি ভৌত অবস্থা। বরফ কঠিন এবং পানি তরল। ফলে বরফের মধ্যে পানি অপেক্ষা আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি থাকে। বরফ গলনের সময় তাপমাত্রা বাড়ে না কারণ তখন এ তাপ বরফ গলনে ব্যবহৃত হয়ে যায। ফলে তাপ দিলেও থার্মোমিটার বরফ গলন শেষ না হওয়া পয়ন্ত তাপ অপরিবতির্ত থাকে। এজন্য বরফ গলনের সময় পর্যন্ত তাপমাত্রায় পরিবর্তন হয় না।

১৪। তরলের বাষ্পীভবন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কোনো তরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। দুটি পদ্ধতিতে তরলের বাষ্পীভবন সম্পন্ন হয়। পদ্ধতি দুটি হল বাষ্পীকরণও স্ফুটন। বাষ্পীকরণ প্রক্রিয়া যেকোনো তাপমাত্রায় ঘটে। এক্ষেত্রে তরলের উপরিতল থেকে পানি ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হয়। অন্যদিকে স্ফুটন নিদির্ষ্ট তাপমাত্রায় ঘটে। এক্ষেত্রে তরলের সমস্ত অংশ থেকে দ্রত বাষ্প উৎপন্ন হয়।

১৫। নিঃসরণের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তরঃ নিঃসরণের তিনটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল
ক. এটি অধিক চাপের ফলে সংঘটিত হয় এবং দ্রতগতিতে ঘটে
খ. এক্ষেত্রে গ্যাস পাত্রের ভেতরে ও বাইরে চাপ সমান থাকে না।
গ. এ প্রক্রিয়াটি স্বল্প স্থায়ী।

১৬। কঠিন পদার্থকে হাত দিয়ে চেপে পিষ্ট করা যায় না কেন?
উত্তরঃ আন্তঃআণবিক শক্তি খুববেশি হওয়ায় কঠিন পদার্থগুলো সাধারণত খুব গাঢ়। কঠিন পদার্থের অণুগুলো এত কাছাকাছি থাকে যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে এদের স্থান পরিবর্তন সম্ভবনয়। তাই কঠিন পদার্থকে হাত দিয়ে চেপে পষ্টি করা যায় না।

প্র্যাকটিস অংশঃ-

(ক) জ্ঞান ও (খ) অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ

১. সকল পদার্থ সাধারণত কয়টি অবস্থায় বিরাজ করে?
২. কোন ধরনের পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে?
৩. কিসের ভিত্তিতে পদার্থের এক অবস্থা থেকে অপর অবস্থায় রূপান্তর করা সম্ভব?
৪. তরল কোন অবস্থায় গ্যাসে পরিণত হয়?
৫. গ্যাসের চাপ কী?

৬. কোন পদার্থ নীল লিটমাসকে লাল করে?
৭. কপার সালফেটের সংকেত লেখ।
৮. পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানে কোন বর্ণের?
৯. ব্যাপন ও নিঃসরণ কীসের ওপর নির্ভরশীল?
১০. মোমকে বাতাসের উপস্থিতিতে দহন করলে কী উৎপন্ন হয়?

১১. ঊর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
১২. আন্তঃআণবিক শক্তি বলতে কী বোঝায়?
১৩. মোমবাতির দহন কী ধরনের পরিবর্তন? ব্যাখ্যা কর।
১৪. তাপ প্রয়োগের ফলে অণুসমূহের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায় কেন?
১৫. গ্যাসকে কীভাবে সিলিন্ডারে রাখা হয়?

১৬. তাপমাত্রা বাড়ালে ব্যাপনের হার বাড়ে কেন?
১৭. NH3 এবং HCI এর মধ্যে কোনটির ব্যাপনের হার বেশি এবং কেন?
১৮. কণার গতিশক্তি ও পদার্থের অবস্থার সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।
১৯. H2 অপেক্ষা CO2 এর ব্যাপন কাল বেশি কেন?
২০. রান্নার জন্য সিলিন্ডারের গ্যাসে কোন কোন পদার্থ মিশ্রিত থাকে ব্যাখ্যা কর।

