জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | SSC
জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | SSC : সেরা স্কুলসমূহের বাছাইকৃত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরসহ অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর সমহু।
প্রশ্ন নং-১। আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা।
- i) Mangifera indica
- ii) MANGIFERA INDICH
iii) Mangefera
(ক) ক্ষলিত জীববিজ্ঞান কী?
(খ) শ্রেণিবিন্যাস জীবের জন্য কেন প্রয়োজন?
(গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে থেকে কোন পদ্ধতি অনুসরণে তুমি কীভাবে আমাদের জাতীয় ফুল এবং জাতীয় পাখির নাম লিখবে?
(ঘ) উল্লেখিত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে থেকে জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে কোন পদ্ধতিটি তুমি কেন গ্রহণ করলে যুক্তিসহ তোমার মতামত ব্যক্ত কর।
(ক)-এর উত্তর:
জীববিজ্ঞানের যে সকল শাখায় জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রয়োগিক বিষয়সমূহ আলোচিত হয় সেগুলোই হলো ফলিত জীববিজ্ঞান ৷
(খ)-এর উত্তর:
শ্রেণিবিন্যাস হলো জীবজগতকে সহজে জানার একটি পদ্ধতি। জীবের জাতিজনিত বিভিন্ন তথ্য, জীবকুলের বিবর্তনিক ধারা নির্ণয় ও নতুন প্রজাতি শনাক্তকরণের জন্য শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন। এছাড়া এই বিশাল জীবজগতকে ভালোভাবে জানা, বোঝা ও শেখার সুবিধার্থে এব প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জীবের শ্রেণিবিন্যাস অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন ।
(গ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকের (i) নং নামটি দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করলেও (ii) ও (iii) নং এ দ্বিপদ নামকরণের নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের জাতীয় ও পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলো যথাক্রমে Nymphaea nouchali এবং Copsychus saularis। তাদের নামকরণে অনুসরিত দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলী নিচে দেওয়া হলো-
- নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন বা ল্যাটিনকৃত ইংরেজি শব্দ ব্যবহৃত হবে । ii. শাপলার ক্ষেত্রে, এর Nymphaea অংশটি গণ-পদ এবং nouchali অংশটি প্রজাতি-পদ। আবার দোয়েলের ক্ষেত্রে, Copsychus অংশটি গণ-পদ এবং saularis অংশটি প্রজাতি-পদ ।
iii. এটি অনন্য নাম, এ নামে অন্য আর কোনো জীব নেই এবং সার্বজনীন, সকল ভাষায় এটি এভাবে ব্যবহৃত হবে।
- এই নামের প্রথম অংশের আদ্যক্ষর বড় অক্ষর এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষরের এবং দ্বিতীয় অংশের সবগুলোই ছোট অক্ষরের হবে।
- মুদ্রণের সময় নামটিকে ইটালিক অক্ষরে লিখতে হয় । যেমন: Nymphaea nouchali Copsychus saularis
- হাতে লেখার সময় এর গণ ও প্রজাতি-পদের নিচে আলাদাভাবে দাগ দিতে হবে। যেমন: Nymphaea nouchali ।
vii. প্রথমে যে বিজ্ঞানী এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দিয়েছেন তার নাম অনুযায়ীই এটি গৃহীত এবং এই নামের শেষে উক্ত বিজ্ঞানীর নাম সংক্ষিপ্ত আকারে সংযোজিত হবে। যেমন: Copsychus saularis L. এখানে L লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ।
(ঘ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকের (i) নং এ আমের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া আছে। এটির নামকরণে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে। এই নামকরণ প্রদ্ধতিটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। উদ্ভিদের নাম ICBN কর্তৃক এবং প্রাণীর নাম ICZN কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়। সকল বিজ্ঞানী এই নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে এই নামকরণ পুস্তাকাকারে লিখিত একটি দলিল। এই নামকরণ অনুসারে প্রত্যেক জীবের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট এবং অনন্য নাম দেওয়া হয়। নামকরণ ল্যাটিন শব্দে হওয়ায় কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম সারা বিশ্বে একই নামে পরিচিত হয়। এর ফলে জীবজগতের
জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর | SSC
জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | SSC
প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা যায়। যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হয়। যিনি সর্বপ্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দেন তার নাম প্রকাশের সালসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের শেষে সংযোজন করতে হয়। অপরদিকে (ii) নং এর নামকরণটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। আর (iii) নং এর নামকরণে শুধু গণ অংশটি আছে কিন্তু প্রজাতি অংশটি নেই। এছাড়াও গণের নামের শব্দটি ভুল আছে এবং এটি ইটালিক হরফেও লেখা নেই আবার শব্দটির নিচে কোনো দাগও নেই যা দ্বিপদ নামকরণের নীতি বিরুদ্ধ। তাই জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি (i) নং এর পদ্ধতিটি অর্থাৎ দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতিটি গ্রহণ করবো।
প্রশ্ন নং-২। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল, ঢাকা ।
[পাঠ্যবইয়ের শিখন-ফল: ৪ প্রতিটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ নিয়ে গঠিত হয় যা ICBN এবং ICZN কর্তৃক স্বীকৃত। যেমন: Solanum tuberosum, Nostoc, Penicillium
(ক) হিস্টোলজি কী?
