অন্যান্য

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৮ | SSC

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৮ | SSC : সেরা স্কুলসমূহের বাছাইকৃত অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরসহ সমহু নিম্নে দেওয়া হলো । অতএব পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন ।

প্রশ্ন নং-১১। ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

A- Magnifera indica (আম)
B-Artocarpus heterophyllus (কাঁঠাল)
C- Oryza sativa (ধান)
(ক) শ্রেণিবিন্যাস কী?
(খ) কিংডম প্লানটি এর ২টি বৈশিষ্ট্য লিখ ।
(গ) উদ্দীপকের নামগুলো লেখার ক্ষেত্রে যেসব নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয় তা লিখ ।
(ঘ) এ ধরনের নাম প্রদানের মাধ্যমে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় তা বর্ণনা কর।

(ক)-এর উত্তর:

শ্রেণিবিন্যাস: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করার পদ্ধতিই হলো শ্রেণিবিন্যাস ।

(খ)-এর উত্তর :

কিংডম প্লানটি এর ২টি বৈশিষ্ট্য:
১. এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী, স্বভোজী উদ্ভিদ। অর্থাৎ নিজের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করে ।
২. এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র ও পরিবহন তন্ত্র বিদ্যমান ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত নামগুলো লেখার ক্ষেত্রে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলি অনুসরণ করা হয়। নিচে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়মাবলিগুলো দেওয়া হলো:
১.নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় কিংবা ল্যাটিন ভাষার মতো করে উপস্থাপন করতে হবে ।
২.বৈজ্ঞানিক নামে দুইটি অংশ থাকবে প্রথম অংশটি গন নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম । যেমন যেমনঃ Labeo rohita.
৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।
৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- পিঁয়াজ Allium cepa
৫.বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন : ধান Oryza sativa
৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন : Oryza sativa, Catla catla ।
৭. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসরে প্রথম বিজ্ঞানি কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।

(ঘ)-এর উত্তর:

আজ পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্ভিদের প্রায় চার লক্ষ প্রজাতির নামকরণ ও বর্ণনা করা হয়েছে। এসব প্রতিটি উদ্ভিদের একটি আলাদা নাম থাকে। প্রতিটি উদ্ভিদের আবার একটি সাধারণ বা আঞ্চলিক নামও থাকে। তবে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পরিচিত হওয়ার জন্য সর্বজন স্বীকৃত নামের প্রয়োজন পড়ে। এই সর্বজন স্বীকৃত নামকরণ পদ্ধতিই হলো দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি। সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। এই পদ্ধতির সুবিধাগুলো নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
১.সাধারণ বা প্রচলিত নাম অপেক্ষা এ নাম যথাযথ ও অধিক নির্দিষ্ট ।
২.পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কাছে এ নাম সমানভাবে গ্রহণযোগ্য ।
৩.একটি উদ্ভিদ কোন গণের অন্তর্গত তা জানা যায় ৷
8.গণের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধ এ নাম দ্বারা প্রকাশ পায় ।
৫.উদ্ভিদের নাম মনে রাখা সহজ হয়।
৬.দ্বিপদ নামগুলো সাধারণত বর্ণনামূলক হয়ে থাকে।

প্রশ্ন নং-১২। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, লালমনিরহাট

মোহন দশম শ্রেণির ছাত্র। সে তার জীববিজ্ঞান বই থেকে অ্যামিবা, মাশরুম এবং বাঘ সম্পর্কে জেনেছিল। জীবগুলো জীবজগতেরই অন্তর্ভুক্ত। [
(ক) বংশগতিবিদ্যা কী?
(খ) কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় কেন?
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত মৃতজীবীর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত জীব তিনটির অবস্থান শ্রেণিবিন্যাসে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে কেন? বিশ্লেষণ করো।

(ক)-এর উত্তর:

বংশগতিবিদ্যা: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিন ও বংশগতিধারা সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সে শাখাই হলো বংশগতিবিদ্যা ।

(খ)-এর উত্তর:

কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলার কারণ: জীববিজ্ঞানের কীটতত্ত্ব শাখায় কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। যেহেতু কীটতত্ত্বে তত্ত্বীয় “বিষয় আলোচনা না করে কীটপতঙ্গ সম্পর্কিত প্রায়োগিক বিষয় আলোচনা করা হয়, সেহেতু কীটতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলা হয় ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত মৃতজীবী জীবটি হলো মাশরুম। এটি এক ধরনের ছত্রাক ৷ নিচে মাশরুমের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-
i.এটি ক্লোরোফিলবিহীন অসবুজ ও অপুষ্পক উদ্ভিদ ।
ii. এরা মৃতজীবী এবং স্থলজ।
iii. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।
iv. এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত।
V.মাশরুম দেহে কোনো ভাস্কুলার বান্ডল থাকে না ।
vi. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দ্বারা এরা বংশবৃদ্ধি করে।
vii. মাশরুম দেহ দুটি অংশে বিভক্ত। যথা- মাইসেলিয়াম এবং ফ্রুটবডি।
viii. মাশরুম দেহে সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন ৷

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের উল্লিখিত তিনটি জীব হলো- অ্যামিবা, মাশরুম এবং বাঘ। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় শ্রেণিবিন্যাসে এদের অবস্থান ভিন্ন। যেমন- অ্যামিবা হলো এককোষী জীব। এদের দেহে সুগঠিত নিউক্লিয়াস রয়েছে। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা আবৃত। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন রয়েছে। খাদ্য গ্রহণ শোষণ প্রক্রিয়ায় ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন জনন ঘটে। কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না। অ্যামিবার এ সকল বৈশিষ্ট্য প্রোটিস্টা রাজ্যে পাওয়া যায়। অর্থাৎ -অ্যামিবার অবস্থান জীবজগতের প্রোটিস্টা রাজ্যে ।

অন্যদিকে, মাশরুম ক্লোরোফিল বিহীন এবং মৃতজীবী অপুষ্পক উদ্ভিদ। এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত। এদের দেহে কোনো ভাস্কুলার বান্ডল নেই। হ্যাপ্লয়েড স্পোরের মাধ্যমে মাশরুম বংশবৃদ্ধি করে। মাশরুমের এ বৈশিষ্ট্যগুলো ফানজাই রাজ্যে দেখা যায়। এ কারণে শ্রেণিবিন্যাসে মাশরুমের অবস্থান ফানজাই রাজ্যে। আবার, বাঘ হলো সুকেন্দ্রিক বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর নেই। এরা পরভোজী। প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে এরা বংশ বৃদ্ধি করে। বাঘের এ সকল বৈশিষ্ট্য অ্যানিমেলিয়া, রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ শ্রেণিবিন্যাসে বাঘের অবস্থান অ্যানিমেলিয়া রাজ্যে । সুতরাং জীব তিনটির বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণেই শ্রেণিবিন্যাসে তাদের অবস্থানও ভিন্ন।

প্রশ্ন নং-১৩ । জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ

আনিকা নবম শ্রেণির একজন ছাত্রী। সে তার জীববিজ্ঞান বইয়ে এ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রকার প্রাণী সম্পর্কে পড়েছে। সে সকল প্রাণীদের সম্পর্কে জানার জন্য তার শ্রেণিবিন্যাস পড়া প্রয়োজন ।
(ক) শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে?
(খ) শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী?
(গ) প্রথম রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো লেখ ।
(ঘ) দ্বিপদী নামকরণ সম্পর্কে ক্যাডেট আনিকা কী শিখেছিল? উল্লেখ কর।

(ক)-এর উত্তর:

শ্রণিবিন্যাসের জনক: শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলেন সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস ।

(খ)-এর উত্তর:

শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য: শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য মূলত একটিই, তা হলো বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিক ভাবে জানা। সুবিশাল এই জীবজগৎকে তাদের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভক্তিকরণের মাধ্যমে তাদের সম্পর্কে স্বল্প সময়ে অধিক জ্ঞান অর্জনই হলো শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে বর্ণিত ক্যাডেট আনিকার জীববিজ্ঞান বইয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীদের সম্পর্কে লেখা ছিল। তাদের মধ্যে প্রথম রাজ্য বা রাজ্য-১ এর অন্তর্গত মনেরা অন্যতম। নিচে মনেরার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখা হলো-
১. এরা এককোষী, ফিলামেন্টাস, কলোনিয়াল ।
২. কোষে ক্রোমোটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। ৩. এদের কোষে বিভিন্ন কোষীয় অঙ্গাণু তথা মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই কিন্তু রাইবোসোম আছে।
৪. এরা প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেটিক বা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে।
৫. এদের কোষ বিভাজন দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের ক্যাডেট আনিকা তার জীববিজ্ঞান বইয়ে শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কে শিখেছিল। শ্রেণিবিন্যাস শিক্ষায় দ্বিপদ নামকরণ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একে জীবের বৈজ্ঞানিক নামকরণও বলা হয়ে থাকে। সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন। এ পদ্ধতি অনুযায়ী একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ দিয়ে গঠিত হয়। প্রথমটি তার গণের নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। যেমন- ধানের বৈজ্ঞানিক নাম Oryza Sativa। এক্ষেত্রে Oryza গণ নাম ও Sativa প্রজাতি নাম অর্থাৎ এখানে দুইটি পদের সম্মিলন ঘটেছে।
১. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ, একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।
২. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে, বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- পিঁয়াজ Allium cepa.
৩. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন : ধান Oryza sativa।
৪. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন : Oryza sativa, Catla catla ।
৫. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একই জীবকে বিভিন্ন নামকরণ করেন, তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসরে প্রথম বিজ্ঞানি কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে ।

এ ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্য একটাই তা হলো জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা। আন্তর্জাতিকভাবে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে জীবের দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নাম নির্ধারণ করা হয় । উদ্ভিদের নাম ICBN কর্তৃক ও প্রাণীর নাম ICZN কর্তৃক স্বীকৃত নিয়মানুসারে হতে হবে। এছাড়াও নামকরণ ল্যাটিন ভাষায় হওয়ায় কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম সারা বিশ্বে একই নামে পরিচিত হয়। অতএব ক্যাডেট আনিকা তার জীববিজ্ঞান বইয়ে দ্বিপদ নামকরণ সম্পর্কে উপর্যুক্ত বিষয়গুলো শিখেছিল।

 

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১১-১৮ | SSC
জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

 

প্রশ্ন নং-১৪। জামালপুর জিলা স্কুল

চিত্র: ক
(ক) ICBN এর পূর্ণরূপ কী?
(খ) Species plantarum. বইটি জীববিজ্ঞানের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?
(গ) ‘ক’ চিত্রের জীবটিকে মারগুলিসের শ্রেণিবিন্যাসে কোন জগতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে? কারণসহ ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘খ’ চিত্রের জীবটিকে কেন Animalia তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

ICBN International Code of Botanical Nomenclature.

(খ)-এর উত্তর:

Species Plantarum বইটির গুরুত্ব: Species Plantarum বইটির রচয়িতা ক্যারোলাস লিনিয়াস। ১৭৫৩ সালে রচিত এই বইয়ে তিনি দ্বিপদ নামকরণের প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে জীবের শ্রেণি, বর্গ, গণ ও প্রজাতি ধাপগুলো ব্যবহার করেন। এসব কারণেই Species Plantarum বইটি জীববিজ্ঞানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘ক’ চিত্রের জীবটি হলো Penicillium মারগুলিসের শ্রেণিবিন্যাসে জীবটিকে ‘ফানজাই’ জগতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ,
i.অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।
ii. দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
iii. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।
iv. কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে গঠিত।
V.খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।
vi. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত এবং এরা পরভোজী।
vii. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।
উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ মারগুলিস কর্তৃক ব্যাখ্যাকৃত শ্রেণিবিন্যাসের রাজ্য-৩

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের A চিত্রটি একটি মানবভ্রূণ। জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের ভ্রূণের পরিস্ফুটণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে ভ্রূণবিদ্যা বা এমব্রায়োলজি (Embryology) বলে। কাজেই A চিত্রটি উদ্দীপকের B চিত্রের জীবটি হলো একটি পতঙ্গ। জীববিজ্ঞানের যে শাখায় কীট পতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি দমন ইত্যাদি এমব্রায়োলজির আলোচ্য বিষয়। সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে কীটতত্ত্ব বা এন্টোমোলজি (Entomology) বলে। কাজেই B চিত্রটি এন্টোমোলজির আলোচ্য বিষয়।

উদ্দীপকের চিত্রদ্বয়ের মধ্যে A চিত্রটি Embryology’র বলে তা ভৌত জীববিজ্ঞানের আলোচিত বিষয় এবং B চিত্রটি Entomology’র বলে তা ফলিত জীববিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। জীববিজ্ঞানের যে শাখায় কীট পতঙ্গের জীবন, কীট পতঙ্গের প্রভাবে উপকারিতা এবং অপকারিতা. কীট পতঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি, এবং কীটপতঙ্গ কিভাবে দমন করে অর্থনৈতিক ক্ষতি যথাসম্ভব দূর করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়।

