অন্যান্য

বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | SSC

বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | SSC :  এসএসসি পরিক্ষায় আসা কিছু গুরুপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আজকের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের আজকের আলোচনা পর্ব ।

প্রশ্ন নং-১। সিলেট বোর্ড-২০২০

P= এককোষী শৈবাল

R= কাঁঠাল গাছ

S= পেনিসিলিয়াম

Q= নীলাভ সবুজ শৈবাল

(ক) বায়োইনফরমেটিক্স কী?

(খ) মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

(গ) উল্লিখিত S এর রাজ্যের বৈশিষ্ট্য লিখ ।

(ঘ) উল্লিখিত P, Q, R এর মধ্যে কোন রাজ্য বেশি উন্নত বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

বায়োইনফরমেটিক্স হলো কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞান ।

 (খ)-এর উত্তর:

মানুষের প্রজাতি Sapiens বলার কারণ হলো চওড়া এবং খাড়া কপাল, খুলির হাড় Homo গণের অন্য প্রজাতির তুলনায় পাতলা এবং বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে উন্নত। তাই মানুষের প্রজাতিকে Sapiens বলা হয়।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের উল্লিখিত ‘S’ হলো পেনিসিলিয়াম যা ফানজাই রাজ্যের অন্তভূক্ত। নিচে ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো দেওয়া হলো:

১.অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী 1

২. দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত ।

৩. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।

8.কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে গঠিত

৫.খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।

৬. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত এবং এরা পরভোজী।

৭.হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত P হলো ছোট এককোষী শৈবাল যা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এককোষী ‘Q’ হলো ‘নীলাভ সবুজ শৈবাল যা মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। ‘R’ হলো কাঁঠাল গাছ যা প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। এই তিন রাজ্যের বৈশিষ্ট নিচে দেওয়া হলো:

প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য:

১. এরা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল (দলবদ্ধ) বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট ।

২. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA এবং প্রোটিন থাকে ৷

৩. কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে।

৪.খাদ্যগ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে

প্রশ্ন নং ২ঃ মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক, এরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে

৬. কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না ।

মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য:

১. এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল ।

২.কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই ৩. এদের কোষ প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে।

৪. কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় ।

৫. এরা শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে ও কেউ কেউ ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।

প্লানটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য:

১. এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ।

২. এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র রয়েছে।

৩. এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়।

৪. এদের যৌনজনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।

৫. এরা আর্কিগোনিয়েট ও সপুষ্পক উদ্ভিদ।

প্রশ্ন নং ৩. ক্লোরোফিল থাকায় এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে। উপরের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, প্রোটিস্টা, মনেরা ও প্লানটি রাজ্যের মধ্যে প্লানটি রাজ্য সর্বাপেক্ষা উন্নত।

(ক) শ্রেণিবিন্যাসের একক কী?

(খ) বংশগতিবিদ্যাকে, জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?

(গ) চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির নামকরণের ক্ষেত্রে কীভাবে তুমি ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) চিত্র-১ এবং চিত্র-২ এর মধ্যে কোন জীবটি অধিক উন্নত, কারণসহ বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

শ্রেণিবিন্যাসের একক: জীবের শ্রেণিবিন্যাসের জন্য কতগুলো ধাপ আছে, এগুলোকে শ্রেণিবিন্যাসের একক বলা হয়। শ্রেণিবিন্যাসের সর্বোচ্চ একক হলো রাজ্য বা জগৎ ও সর্বনিম্ন একক হলো প্রজাতি।

(খ)-এর উত্তর:

বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলার কারণ: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত জীববিজ্ঞান বলে। বংশগতিবিদ্যা শাখায় জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয় যা একটি তত্ত্বীয় বিষয়। জেনেটিক্সে জীবন সংশ্লিষ্ট কোন প্রয়োগিক বিষয় আলোচিত হয় না, শুধুমাত্র তাত্ত্বিক আলোচনা করা হয়। এ কারণেই জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির নামকরণের ক্ষেত্রে যেভাবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবো তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-

১. উদ্ভিদটির নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করব।

২. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ। প্রথমটি হবে গণের এবং দ্বিতীয়টি প্রজাতির।

৩.উদ্ভিদটির নামকরণে বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষরটি অক্ষরে এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষরে লিখবো; আর দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখবো ।