(খ) বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম জীবটির রাজ্যগত বৈশিষ্ট্য লেখো।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত ২য় এবং ৩য় জীবটি একই রাজ্যভুক্ত নয়, উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
(ক)-এর উত্তর:
জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবি নিয়ে আলোচনা করা হয় সে শাখাই হলো হিস্টোলজি ।
(খ)-এর উত্তর:
বংশগতিবিদ্যায় জীবের তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ শাখ বংশগতি সম্পর্কিত কোনো প্রায়োগিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় না এখানে জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। ত বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়।
(গ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকের প্রথম জীবটি হলো Solanum tuberosum অর্থাৎ গোল আল এটি প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য:
১.এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত ও সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ।
২.এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র রয়েছে।
৩.এদের ভ্রুণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়।
৪.এদের যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।
৫.এরা আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ ।
৬. ক্লোরোফিল থাকায় এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে।
(ঘ)-এর উত্তর:
বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জীব শ্রেণিবিন্যাসের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়। উদ্দীপকের ২য় জী Nostoc । এরা ফিলামেন্টাস। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু রয়েছে ি নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে মাইটোকন্ড্রি . এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোসোম রয়েছে। এ বৈশিষ্ট্যগু মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কারণে দ্বিতীয় জীবটি অ Nostoc মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, ৩য় জীবটি Penicillium। এরা মৃতজীবী, মাইসেলিয়াম গঠিত। এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত। এদের দেহে ক্লোরোি অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে এদের বংশবৃদ্ধি ঘটে। Peniclillium এ বৈশিষ্ট্যগুলো ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। এ কারণে উদ্দীপে তৃতীয় জীবটি অর্থাৎ Penicillium এর অবস্থান ফানজাই রাজ্যে । সুতরাং উপরের আলোচনা মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় যে, উদ্দীপকের ২ ৩য় জীব দুটি একই রাজ্যভুক্ত নয় ৷
প্রশ্ন নং-৩ । রংপুর ক্যাডেট কলেজ
দ্বিপদ নামকরণ
(ক) ICZN কী?
(খ) হিস্টোলজি বলতে কী বোঝ?