২১. এ মহাবিশ্বের সবকিছুকে কয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কি কি?
২২. পদার্থ কাকে বলে? পদার্থ কয় অবস্থায় থাকতে পারে-ব্যাখ্যা কর।
২৩. কণার গতিতত্ত¡ বলতে কী বুঝ? – ব্যাখ্যা কর।
২৪. তাপের প্রভাবে একটি পদার্থকে কিভাবে ভিন্ন অবস্থায় রূপান্তর করা যায় – বর্ণনা কর।
২৫. ব্যাপন বলতে কী বুঝ? একটি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।

২৬. নিঃসরণ বলতে কী বুঝ? একটি উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা কর।
২৭. ব্যাপন ও নিঃসরণ বস্তুও ভর ও ঘনত্বের উপর নির্ভরশীল কথাটি- ব্যাখ্যা কর।
২৮. ব্যাপন ও নিঃসরণ এর ক্ষতিকর দিক গুলো লিখ।
২৯. পদার্থের তিনটি অবস্খাই এক সাথে দেখা যায় তা একটি বাস্তব ঘটনার আলোকে ব্যাখ্যা কর।
৩০. গলন ও গলনাংক বলতে কী বুঝ?

৩১. পদার্থের গলন নির্দিষ্ট চাপে ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে – ব্যাখ্যা কর।
৩২. স্ফুটন ও স্ফুটনাংক বলতে কী বুঝ?
৩৩. পদার্থের স্ফুটন নির্দিষ্ট চাপে ও নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তা একটি পরীক্ষার সাহায্যে – ব্যাখ্যা কর।
৩৪. উর্ধ্বপাতন কাকে বলে?
৩৫. উর্ধ্বপাতিত পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
৩৬. আয়োডিন, কর্পূর, ন্যাপথালিন, কঠিন CO2 কে উর্ধ্বপাতিত পদার্থ বলা হয় কেন?

 

 

প্র্যাকটিস অংশঃ-

সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্নঃ

প্রশ্ন ১.
(ক) পদার্থ কী?
(খ) পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয় কেন?
(গ) চিত্র-৩ এর ওপর তাপের প্রভাব বর্ণনা কর।
(ঘ) আন্তঃআণবিক শক্তি এবং গতিশক্তিই চিত্রের অবস্থাগুলো সৃষ্টির মূল কারণÑ যুক্তিসহ তোমার ধারণা লেখ।

