অন্যান্য

জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর | SSC

জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর | SSC : জীবন বিজ্ঞান বিষয়টির প্রথম অধ্যায় হতে গুরুপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আজকের আলোচনা পর্ব । তাই সকলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক অংশের জন্য সম্ভাব্য প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর (ক-অংশের জন্য) [ কী, কাকে বলে, কোথায়, কোনটি ]

প্রশ্ন-১। বায়োইনফরমেটিক্স কী? [ঢা.বো., সি.বো ২০২০; রা.বো; য. বো. ২০১৯ |
উত্তর: বায়োইনফরমেটিক্স: বায়োইনফরমেটিক্স হলো কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞান। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫

প্রশ্ন-২। হিস্টোলজি কাকে বলে? [ রা.বো. ২০২০; কু.বো. ২০১৯; চ.বো. ২০১৭ |
উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪ [কু.বো. ২০২০]

প্রশ্ন-৩ । এন্ডোক্রাইনোলজি কী?
উত্তর: এন্ডোক্রাইনোলজি হলো ভৌত জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যাতে জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক জ্ঞান আলোচনা করা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪]

প্রশ্ন-৪। ICZN এর পূর্ণরূপ কী? [চ.বো. ২০২০; সি.বো. ২০১৯; দি.বো. ২০১৫
উত্তর: ICZN_ এর পূর্ণরূপ হলো: International Code of Zoological Nomenclature. [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২]

প্রশ্ন-৫। শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে?
[ব.বো. ২০১৯, ব.বো.২০১৬] উত্তর: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭] PART-3 [অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর]

প্রশ্ন-৬। দ্বিপদ নামকরণ কী?
[ঢা.বো. ২০১৭] উত্তর: দ্বিপদ নামকরণ: সাধারণত একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২] [রা.বো. ২০১৭ |

প্রশ্ন-৭। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা কী?
উত্তর:প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা: প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা হল জীববিজ্ঞানের একটি ফলিত শাখা যাতে প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশা নিয়ে আলোচনা করা হয়। [ Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫ [কু.বো. ২০১৭

প্রশ্ন-৮। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লিখ ।
উত্তর: দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম: Copsychus saularis.[Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১৩]

প্রশ্ন-৯। জীববিজ্ঞানের জনক কে?
[য.বো. ২০১৭ ] উত্তর: জীববিজ্ঞানের জনক হলেন এরিস্টটল। [ Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৩]

প্রশ্ন-১০। শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী? দিবো. ২০১৭
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য: শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য মূলত একটাই। তা হচ্ছে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে সঠিকভাবে জানা। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭

প্রশ্ন-১১। জাতীয় ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর: জাতীয় ফুল শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Nymphaea nouchali.
[Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১৩]

প্রশ্ন-১২। ICBN এর পূর্ণরূপ কী?
[কু: বো, ব: বো. ২০১৬ ] [ব: বো, ২০১৬] উত্তর: ICBN এর পূর্ণরূপ হলো International Code of Botanical • Nomenclature. [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা:

১৩] প্রশ্ন-১৩। ভাইরাস কী? কু.বো. ২০১৫] উত্তর: ভাইরাস: ভাইরাস জীব ও জড়ের মাঝামাঝি এক প্রকার জীবাণু যার দেহ প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দিয়ে গঠিত। ভাইরাস অন্য জীবের অভ্যন্তরে বং । বিস্তারে সক্ষম কিন্তু দেহের বাইরে নিশ্চল জড়ের ন্যায় থাকে। [ Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-১৪। মরফোলজিতে কী নিয়ে আলোচনা করা হয়?
উত্তর: মরফোলজিতে জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থানিক বা দৈহিক গঠন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪]

প্রশ্ন-১৫। শারীরবিদ্যা কী?
উত্তর: শারীরবিদ্যা: শারীরবিদ্যা জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈব রাসায়নিক কার্যাদি এবং জীবের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় কাজের বিবরণ আলোচনা করা হয় তাই শারীরবিদ্যা। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪]

প্রশ্ন-১৬। সাইটোলজিতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়?
উত্তর: সাইটোলজিতে জীবদেহের একক কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনা করা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪]

প্রশ্ন-১৭। কিংডম মনেরার জীবগুলোর খাদ্য গ্রহণের পদ্ধতি কী ধরনের ?
উত্তর: এরা প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেটিক বা কেমোসিনথেটিক পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮]

প্রশ্ন-১৮। ফানজাই রাজ্যের জীবদের খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি কীরূপ?
উত্তর: ফানজাই রাজ্যের জীবের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত, এরা শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৯]

প্রশ্ন-১৯। ফানজাই রাজ্যের জীবদের বংশ বৃদ্ধি কী রূপ?