(গ) P-এর সাথে সম্পর্কিত নীতিগুলো লেখো।
(ঘ) Q এবং R এর মধ্যেকার পার্থক্যগুলো বর্ণনা করো।
(ক) এর উত্তর:
ICZN International Code of Zoological Nomenclature এর সংক্ষিপ্ত রূপ যাকে প্রাণীর নামকরণের একটি নীতি নির্ধারণী দলিল বলে।
(খ) এর উত্তর:
হিস্টোলজি ভৌত জীববিজ্ঞানের একটি শাখা। এই শাখাতে টিস্যু সম্পর্কিত তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের বিন্যাস, গঠন এবং কার্যাবলি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গবেষণা করা হয়।
(গ) এর উত্তর:
উদ্দীপকে P দ্বারা নামকরণকে নির্দেশ করা হয়েছে। দ্বিপদ নামকরণের কিছু সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। নিচে দ্বিপদ নামকরণের সাথে সম্পর্কিত নীতিগুলো উল্লেখ করা হলো-
i.নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
ii বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির নাম । যেমন- Mangifera indica এটি আমের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Mangifera গণ নাম এবং indica প্রজাতির নাম ।
iii. জীবজগতে প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।
- বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর ইংরেজি বড় অক্ষর হবে বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন-আম-Mangifera indica. v. v.বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- কাঁঠাল-Artocarpus heterophyllus
- হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতির নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হয়। যেমন-আম- Mangifera indica
vii. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি জীবের বিভিন্ন নামকরণ করে, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথম বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে । viii. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তার নাম উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের সাথে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে। x (ঘ) এর উত্তর:
উদ্দীপকে উল্লিখিত () এবং R দ্বারা যথাক্রমে প্লানটি এবং অ্যানিমেলিয়া রাজ্যকে নির্দেশ করা হয়েছে । নিচে রাজ্য দুটির মধ্যেকার পার্থক্যগুলো দেওয়া হলো-
প্লানটি
১. প্লানটি রাজ্যের সদস্যদের কোষে
২. প্লানটি রাজ্যের জীবদের কোষে
৩. এদের কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না ।
৪. এরা চলনে অক্ষম।
৫. প্লানটি রাজ্যের জীবদের দেহকাঠামো সেলুলোজ দ্বারা গঠিত ।এদের দেহে উন্নত টিস্যু বিদ্যমান ।
৬. প্লানটি রাজ্যের জীবদের পরিবহন কলার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন স্থানে পানি, খনিজ লবণ, প্রস্তুতকৃত খাদ্য ইত্যাদি পরিবাহিত হয়।
৭. প্লানটি রাজ্যের জীবদের যৌন বা অযৌন জনন দ্বারা বংশবিস্তার ঘটে ।
৮. এরা সপুষ্পক উদ্ভিদ। এরা যৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
অ্যানিমেলিয়া
১. অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের সদস্যদের কোষপ্রাচীর বিদ্যমান ।
২. বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিড থাকে। ক্লোরোফিলের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরাই তৈরি করে অর্থাৎ স্বভোজী।
৩. এদের কোষে সেন্ট্রিওল থাকে।
৪. এরা চলনে সক্ষম।
৫. অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবকোষে দেহকাঠামো সাধারণ অস্থি দ্বারা গঠিত। এদের দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।
৬. অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবকোষে রক্তসংবহন তন্ত্রের রক্তের মাধ্যমে অক্রিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, খাদ্র্য উপাদান পরিবাহিত হয়।
৭.অ্যানিমেলিয়া রাজের্যর জীবকোষে অযৌন জনন দ্বারা বংশবিস্তার ঘটে।
৮. এদের ভ্রুন তৈরি হয় এবং ভ্রুনীয় স্তর সৃষ্টি হয় ।
প্রশ্ন নং ৪। রংপুর ক্যাডেট কলেজ
(ক) ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক কী? [৬ষ্ঠ অধ্যায়
(খ) খাদ্য পিরামিড ব্যাখ্যা কর। [৫ম অধ্যায় |
(গ) ‘x’ এবং ‘y’ এর মধ্যকার পার্থক্যগুলো লেখ ।
(ঘ) x, y এবং z এর মধ্যে কোনটির অবস্থান অধিক উন্নত এবং কেন?