৪. উদ্ভিদটির নাম মুদ্রণের সময় অবশ্যই ইটালিক অক্ষরে লিখবো।

৫.  উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতি নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিবো।

৬. যিনি উদ্ভিদটির নাম সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন তাঁর নামের সংক্ষিপ্তরূপ বৈজ্ঞানিক নামের শেষে যোগ করবো। যেমন- লিনিয়াসের সংক্ষিপ্ত রূপ হলো L ।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে চিত্র-১ হলো মাশরুম এবং চিত্র-২ হলো দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ। উদ্দীপকের জীব দুটির মধ্যে চিত্র-২ এর জীবটি বা দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ অধিক উন্নত। নিচে এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হলো-

১. মাশরুম অপুষ্পক, কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদটি সপুষ্পক। সপুষ্পক উদ্ভিদ সর্বদাই অপুষ্পক উদ্ভিদ অপেক্ষা উন্নত ।

২. মাশরুম নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদটি সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।

৩. মাশরুম স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদটি যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায় যা উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।

৪. মাশরুমকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না; কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদটিকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় ।

৫. পরিবহণ কলাগুচ্ছ উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। এই পরিবহণ কলাগুচ্ছ মাশরুমে অনুপস্থিত, কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদে উপস্থিত ।

৬. মাশরুমের দেহ নরম, কিন্তু দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদদেহ বেশ শক্ত। শক্ত উদ্ভিদ দেহ উন্নত উদ্ভিদেরই বৈশিষ্ট্য বহন করে।

অতএব উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এটি প্রতিয়মান হয় যে, চিত্র-১ ও চিত্র-২ এর মধ্যে চিত্র-২ অর্থাৎ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ অধিক উন্নত ।

বিগত এসএসসি পরীক্ষার সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন নং-৪ । রাজশাহী বোর্ড-২০২০

(ক) হিস্টোলজি কাকে বলে?

(খ) শৈবাল কীভাবে খাদ্য উৎপাদন করে?

(গ) X ও Y জীব দুটি ভিন্ন সুপার কিংডমের অন্তর্ভুক্ত তাদের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। .

(ঘ) Z যে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সে রাজ্যটি Y রাজ্য থেকে উন্নত——বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে হিস্টোলজি বলে ।

(খ)-এর উত্তর:

শৈবাল একটি সবুজ উদ্ভিদ। সবুজ উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো যে এরা সূর্যালোকের উপস্থিতিতে কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) এবং পানি (H2O) থেকে ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করাজাতীয় খাদ্য উৎপাদন করে। এই প্রক্রিয়ায় আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। সালোকসংশ্লেষণ একটি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া, যেটি এরকম তাই বলা যায়, শৈবাল সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করে।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের ‘X’ ও ‘Y’ জীব দুটি হলো যথাক্রমে Nostoc এবং Penicillium। Nostoc সুপার কিংডম-১ এবং Penicillium সুপার কিংডম-২ এর অন্তর্ভূক্ত। নিচে এদের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করা হলো:

সুপার কিংডম-১

(১) এসব জীবে সুগঠিত নিউক্লিয়াস

(২) এককোষী অনুবীক্ষণিক জীব ।

(৩) এদের খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া মূলত শোষণ।

(৪) কোষ বিভাজন দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় ঘটে।

(৫) অপেক্ষাকৃত অনুন্নত জীব ।

(৬) নীলাভ সবুজ শৈবাল (Nostoc), ব্যাকটেরিয়া এ কিংডমের সদস্য।

সুপার কিংডম-২

(১) এসব জীবে সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত কোষ থাকে না ।

(২) এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে।

(৩) এদের খাদ্য গ্রহণ শোষণ ও গ্রহণ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয় ৷

(৪) কোষ বিভাজন মাইটোসিস ঘটে।

(৫) অপেক্ষাকৃত উন্নত জীব।’

(৬) অ্যামিবা, মাসরুম, ব্যাকটেরিয়া ঈষ্ট, Penicillinum উন্নত সবুজ উদ্ভিদ এ কিংডমের সদস্য।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের ‘Z’ হলো Mangifera indica যা প্লানটি (Plantae) এবং Penicillium ফানজাই (Fungi) রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। প্লানটি রাজ্য ফানজাই রাজ্য থেকে উন্নত। নিচে তা বিশ্লেষণ করা হলো- ফানজাই রাজ্যের অধিকাংশ স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী, দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম (সরু সুতার মতো অংশ) দ্বারা গঠিত। এগুলোর নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং কোষপ্রাচীর কাইটিন নামক বস্তু দ্বারা গঠিত। খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে এবং ক্লোরোপ্লাষ্ট অনুপ্রাস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