প্রথম অধ্যায় : জীবন পাঠ (সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন-২০। দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: দ্বিপদ নামকরণের মূল লক্ষ্য হলো বৈচিত্র্যময় জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা। [ Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭] প্রশ্ন-২১। মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর: মৌমাছির বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Apis indica [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১৩]

প্রশ্ন-২২। ট্যাক্সোনমি কী?
উত্তর: জীববিজ্ঞান: বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে জীববিজ্ঞান বলে। [ Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৩]

প্রশ্ন-২৩। শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের ধাপ: জীবের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য কতগুলো একক বা ধাপ আছে, সর্বোচ্চ একক হলো জগৎ ও সর্বনিম্ন একক হলো প্রজাতি। একটি জীবকে প্রজাতি পর্যন্ত বিন্যাসের ক্ষেত্রে মূলত ৭টি ধাপ আছে। ধাপগুলো হলো: জগৎ (Kingdom),

প্রশ্ন-২৪। ফলিত শাখা বলতে কী বোঝ ?
উত্তর: জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখাগুলো হল- ১. অঙ্গসংস্থানবিদ্যা ২. শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা বা ট্যাক্সোনমি ৩. শারীরবিদ্যা ৪. হিস্টোলজি ৫. ভ্রূণবিদ্যা ৬. কোষবিদ্যা ৭. বংশগতিবিদ্যা বা জেনেটিক্স ৮. বিবর্তনবিদ্যা ৯. বাস্তুবিদ্যা ১০. এন্ডোক্রাইনোলজি ১১. জীবভূগোল। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪] উত্তর: ফলিত শাখা: জীববিজ্ঞানের মৌলিক শিক্ষার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কল্যাণের উদ্দেশ্যে যেসব প্রয়োগিক শাখার সৃষ্টি হয়েছে তাকে ফলিত শাখা বলে । [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-২৫। ফানজাই এর কোষপ্রাচীর কী দিয়ে তৈরী?
উত্তর: ফানজাই এর কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে গঠিত। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা:

প্রশ্ন-২৬। জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখাগুলোর নাম লিখ ।
উত্তর: জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা: জীব সংশ্লিষ্ট প্রয়োগিক বিষয়সমূহ যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। এর শাখাগুলো হল- ১. জীবাশ্মবিজ্ঞান ২. জীবপরিসংখ্যানবিদ্যা ৩. পরজীবীবিদ্যা ৪. মৎস্যবিজ্ঞান ৫. কীটতত্ত্ব ৬. অণুজীববিজ্ঞান ৭. কৃষিবিজ্ঞান ৮. চিকিৎসাবিজ্ঞান ৯. জিন প্রযুক্তি ১০. প্রাণরসায়ন ১১. পরিবেশবিজ্ঞান ১২. সামুদ্রিক জীববিজ্ঞান ১৩. বনবিজ্ঞান ১৪, জীবপ্রযুক্তি ১৫. ফার্মেসি ১৬, বন্যপ্রাণিবিদ্যা ১৭. বায়োইনফরমেটিক্স। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-২৭। কাঁঠালের (জাতীয় ফল) বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর: কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Artocarpus heterophyllus. [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১৩ |

প্রশ্ন-২৮। মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর: মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapiens. [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১৩]

প্রশ্ন-২৯। ফলিত জীববিজ্ঞান কি?
উত্তর: ফলিত জীববিজ্ঞান: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে মানব কল্যাণে সুষ্ঠু প্রয়োগের বিষয় আলোচনা করা হয় তাকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫] উত্তর: ফানজাই রাজ্যের জীবদের বংশবৃদ্ধি ঘটে হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে’। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৯]