(ক)-এর উত্তর:
ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক: হৃদপেশির কোষগুলোর মধ্যে চাকতি সদৃশ যে অংশগুলো দেখা যায় সেগুলোই ইন্টারক্যালেটেড ডিস্ক।
(খ)-এর উত্তর:
খাদ্য পিরামিড: ত্রিকোনাকার ভূমির উপর অবস্থিত ত্রিমাত্রিক বস্তু যেটির শীর্ষদেশ সরু তাকে পিরামিড বলে। কোন একটি বাস্তুতন্ত্রে ট্রফিক লেভেলের গঠন পিরামিড আকারে দেখানো যায়। খাদ্যশিকলে যুক্ত প্রতিটি পুষ্টিস্তরে খাদ্যের ও পুষ্টির সঞ্চয় ও স্থানান্তরের ছকই হলো খাদ্য পিরামিড। এতে দেখা যায়, উৎপাদক স্তরে পরবর্তী ট্রফিক লেভেলের তুলনায় বেশি পরিমাণে খাদ্য ও পুষ্টি থাকে। ফলে শক্তির পরিমাণও বেশি থাকে। উচ্চতর লেভেলে প্রতিটি ধাপে শক্তি ক্ষয় হয়। ফলে এসব পিরামিড উৎপাদক পিরামিডের ভূমিতে এবং সর্বোচ্চ খাদক পিরামিডের শীর্ষে অবস্থান করে।
(গ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকে ‘x’ হলো ব্যাকটেরিয়া অর্থাৎ মনেরা রাজ্যের জীব এবং ‘y’ হলো অ্যামিবা অর্থাৎ প্রোটিস্টা রাজ্যের জীব । নিচে তাদের মধ্যে পার্থক্য দেওয়া হলো- জীব (মনেরা ‘রাজ্য)]
‘x’ জীব মনেরা রাজ্য
১. এসব জীবে সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত কোষ থাকে না ।
২. প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি অঙ্গানু থাকে না কিন্তু রাইেবোজেম থাকে ।
৩. কোষ বিভাজন দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় ঘটে।
৪. খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া মূলত শোষণ ৷
৫. নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি এ রাজ্যের সদস্য।
‘Y’ জীব প্রোটিস্টা রাজ্য
১. এসব জীবে সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত কোষ থাকে না ।
২. মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা সহ কোষীয় অঙ্গানু থাকে ।
৩. কোষ বিভাজন মাইটোসিস প্রক্রিায়ায় ঘটে ।
৪. খাদ্র্য গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হলো শোষণ ও গ্রহণ।
৫. অ্যামিবা ছাড়াও প্যারামেসিয়াম, এককোষী ও বহুকোষী শৈবাল এ রাজ্যের সদস্য।
(ঘ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকে ‘x’, ‘y’ ও ‘Z’ হলো যথাক্রমে ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা ও বাঘ। এরা যথাক্রমে মনেরা, প্রোটিস্টা ও অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্গত। এদের মধ্যে বাঘ অর্থাৎ অ্যানিমেলিয়ার অবস্থান সবচেয়ে উন্নত।
হুইটেকার প্রণিত ফাইভ কিংডম শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তিই হলো বিবর্তনবাদ। বিবর্তনের ধারায় যে সকল জীব আদি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন তাদের প্রথমে এবং উন্নত জীবদের পরে রেখে শ্রেণিবিন্যাস করেন তিনি। তার শ্রেণিবিন্যাসে মনেরা ও প্রোটিস্টার পরে অ্যানিমেলিয়ার অবস্থান ।
মনেরা রাজ্যের জীবদের কোষ আদি নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট অর্থাৎ ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা বেষ্টিত নয়। এদের কোষে রাইবোজোম ব্যতিত অন্যান্য অঙ্গাণু যেমন: মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই। দ্বি- বিভাজান প্রক্রিয়ায় এরা বংশবৃদ্ধি করে। প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবসমূহ এককোষী বা বহুকোষী হয়। নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষে অযৌন বা যৌন প্রজনন ঘটে। যৌন প্রজননে দুটি গ্যামেট মিলিত হয় কিন্তু কোন ভ্রূণ গঠিত হয় না ৷
অন্যদিকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবসমূহ সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট এবং বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে প্লাস্টিড থাকে না তাই এরা হেটারোট্রফিক বা পরভোজী। দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। সাধারণত এরা যৌন জনন প্রক্রিয়ায় বংশবৃদ্ধি করে। দুই গ্যামেটের মিলনে জাইগোট এবং জাইগোট থেকে ভ্রূণ উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তুর সৃষ্টি হয়। উপর্যুক্ত তিনটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে বলা যায় যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত জীবসমূহের মধ্যে ‘z’ অর্থাৎ অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবসমূহের অবস্থানই উন্নত।
প্রশ্ন নং-৫। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ |
সজল দশম শ্রেণির একজন ছাত্র। তার ভালো ফলাফল উদযাপনের জন্য গতকাল সে তার বাবা-মায়ের সাথে চাইনিজ হোটেলে গিয়েছিল। সেখানে তারা চিংড়ি ফ্রাই, মাশরুম মিশ্রিত স্যুপ এবং টমেটো সালাদ খেয়েছিল। বাসায় ফেরার পর সে চিন্তা করল যে তারা যেসব খাবার খেয়েছে তার সবই জীবজগতের অন্তর্ভুক্ত।
(ক) দ্বিপদ নামকরণ কী?