অন্যদিকে Mangifera indica প্রকৃত নিউক্লিয়াস যুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। এদের দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভ্রুণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। প্রধানত স্থলজ তবে অসংখ্য জলজ প্রজাতিও আছে। এদের যৌন জনন অ্যানইসোগ্যামাস, অর্থাৎ আকার আকৃতি অথবা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য বিশিষ্ট ভিন্নধর্মী দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এরা আর্কিগোনিয়াম বা স্ত্রীজনন অঙ্গবিশিষ্ট উদ্ভিদ এবং সম্পুষ্পক । উক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, ‘Z’ অর্থাৎ Mangifera indica যে রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত সে রাজ্যটি ‘Y’ অর্থাৎ Penicillium রাজ্য থেকে উন্নত।

বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | SSC
বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন নং-৫। কুমিল্লা বোর্ড-২০২০

জীববিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক নীলাভ সবুজ শৈবাল, এককোষী শৈবাল ও ছাতার ন্যায় একটি পরজীবরি শ্রেণিবিন্যাসগত অবস্থান নিয়ে আলোচনা করলেন ।

(ক) এন্ডোক্রাইনোলজি কী?

(খ) মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পরজীবী রাজ্যের বৈশিষ্ট্য লিখ।

(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম জীব দুটির মধ্যে তুলনামূলক বিশ্লেষণ কর ।

(ক)-এর উত্তর:

এন্ডোক্রাইনোলজি হলো ভৌত জীববিজ্ঞানের একটি শাখা যাতে জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা বিষয়ক জ্ঞান আলোচনা করা হয়।

(খ)-এর উত্তর:

মানুষের আঁকড়ে ধরার উপযোগী হাত এবং ঘ্রাণ অপেক্ষা দৃষ্টিশক্তি বেশি উন্নত হয়। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকার কারণেই মানুষকে Primate বর্গের প্রাণী বলা হয়।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত পরজীবীটি হলো মাশরুম, যার রাজ্য হলো ফানজাই (Fungi)। নিচে এ রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো:

i.এটি ক্লোরোফিলবিহীন অসবুজ ও অপুষ্পক উদ্ভিদ ।

ii.এরা মৃতজীবী এবং স্থলজ ।

Iii. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত ।

iv.এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত ।

V.মাশরুম দেহে কোনো ভাস্কুলার বান্ডল থাকে না।

হ্যাপ্লয়েড স্পোর দ্বারা এরা বংশবৃদ্ধি করে ।

vii. মাশরুম দেহ দুটি অংশে বিভক্ত। যথা- মাইসেলিয়াম এবং ফ্রুটবডি।

viii. মাশরুম দেহে সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন ।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম জীব দুটি হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল এবং এককোষী শৈবাল। নিচে এদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হলো:

সবুজ শৈবাল মনেরা (Monera) রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। এদের দেহ ফিলামেন্টাস (একটির পর একটি কোষ লম্বালম্বিভাবে যুক্ত হয়ে ফিলামেন্ট গঠন করে)। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে প্লাষ্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডাপ্লাজামিক জালিকা ইত্যাদি নেই। কিন্তু রাইবোজোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বি বিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।

অন্যদিকে এককোষী শৈবাল প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA এবং প্রটিন থাকে। কোষে সকল ধরণের অঙ্গনু থাকে। খাদ্য গ্রহণ শোষন গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক এরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে। কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না।

প্রশ্ন নং-৬। রাজশাহী বোর্ড-২০১৯

বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এর পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উম্মোচন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

(ক) বায়োইনফরমেটিক্স কাকে বলে? [১ অধ্যায়]

(খ) জীবপ্রযুক্তিতে প্লাসমিড গুরুত্বপূর্ণ কেন? [১৪ অধ্যায়]

(গ) উদ্দীপকে নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের জীবটির কোষের সাথে “আদি কোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে— বিশ্লেষণ কর ।

(ক)-এর উত্তর:

বায়োইনফরমেটিক্স: বায়োইনফরমেটিক্স হলো কম্পিউটার প্রযুক্তি নির্ভর জীববিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, যেমন ক্যান্সার বিশ্লেষণ বিষয়ক বিজ্ঞান ।

(খ)-এর উত্তর:

প্লাজমিড হল ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোসোমের বাইরে একটি অতিরিক্ত ডিএনএ খণ্ড। জীবপ্রযুক্তিতে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ প্রস্তুত করার জন্য প্লাজমিড গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক জীবপ্রযুক্তি বা জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে জিন স্থানান্তরের প্রক্রিয়ায় কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্য অল্প সময়ে সুচারুভাবে প্লাজমিডের মাধ্যমে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে। তাই জীবপ্রযুক্তিতে প্লাজমিড এত গুরুত্বপূর্ণ।

 (গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের নমুনা জীবের নামকরণ পদ্ধতি হল দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি। এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:

১. নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় কিংবা ল্যাটিন ভাষার মতো করে উপস্থাপন করতে হবে। ২. বৈজ্ঞানিক নামের দুইটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমনঃ Labeo rohita |

৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।

৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- পিঁয়াজ Allium cepa 1

৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন: ধান Oryza sativa

৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন : Oryza sativa, Catla catla

৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসরে প্রথম বিজ্ঞানি কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে। Homo spaiens L., 1758, Oryza sativa L., 1753 ( এখানে L লিনিয় র নামের সংক্ষিপ্ত রূপ, তবে দৈনন্দিন গবেষণা ও পাঠে এটুকু অনেক সময় হয় না)

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের জীবটির কোষ হল প্রকৃত কোষ, যার সাথে আদিকোষের নিম্নলিখিত ভিন্নতা রয়েছে-

আদিকোষঃ এ ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না। এ জন্য এদের আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষও বলা হয়। এসব কোষের নিউক্লিয়াস কোনো পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে না, তাই নিউক্লিও-বস্তু সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে। এসব কোষে মাইট্রোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ইত্যাদি অঙ্গাণু থাকে না তবে রাইবোজোম থাকে। ক্রোমোজোমে কেবল DNA থাকে। নীলাভ সবুজ শৈবাল বা ব্যাকটেরিয়ায় এ ধরনের কোষ পাওয়া যায়। প্রকৃত কোষ: এসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি দিয়ে নিউক্লিও-বস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমোজোমে DNA, প্রোটিন, হিস্টোন এবং অন্যান্য উপাদান থাকে। অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের হয়।

উপরের আলোচনা থেকে তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের জীবটির কোষ অর্থাৎ প্রকৃত কোষের সাথে আদি কোষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা রয়েছে।

জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর | SSC

প্রশ্ন নং-৭। বরিশাল বোর্ড-২০১৯

মনেরা B C D অ্যানিমেলিয়া

(ক) শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে? [১ অধ্যায়]

(খ) ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় কেন? [১ অধ্যায়]

(গ) উদ্দীপকের ‘D’ অন্তর্ভুক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণ পদ্ধতি বর্ণনা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের ‘B’ অন্তর্ভুক্ত জীব অপেক্ষা ‘C’ অন্তর্ভুক্ত জীব অধিক উন্নত কেন? বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলা হয়।

(খ)-এর উত্তর:

ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলার কারণ:

১. ব্যাকটেরিয়া একটি এককোষী আণুবীক্ষণিক জীব।

২. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকলেও নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়ার পর্দা নেই ।

৩. কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা নেই কিন্তু রাইবোজোম আছে। প্রোক্যারিওটা বা আদি কোষী জীবের উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকায় ব্যাকটেরিয়াকে আদিকোষী জীব বলা হয় ।

(গ)-এর উত্তর:

চিত্রে ‘D’ অন্তর্ভূক্ত জীবগুলি হল প্লানটি। এদের নামকরণ পদ্ধতি নিম্নরূপ :

১. নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় কিংবা ল্যাটিন ভাষার মতো করে উপস্থাপন করতে হবে।

২. বৈজ্ঞানিক নামের দুইটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম। যেমন: Labeo rohita । এটি রুই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম, এখন Labeo গণ এবং rohita প্রজাতিক পদ।

৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।

৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- পিঁয়াজ Allium cepa, সিংহ Panthera leo.

৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন : ধান- Oryza sativa, কাতল মাছ- Catla catla

৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন : Oryza sativa, Catla catla

৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসরে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

Homo sapiens L., 1758, Oryza sativa L., 1753 (এখানে L লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ, তবে দৈনন্দিন গবেষণা ও পাঠে এটুক অনেক সময় লেখা হয় না) ।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দিপকের ‘B’ হল প্রোটিস্টা। ‘C’ হল ফানজাই। ‘B’ অপেক্ষা ‘C’ অন্তর্ভুক্ত জীব অধিক উন্নত কেননা প্রোটিস্টা পর্বের জীবগুলো প্রধানত এককোষী, অল্প · সংখ্যক বহুকোষী বা কলোনিয়াল জীব বিদ্যমান। অন্যদিকে ফানজাই পর্বের জীবগুলো অধিকাংশই বহুকোষী আবার, ফানজাই পর্বের জীবদের কাইটিন বিশিষ্ট জটিল কোষ প্রাচীর বিদ্যামান যা প্রোটিস্টা পর্বের প্রাণিদের নেই। সর্বশেষে, প্রোটিস্টা পর্বের জীবেরা ভ্রুণ গঠন করে না বরং কনজুগেশনের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। পক্ষান্তরে, ফানজাই পর্বের জীবগুলো হ্যাপ্লয়েড স্পেনের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।

আলোচনা হতে দেখা যায় যে, প্রোটিস্টা অপেক্ষা ফানজাই পর্বের জীবদের গঠন জটি।তর। তাই ‘B’ অন্তর্ভুক্ত জীব অপেক্ষা ‘C’ বা ফানজাই পর্বের জীব উন্নততর।

প্রশ্ন নং-৮। কুমিল্লা বোর্ড-২০১৭

(ক) দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লিখ ।

(খ) অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন?

(গ) মারগুলিসের শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে চিত্র-P এর অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।

(ঘ) মানবজীবনে চিত্র-Q এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব উল্লেখ কর।

(ক) এর উত্তর:

দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো: Copsychus saularis.

 (খ) এর উত্তর:

অ্যামিবা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত এর কারণ হলো:

১. প্রকৃত কোষবিশিষ্ট এককোষী বা বহুকোষী জীব ।

একক বা কলোনিয়াল (দলবদ্ধ) বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট । ৩. কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে।

৪. খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। ৫. মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে। ৬. কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না।

(গ) এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র-P হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল (Nostoc)। মারগুলিস-এর শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে P (নীলাভ সবুজ শৈবাল বা Nostoc) সুপার কিংডম-১ প্রোক্যারিওটা এর মনেরা রাজ্যে অবস্থিত। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:

১. এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস (একটির পর একটি কোষ লম্বালম্বিভাবে যুক্ত হয়ে ফিলামেন্ট গঠন করে), কলোনিয়াল ।

২. এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নাই । ৩. এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোজোম আছে।

কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না ।

৫. প্রধানত- শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে।

x (ঘ) এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র ) এর জীবটি হচ্ছে মাশরুম। এটি মানবজীবনে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে তা বর্ণনা করা হলো-

১. খাদ্য হিসেবে: পুষ্টিগত দিক থেকে মাশরুম অত্যন্ত উঁচু মানের এবং সুস্বাদু । টাটকা মাশরুমে নানা ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। যেমন- থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, Vit-C, D, K, নিয়াসিন, প্যান্টোথেনিক এসিড ইত্যাদি। ২. শিল্প ও বাণিজ্যে: মাশরুমের (Agaricus) চাষ লাভজনক বলে পাশ্চাত্যে বেশ কয়েকটি নামী শিল্পসংস্থা গড়ে উঠেছে।

৩. মৃত্তিকার পুষ্টি বৃদ্ধিতে: মাশরুম মৃতজীবী; তাই বিভিন্ন জটিল বস্তুকে ভেঙ্গে মৃত্তিকার পুষ্টি বৃদ্ধি করে।

৪. ওষুধি গুণাবলি:

(ক) এতে প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ লবণ এমন সমন্বয়ে আছে যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে। ফলে গর্ভবতী মা

ও শিশুরা নিয়মিত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। (খ) এতে আঁশ বেশি থাকায় এবং চর্বি ও শর্করা কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীর আদর্শ খাবার।