প্রশ্ন-৩০। জীবপ্রযুক্তি বিজ্ঞান কী?
উত্তর: জীবপ্রযুক্তি বিজ্ঞান: মানুষ ও পরিবেশের কল্যাণে জীবের ব্যবহারের প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিজ্ঞানই হলো জীবপ্রযুক্তি বিজ্ঞান। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-৩১। জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখাগুলোর নাম লিখ ।
উত্তর: ট্যাক্সোনমি: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের শ্রেণিবিন্যাসের রীতিনীতি আলোচিত হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বলে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৪]

প্রশ্ন-৩২। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি কী?
উত্তর: প্রজাতি: প্রজাতি বলতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে সর্বাধিক মিলনসম্পন্ন একদল জীবকে বোঝায় যারা নিজেদের মধ্যে মিলনে উর্বর সন্তান উৎপাদন করে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১০|

প্রশ্ন-৩৩। বিজ্ঞানী লিনিয়াস তাঁর কোন গ্রন্থে জীবের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন?
উত্তর: বিজ্ঞানী লিনিয়াস তার Species plantarum গ্রন্থে জীবের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২]

 অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর (খ-অংশের জন্য) [কেন, কী বুঝ, কী বুঝায়, পার্থক্য কী, কাজ কী, ব্যাখ্যা কর…]

প্রশ্ন-১। মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন?
উত্তর: মানুষ নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। মানুষের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় মানুষ নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে না। এ কারণে মানুষ হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে। দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। তাই মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১০]

প্রশ্ন-২। মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। [ কুবো. ২০২০] উত্তর: মানুষের আঁকড়ে ধরার উপযোগী হাত এবং ঘ্রাণ অপেক্ষা দৃষ্টিশক্তি বেশি উন্নত হয়। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণেই মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১১]

প্রশ্ন-৩। ইস্ট স্বভোজী নয় কেন? ব্যাখ্যা কর। [চ.বো. ২০২০] উত্তর: যেসব উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে তাদেরকে স্বভোজী বলা হয়। স্বভোজী উদ্ভিদে ক্লোরোপ্লাস্ট উপস্থিত থাকে। কিন্তু ঈস্টে ক্লোরোপ্লাস্ট না থাকায় নিজের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। খাদ্যের জন্য অন্য জীবের উপর নির্ভর করতে হয়। তাই ঈস্ট স্বভোজী না অর্থাৎ পরভোজী। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৯]

প্রশ্ন-৪। মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ ব্যাখ্যা কর। [সি.বো. ২০২০
উত্তর: মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ হলো চওড়া এবং খাড়া কপাল, খুলির হাড় Homo গণের অন্য প্রজাতির তুলনায় পাতলা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উন্নত । তাই মানুষের প্রজাতিকে Sapiens বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১১]

প্রশ্ন-৫। Nostoc কে আদিকোষী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। [সি.বো. ২০২০] উত্তর: Nostoc মনেরা রাজ্যের জীব। মনেরা রাজ্যের জীবকোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে, কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে থাকে। ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে। তাই Nostoc কে আদিকোষী বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮]

প্রশ্ন-৬। ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন? [ব.বো. ২০১৯] অথবা, ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন ? [চ.বো. ২০১৭, দি.বো. ২০১৫] উত্তর: ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলার কারণ : ১. ব্যাকটেরিয়া একটি এককোষী আণুবীক্ষণিক জীব।
২. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকলেও নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়ার পর্দা নেই । ৩. কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা নেই কিন্তু রাইবোজোম আছে ।
প্রোক্যারিওটা বা আদি কোষী জীবের উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বা মনেরা রাজ্যের জীব বলা হয় ।[Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮]

প্রশ্ন-৭। অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন? [কু.বো. ২০১৭] উত্তর: অ্যামিবা প্রোটিস্টা (Protista) রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের কারণে অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত-
১. এককোষী,
২. একক বা কলোনিয়াল (দলবদ্ধ) বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট
৩. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে।
৪. খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে।
৫. মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে।
৬. কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না। (Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮,৯

অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-৮। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বুঝ? [সি. বো. ২০১৬ |
উত্তর: দ্বিপদ নামকরণ: জীবের নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী গণ ও প্রজাতি নামের দুটি পদ ব্যবহার করে জীবের যে নামকরণ হয় তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। এভাবে সৃষ্ট নামকে জীবের বৈজ্ঞানিক নামও বলে। দ্বিপদ নামকরণের নিয়মানুযায়ী মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম- Homo sapiens i [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২] [দিবো. ২০১৬, কুবো. ২০১৫ |