(খ) কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন?
(গ) সজল যে স্বভোজী জীবটি খেয়েছিল তার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা দাও।
(ঘ) কেন এই তিনটি জীব শ্রেণিবিন্যাসের ধাপে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অবস্থান করে? বিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উত্তর:
দ্বিপদ নামকরণ: সাধারণত একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকরণের পদ্ধতিকে দ্বিপদ নামকরণ বলে।
(খ)-এর উত্তর:
কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলার কারণ: জীববিজ্ঞানের যে বিভাগ তত্ত্বীয় জ্ঞানের আলোকে জীববিজ্ঞানকে মানবকল্যাণে সুষ্ঠু প্রয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদেরকে ফলিত জীববিজ্ঞান বলে। যেহেতু কীটতত্ত্ব কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে তাই এটিকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় ।
(গ)-এর উত্তর:
সজল যে স্বভোজী জীবটি খেয়েছিল তা হলো টমেটো । নিচে এর বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো । টমেটো প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি সদস্য হিসেবে-(১) এটি প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। (২) এর উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান । (৩) এদের ভ্রুণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে এদের ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। (৪) এটি স্থলজ উদ্ভিদ এবং এর দেহে ক্লোরোফিল বিদ্যমান। কাজেই এটি নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে। (৫) এটির যৌন জনন হয় এবং এ প্রক্রিয়া অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের। (৬) এটি বহুকোষী, আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ। (৭) এসব উদ্ভিদের দেহ সাধারণত মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত । (৮) এটির প্রধান মূল ও শাখামূল বিদ্যমান এবং এটিতে ফুল ও ফল হয়।
X (ঘ)-এর উত্তর:
সজল চাইনিজ রেস্তোরাঁতে গিয়ে যেসব খাবারগুলো খেয়েছিল তার মধ্যে মূলত চিংড়ি, মাশরুম ও টমেটো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এসব জীবের বৈশিষ্ট্যের কথা চিন্তার করলে দেখা যায় যে চিংড়ি হচ্ছে একটি জলজ প্রাণী। এরা সুকেন্দ্রিক ও বহুকোষী প্রাণী। এর দেহকোষে কোনো জড় কোষ প্রাচীর ও প্লাস্টিড নেই। আর প্লাস্টিড না থাকায় এটি পরভোজী এবং এরা খাদ্য গলাধঃকরণ করে ও হজম করে। এর দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। প্রধানত এদের বংশ বৃদ্ধি হয় যৌনজনন প্রক্রিয়ায়। এদের পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। কাজেই চিংড়ি অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্গত।
অপরদিকে মাশরুমের বৈশিষ্ট্য থেকে দেখা যায়, এরা স্থলজ এবং মৃতজীবী। এদের দেহ এককোষী অথবা বহুকোষী মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত। যদিও এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত কিন্তু এদের দেহে ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত এবং খাদ্য গ্রহণ হয় শোষণ পদ্ধতিতে। এরা হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বৃদ্ধি করে। তাই এরা ফানজাই রাজ্যের অন্তর্গত ।
আবার টমেটোর বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলে দেখা যাবে এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী সবুজ উদ্ভিদ। এরা স্থলজ এবং দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভ্রুণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। এদের যৌন জনন হয় অ্যানাইসোগ্যামাস পদ্ধতিতে। এরা আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ। তাই টমেটো প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
উল্লিখিত তিনটি জীবের অর্থাৎ চিংড়ি, মাশরুম ও টমেটো এর বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা রয়েছে। তাই তারা শ্রেণিবিন্যাসের ধাপে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে অবস্থান করে অর্থাৎ চিংড়ি অ্যানিমেলিয়া রাজ্যে, মাশরুম ফানজাই রাজ্যে এবং টমেটো প্লানটি রাজ্যে অবস্থান করে।
চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।