প্রশ্ন ২. রেহানা রেফ্রিজারেটর থেকে এক প্যাকেট দুধ পাত্রে নিয়ে তাপ দিল। সে যখন দুধ রেফ্রিজারেটর থেকে নিয়েছিল, তখন তা কঠিন অবস্থায় ছিল। সে লক্ষ করল তাপ দেওয়ার সময় পাত্র থেকে বাষ্প বেরিয়ে যাচ্ছে। সে এ সময় পদার্থের বিভিন্ন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করল।
(ক) কোন ধরনের পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি সবচেয়ে বেশি?
(খ) তাপ প্রয়োগে পদার্থের আয়তন বাড়েÑ ব্যাখ্যা কর।
(গ) রেহানার পর্যবেক্ষণকৃত অবস্থাগুলো সম্পর্কে কী ধারণা পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) তাপের সাথে উদ্দীপকের অবস্থার সম্পর্ক বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৩. মাহিন পরীক্ষাগারে কক্ষ তাপমাত্রায় তিনটি বদ্ধপাত্রে তিন প্রকৃতির যৌগ দেখল। সে দেখল তিনটি পাত্রের গায়ে লেখা আছে A যৌগ (স্ফুটনাঙ্ক -৫৭ ডিগ্রী সে.), B যৌগ (স্ফুটনাঙ্ক ১৪১৩ ডিগ্রী সে.) এবং C যৌগ (স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রী সে.)। সে তা থেকে যৌগ তিনটির প্রকৃতি শনাক্ত করল।
(ক) আন্তঃআণবিক দূরত্ব কী?
(খ) হাইড্রোজেনের তুলনায় নাইট্রোজেনের ব্যাপন হার বেশি কেন?
(গ) যৌগ তিনটির স্ফুটনাঙ্কের ভিন্নতার কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) একই পরিমাণ চাপ প্রয়োগে উদ্দীপকের যৌগগুলোর অবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন হতে পারে? যুক্তি সহকারে বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৪. রায়হান বাড়িতে প্রবেশ করা মাত্রই কাঠালের গন্ধ পেল। পাকা কাঁঠালের গন্ধ কাঠালের ভিতর থেকে কীভাবে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ল তার মনে এ প্রশ্ন জাগল। সে রসায়ন শিক্ষককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে, তিনি জানান এক্ষেত্রে কাঠালের ভিতর থেকে গন্ধ দুটি প্রক্রিয়ায় তার নাকে এসে পৌঁছেছে।
(ক) নিঃসরণ কী?
(খ) আয়োডিনকে তাপ দিলে তা সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয় কেন?
(গ) শিক্ষকের উল্লেখিত প্রক্রিয়াদ্বয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখ।
(ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত প্রক্রিয়াদ্বয়ের একটি স্বতঃস্ফুর্ত নয়- বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৫. শিপন দুটি টেস্টটিউবে পানি নিয়ে তার একটিতে কপার সালফেট স্ফটিক এবং অপরটিতে পটাশিয়াম ডাইক্রোমিটের স্ফটিক দিল। সে লক্ষ করল টেস্টটিউব দুটিতে রং ছড়িয়ে পড়ছে। তবে একটিতে রং ছড়িয়ে পড়ার হার দ্রæত এবং অন্যটিতে তা ধীরে ঘটে।
(ক) পদার্থের ভৌত অবস্থা কয়টি ও কী কী?
(খ) ন্যাপথলিনকে ঊর্ধ্বপাতী পদার্থ বলা হয় কেন?
(গ) উদ্ধীপকের প্রক্রিয়া সংঘটনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) টেস্টটিউবে কোন যৌগটি দ্রæত ছড়িয়ে পড়বেÑ যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৬. মোমেন একটি কাচের গ্যাসে ধোঁয়া নিয়ে তা পোস্ট কার্ড নিয়ে ঢেকে দিল। এরপর সে আর একটি বায়ুপূর্ণ কাচের গ্যাস পোস্টকার্ডের ওপর উপুড় করে দিল।
(ক) মোমের দহনে ক্ষতিকর গ্যাসটির নাম কী?
(খ) অবস্থাভেদে পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তি ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের পোস্টকার্ডটি সরিয়ে নিলেসৃষ্ট ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সংঘটিত প্রক্রিয়াটির হার বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে- বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৭. নিচে মোমের দহনের একটি বিক্রিয়া দেওয়া হলÑ
মোম + [A] g — [B]g+H2O
(ক) গলনাঙ্ক কাকে বলে?
(খ) বরফ গলনের সময় এর তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় না কেন?
(গ) উদ্দীপকের বিক্রিয়াটি সম্পূর্ণ কর এবং এ সময় যেসব অবস্থার সৃষ্টি হয় তা ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের A ও B এর মধ্যকার ব্যাপন হার তুলনা কর।

প্রশ্ন ৮.
(ক) পানির স্ফুটনাঙ্ক কত?
(খ) তরলের বাষ্পীভবন প্রকৃয়া ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকের প্রকিয়া নিয়ন্ত্রণকারী প্রভাবকসমূহ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের কোন ক্ষেত্রে ব্যাপন হার বেশি হবে? বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ৯.
(ক) তিনটি উর্ধ্বপাতিত পদার্থের নাম লেখ।
(খ) নিঃসরণের তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
(গ) উদ্দীপকের চিত্রের ক্ষেত্রে তাপীয় ও শীতলীকরণ বক্ররেখা কেমন হতে পারে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের পদার্থের পরিবর্তে বরফ নিলে লেখচিত্রে দুটি রেখা বেশি পাওয়া যাবেÑ বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ১০.
(ক) তাপমাত্র কাকে বলে?
(খ) চাপে আয়তনের পরিবর্তন ঘটে কেন?
(গ) উদ্দীপকের অবস্থাসমূহের কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) যেসব শর্তে উদ্দীপকের অবস্থাসমূহের আন্তঃরূপান্তর সম্ভব তা বিশ্লেষণ কর।

প্রশ্ন ১১. মুরাদ এক গ্যাস পানি নিয়ে তাতে দু ফোঁটা নীল ফেলল। সে দেখল কয়েক সেকেন্ডেই তা পুরো পানিতে ছড়িয়ে পড়ল।
(ক) নিঃসরণ কাকে বলে?
(খ) গলনাঙ্ক বলতে কী বুঝ?
(গ) উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি সংঘটনের কারণ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের ঘটনার সাথে নিঃসরণের তুলনামূলক অবস্থা তুলে ধর।

 

চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । লেখাপড়া বিষয়ক অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button