প্রশ্ন-৯। শ্রেণিবিন্যাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাস: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যর উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়। এর মাধ্যমে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭]

প্রশ্ন-১০। জীববিজ্ঞান বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: জীববিজ্ঞান: প্রকৃতিতে সাধারণ জড় পদার্থ ও জীব এই দু’ধরনের বস্তু পাওয়া যায়। আর জীবের জীবন ও গুণাগুণ নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয়। তাকে জীববিজ্ঞান বলে । জীববিজ্ঞান প্রকৃতি বিজ্ঞানের একটি প্রাচীনতম শাখা। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-১১। শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্যগুলো কী কী?
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্যঃ শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো: (১) প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। (২) জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা। (৩) পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা। (৪) সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া । [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭]

প্রশ্ন-১২। ‘ফানজাই’ এর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
উত্তরঃ ফানজাই এর বৈশিষ্ট্য: এরা অধিকাংশ স্থলজ, মৃতজীবী ও পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। এদের খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। এদের ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বৃদ্ধি ঘটে। মিয়োসিস এর মাধ্যমে কোষ বিভাজন ঘটে। উদাহরণ: ঈস্ট, Penicillium, মাশরুম ইত্যাদি। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৯]

প্রশ্ন-১৩। মনেরা রাজ্যের জীবসমূহ কী কী বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে?
উত্তর: মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য: এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল বা মাইসেলিয়াল। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এণ্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নাই, কিন্তু রাইবোসোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেটিক বা কেমোসিনথেটিক (রাসায়নিক সংশ্লেষ) পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮

প্রশ্ন-১৪। কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জীবজাতকে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়? উত্তর: নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে জীবজগৎকে পাচঁটি রাজ্যে ভাগ করা হয়-
১.কোষের DNA ও RNA এর প্রকারভেদ ২. জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য
৩.কোষের সংখ্যা ও
8.খাদ্যাভ্যাস। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭]

প্রশ্ন-১৫। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবদের গঠন বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের গঠন বৈশিষ্ট্য:
১. এরা সুকেন্দ্রিক ও বহুকোষী প্রাণী ।
২. এদের কোষে কোন জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকে না।
৩. প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী ।
৪. এদের দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। | Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১০|

প্রশ্ন-১৬। অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বংশবৃদ্ধি কীভাবে ঘটে?
প্রথম অধ্যায় : জীবন পাঠ (সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর)
উত্তর: অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের প্রাণিরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষের ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রুণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। (Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১০ |

প্রশ্ন-১৭। শ্রেণী বিন্যাসের ধাপগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের ধাপগুলো:-
জগৎ (Kingdom)
পর্ব (Phylum)
বিভাগ (Division)
শ্রেণি (Class)
বৰ্গ (Order)
গোত্র (Family)

প্রশ্ন-১৮। প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের প্রজনন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও ।
উত্তর: প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের প্রজনন: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে । কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না । [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮,৯

প্রশ্ন-১৯। প্রোক্যারিওটা ও ইউক্যারিওটা বলতে কী বুঝ?
উত্তর: প্রোক্যারিওটা: এরা আদি কোষ বিশিষ্ট এককোষী-আণুবীক্ষণিক জীব। এসব কোষে নিউক্লিয়াস কোন পর্দা দ্বারা বেষ্টিত থাকে না। অর্থাৎ সুগঠিত নিউক্লিলাস নেই। যেমন: ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল । ইউক্যারিওটা: এরা প্রকৃত কোষবিশিষ্ট এককোষী বা বহুকোষী জীব । নিউক্লিয়াস সুগঠিত । যেমন: অ্যামিবা, বহুকোষী শৈবাল, Penicillium. [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮]

প্রশ্ন-২০। গণ ও প্রজাতির মধ্যে ২টি পার্থক্য লেখ। উত্তর: গণ ও প্রজাতির মধ্যে পার্থক্য দুটি হলো-
১. গণ হলো দ্বিপদ নামের প্রথম ১. প্রজাতি হলো দ্বিপদ নামের
২. গণ অংশের প্রথম অক্ষর বড়

