পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ | নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে কি কি লাগে?
একজন মানুষকে বিদেশ ভ্রমণের জন্য সর্বপ্রথম তার একটি পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে, কিভাবে আবেদন করবেন, কত টাকা খরচ হয়, এবং পাসপোর্ট করার নতুন নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাল্লাহ।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
পাসপোর্ট এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটা ছাড়া অন্য কোনো দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আপনাকে অন্য কোন দেশে প্রবেশের পূর্বেই পাসপোর্ট তৈরি করতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় পাসপোর্ট করতে গেলে বিভিন্ন ধরণের দালাল চক্র বা অন্য কোন চক্রের ফাঁদে পড়তে হয়। তাই আপনি যদি কোন দালাল চক্র বা অন্য চক্রের হাতে না পড়তে চান তাহলে ঘরে বসে ই-পাসপোর্ট করতে পারেন। ই পাসপোর্ট করা খুবই সহজসাধ্য এবং দ্রুততম কার্যকরী।
এই পাসপোর্ট গুলোর মেয়াদ পাঁচ থেকে দশ বছর হয়ে থাকে। আপনি ঘরে বসেই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ঘরে বসে আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনার ভোটার আইড কার্ডের (যার জন্য করবেন) দরকার হবে।
আরো একটি কথা বলে রাখা ভালো সেটি হলো আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্যগুলো সঠিক আছে কিনা যাচাই করে নিন। যদি জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কার্ডে কোন ভুল থাকে তাহলে সেগুলোকে সংশোধন করতে হবে। তাই ২০২৩ সালে আপনি কিভাবে নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন সেটা নিয়ে এখন আলোচনা করব।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়মঃ
১. সর্বপ্রথম আপনাকে ই পাসপোর্ট.কম ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে।
২. তারপর Apply Online for e‑Passport অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
৩. আপনি যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকায় ই পাসপোর্ট আবেদন চালু হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করুন।
৪. ই পাসপোর্ট অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটিতে একটি জিমেইল দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে। সাথে ফোন নাম্বার দিতে হবে।
৫. জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে আপনার জন্ম তারিখ, ব্যক্তিগত তথ্য ও পিতা-মাতার নাম দিতে হবে।
৬. সব শেষ তথ্যগুলো যাচাই করার পর Submit Now অপশনটিতে ক্লিক করুন।
৭. সাবমিট শেষ হলে দুইটা জিনিস আপনাকে ডাউনলোড করে নিতে হবে একটা হল সামারি আরেকটা হল আবেদন ফরম।
৮. তারপর পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করুন ব্যাংক চালান বা অনলাইনের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
ই পাসপোর্ট অনলাইন পেমেন্ট:
কোন ঝামেলা ছাড়াই মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসেই ই-পাসপোর্ট পেমেন্টটি দিতে পারবেন। ই-পাসপোর্ট পেমেন্টটি আপনি বেশ কয়েকটি উপায়ে দিতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যখন ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন সবশেষে E-pay নামে একটি অপশন পাবেন।
এই অপশনটিতে ক্লিক করবেন তারপর দেখতে পাবেন ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং নামে বেশকিছু অপশন। এখান থেকে আপনার পছন্দমত যে কোন একটি অপশন বাছাই করে ই-পাসপোর্ট ফি দিতে পাববেন। যে সকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা করার মাধ্যমে এই পাসপোর্ট পেমেন্ট দেওয়া যায় সেগুলোর নাম নিচে দেওয়া হলঃ
১. নগদ
২. বিকাশ
৩. রকেট
৪. উপায়
৫. এম ক্যাস
৬. ট্যাপ
ব্যাংকের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট পেমেন্টঃ
আপনি যদি কোন লাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট দিতে না চান তাহলে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমেও ই-পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন। যে সকল ব্যাংকের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট পেমেন্ট দেয়া যায় সেগুলোঃ
১. সোনালী ব্যাংক
২. ওয়ান ব্যাংক
৩. প্রিমিয়ার ব্যাংক
৪. ট্রাস্ট ব্যাংক
৫. ব্যাংক এশিয়া
৬. ঢাকা ব্যাংক
কার্ডের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট ফি জমাদানঃ
অনলাইন কার্ডের মাধ্যমেও ই পাসপোর্ট ফি জমা দেওয়া যায়। যে সকল কার্ডগুলো ব্যবহার করে এ পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া যায় সেগুলো হলঃ
১. ভিসা কার্ড
২. মাস্টার কার্ড
৩. আমেরিকান এক্সপ্রেস
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কি কি জমা দিতে হবে?
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করার পর সশরীরে আন্তরিক পাসপোর্ট অফিসে যে সকল ডকুমেন্ট আপনাকে জানিয়ে দিতে হবে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
১. ভোটার আইডি কার্ডের ( জাতীয় পরিচয় পত্র) ফটোকপি
২. পাসপোর্ট আবেদনের ফরম বা এপ্লিকেশন ফরম
৩. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করার চালান/ড্রাফট কপি
৪. ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেওয়া নাগরিক সনদপত্র
৫. আপনি যে পেশার সাথে যুক্ত আছেন তার একটি সনদপত্রের ফটোকপি
আমরা চেষ্টা করেছি পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্যগুলো তুলে ধরার। এর ভিতর যদি কোন ধরনের ভুলত্রুটি আপনাদের চোখে পড়ে তাহলে দয়া করে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে বা আমাদের ফেইজবুক পেজে ম্যাজেস এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন আমরা চেষ্টা করব ভুল-ত্রুটি গুলো সংশোধন করার। ইনশাল্লাহ