(গ) এতে ইরিটাডেনিন, লোভাস্টাটিন ও এনটাডেনিন থাকে যা শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃৎরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় হয়।

(ঘ) এতে প্রচুর এনজাইম আছে যা হজমে সহায়ক, রুচি বর্ধক এবং পেটের পীড়া নিরাময়ক।

৫. কর্মসংস্থান সৃষ্টি: Agaricus সহ বিভিন্ন মাশরুম চাষের উপর ভিত্তি করে শিল্প সংস্থা গড়ে উঠায় অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এটি বেকার মানুষদের জন্য সুখের খবর।

৬. বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে: ব্যাপকভাবে Agaricus চাষ ও রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

প্রশ্ন নং-৯। যশোর বোর্ড-২০১৭

চিত্র: P

চিত্র: Q

(ক) জীববিজ্ঞানের জনক কে?

(খ) প্রকৃত কোষ বলতে কী বোঝায়?

(গ) চিত্র-২ এ প্রদত্ত জীবের ICBN কর্তৃক স্বীকৃত নামকরণ প্রক্রিয়া বর্ণনা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের দু’টি জীবের মধ্যে কোনটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে উন্নত- বিশ্লেষণ কর।

(ক) এর উত্তর:

জীববিজ্ঞানের জনক: জীববিজ্ঞানের জনক হলেন গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল।

(খ) এর উত্তর:

প্রকৃত কোষ (Eukaryotic cell): যেসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি (nuclear membrane) দ্বারা নিউক্লিওবস্তু পরিবেষ্টিত ও সুসংগঠিত থাকে তাদেরকে প্রকৃত কোষ বলে। এসব কোষে রাইবোজোমসহ সকল অঙ্গাণু উপস্থিত থাকে। ক্রোমোসোমে DNA, প্রোটিন হিস্টোন ও অন্যান্য উপাদান থাকে। অধিকাংশ জীবকোষ এ ধরনের হয়।

(গ) এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র-২ জীবটি (উদ্ভিদটি) হলো আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা, যার বৈজ্ঞানিক নাম হলো Nymphaea nouchali, ICBN কর্তৃক শাপলা এর স্বীকৃত নামকরণ প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. শাপলার নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

২. শাপলার বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশ গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম । যেমন- Nymphaea nouchali এটি শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Nymphaea হলো গণ এবং nouchali হলো প্রজাতির পদ।

৩. বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য (unique) হতে হবে। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই।

৪. শাপলার বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো হবে ছোট এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে । ৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- শাপলা: Nymphaea nouchali

৬. বৈজ্ঞানিক নাম হাতে লিখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Nymphaea nouchali

৭. বৈজ্ঞানিক নামের শেষে নামদানকারীর নাম (সংক্ষেপে) লিখতে হয় Nymphaea nouchali L. (এখানে L লিনিয়াসের সংক্ষিপ্ত রূপ)

৮. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী শাপলা উদ্ভিদকে বিভিন্ন বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেন তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

(ঘ) এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি হলো মাশরুম যা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। আবার চিত্র-২ উদ্ভিদটি হলো শাপলা যা একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। উদ্ভিদ দুটির মধ্যে চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে উন্নত। নিচে এর কারণ বিশ্লেষণ করা হলো-

১. চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটির পাতায় সালোকসংশ্লেষণকারী বর্ণকণিকা ক্লোরোফিল থাকায় সূর্যের আলো ও পানির সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।

চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায়। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটায় যা উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। চিত্র-১ এর উদ্ভিদটি অপুষ্পক অর্থাৎ এদের ফুল হয় না। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি সপুষ্পক অর্থাৎ এদের ফুল হয়। সপুষ্পক উদ্ভিদ সর্বদাই অপুষ্পক উদ্ভিদ অপেক্ষা উন্নত।

চিত্র-১ এর উদ্ভিদটিকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদটিকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়।

পরিবহন কলাগুচ্ছ উন্নত উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। এই পরিবহন কলাগুচ্ছ চিত্র-১ এর উদ্ভিদে অনুপস্থিত। কিন্তু চিত্র-২ এর উদ্ভিদে উপস্থিত। উপরিউক্ত বিশ্লেষণ থেকে একথা স্পষ্ট যে, চিত্র-২ এর উদ্ভিদটি বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে অনেক উন্নত।

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button