প্রশ্ন-২১। ক্যারোলাস লিনিয়াসকে দ্বিপদ নামকরণের প্রবর্তক বলা হয় কেন?
উত্তর: সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম জীবের নামকরণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। তাই তিনি Species planterum গ্রন্থে জীবের নামকরণের ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে শ্রেণি, বর্গ, গণ এবং প্রজাতি ধাপগুলো ব্যবহার করেন। তাই ক্যারোলাস লিনিয়াসকে দ্বি-পদ নামকরণের প্রবর্তক বলা হয়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২ |

প্রশ্ন-২২। কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন?
উত্তর: জীববিজ্ঞানের যে বিভাগ তত্ত্বীয় জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে মানবকল্যাণে সুষ্ঠু প্রয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। যেহেতু কীটতত্ত্ব কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে তাই এটিকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয়। | Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৫]

প্রশ্ন-২৩। শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী?
উত্তর: শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য: শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য মূলত একটাই। তা হচ্ছে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে সঠিকভাবে জানা । | Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭ |

প্রশ্ন-২৪। আর এইচ হুইটেকার প্রদত্ত রাজ্যগুলোর নাম লিখ।
উত্তর: হুইটেকার প্রদত্ত রাজ্যগুলোর নাম:
রাজ্য-১ : মনেরা (Monera) রাজ্য-২ : প্রোটিস্টা (Protista)
রাজ্য-৩ : ফানজাই (Fungi)
་.

প্রশ্ন-২৫। ICZN ও ICBN এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর:ICZN: International Code of Zoological Nomenclature. ICBN: International Code of Botanical Nomenclature.

প্রশ্ন-২৬। অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত জীব? রাজ্যটির, অন্তর্ভুক্ত প্রাণিদের কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?
উত্তর: অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত একটি এককোষী জীব । প্রোটিস্টার বৈশিষ্ট্য: এরা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্যগ্রহণ শোষণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে। কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না । [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮

প্রশ্ন-২৭। মারগুলিস এর সুপার কিংডমগুলো কী কী?
উত্তর: মারগুলিস ১৯৭৪ সালে হুইটেকার এর শ্রেণিবিন্যাসের পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন। তিনি সমস্ত জীব জগতকে দুটি সুপার কিংডমে ভাগ করেন। যথা- সুপার কিংডম-১ : প্রোক্যারিওটা (Prokaryota) সুপার কিংডম-২ : ইউক্যারিওটা (Eukaryota) [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৮] @ অনুশীলনীর রচনামূলক প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-২৮। জীবের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা কী?
উত্তর: জীবের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলে। শ্রেণিবিন্যাসের সাহায্যে-
i) এই বিশাল ও বৈচিত্রময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা যায় ৷
হয়।
ii)প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা যায়।.
iii) জীবজগতের বিভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
iv)পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা যায়।
v)প্রতিটি জীবকে সনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা যায়।
vi) জীবজগত ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহ সনাক্ত করা যায় এবং তাদের সংরক্ষণ ও প্রজাতিগত সংখ্যাবৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া যায়। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৭]

২৯ প্রশ্ন-২৬। প্রজাতি কী?

উত্তর: দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি: একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। যেমন গোলআলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum। এখানে Solanum গণ নাম ও tuberosum প্রজাতির নাম, এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের এই প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১২]

পর্ব (Phylum),
বিভাগ (Division),
শ্রেণি (Class),
বর্গ (Order),
গোত্র (Family),
গণ (Genus),
প্রজাতি (Species)। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ১০]

প্রশ্ন-৩০। জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব কী?
উত্তর: জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্বঃ বিজ্ঞানের অন্যতম একটি মৌলিক শাখা জীববিজ্ঞান। এর ইংরেজী পরিভাষা Biology। Biology শব্দটি দুটি ল্যাটিন শব্দ bios অর্থ জীবন এবং logos অর্থ জ্ঞান এর সমন্বয়ে গঠিত। অর্থাৎ জীববিজ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে সম্যক বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায়, বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানব জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। তাছাড়া জীবদেহের বিভিন্ন অংশ ও অঙ্গের গঠন, বিভিন্ন রাসায়নিক কার্যক্রম; পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, পুষ্টি গ্রহণ কিংবা প্রজননের জ্ঞান লাভের ক্ষেত্রেও জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। [Ref: পাঠ্যবই পৃষ্ঠা: ৩]

 

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button