কাজেই নিঃসন্দেহে বলা যায় এন্টোমোলজি ফলিত জীববিজ্ঞানের একটি তাকে এন্টোমোলজি বা কীটতত্ত্ব বলে। এটি একটি জীবন-সংশ্লিষ্ট প্রয়োগিক ফানজাই’ জগতের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। সুতরাং ‘ক’ চিত্রের জীব গুরুত্বপূর্ণ শাখা। কাজেই B চিত্রটিই ফলিত জীববিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। Penicillium ‘ফানজাই’ জগতের অন্তর্ভুক্ত।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে ‘খ’ চিত্রটি অ্যামিবার চিত্র। বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে একে রাজ্য; Animalia তে অন্তর্ভুক্ত না করে রাজ্য-২; Protista রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিচে তা যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করা হলো- অ্যামিবা এককোষী জীব । এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে। এরা খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে সম্পন্ন করে। প্রজননের ক্ষেত্রে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে।

এতে কোন ভ্রূণ গঠিত হয় না। কিন্তু অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবসমূহ বহুকোষী প্রাণী। এদের কোনো জড় কোষ প্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর থাকে না। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রাফিক। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। যেহেতু উদ্দীপকে উল্লেখিত জীব অ্যামিবার বৈশিষ্ট্যসমূহ Animalia রাজ্যের বৈশিষ্ট্যসমূহের সাথে মিলে না, তাই অ্যামিবাকে Animalia রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি ।

প্রশ্ন নং-১৫।

(ক) ট্যাক্সোনমি কী?
(খ) শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্যগুলো উল্লেখ কর।
(গ) A ও B চিত্র দুটি জীববিজ্ঞানের কোন কোন শাখার আলোচ্য বিষয় ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) চিত্রদ্বয়ের মধ্যে কোনটি ফলিত জীববিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়? যুক্তিসহ উপস্থাপন কর।

(ক)-এর উত্তর:

ট্যাক্সোনমি: জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের শ্রেণিবিন্যাসের রীতিনীতি আলোচিত হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বলে।

(খ)-এর উত্তর:

শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য: শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো-
(১) প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা।
২. জীবজগতের ভিন্নতার প্রতি আলোকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।
(৩) পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা।
(৪) সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানব কল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া।

প্রশ্ন নং-১৬

(ক) শ্রেণিবিন্যাস কী?
(খ) দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বুঝ?
(গ) Margulis এর শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে A ও B চিত্রের জীবদ্বয়ের অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ‘কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে A ও B চিত্রের জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দেয়া হয়েছে – বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

শ্রেণিবিন্যাস: পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তকরণকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।

(খ)-এর উত্তর:

দ্বিপদ নামকরণ: একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুটি অংশ বা পদ নিয়ে গঠিত হয়। প্রথম অংশটি তার গণের নাম ও দ্বিতীয় অংশটি তার প্রজাতির নাম। যেমন: গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum। এখানে Solanum গণের নাম ও tuberosum প্রজাতির নাম, এরূপ দুটি পদ নিয়ে গঠিত নামকে দ্বিপদ নাম এবং নামকরণের প্রক্রিয়াকে দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি বলে।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে A চিত্রের আম ও B চিত্রের কাঁঠাল হলো একই রাজ্য তথা প্লানটির সদস্য। এদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ-
১. এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ।
২. এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান ।
৩. এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায়ের শুরু হয়।
৪. এরা স্থলজ।
৫. যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।
৬. এরা আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ।
৭. এদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়। ৮. মূল ও শাখা মূল বিদ্যমান এবং ফুল ও ফল হয়। কাজেই উদ্ভিদ সুপারকিংডমের প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

(ঘ)-এর উত্তর:

A উদ্ভিদের বা আমের বৈজ্ঞানিক নাম Mangifera indica. B উদ্ভিদের বা কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus. ‘এ নাম দুটি দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির নিয়ম অনুসরণ করেই দেয়া হয়েছে।
সেই নিয়মগুলো হলো নিম্নরূপ –
I. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
Ii. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতির নাম। যেমন- Mangifera indica এটি আমের বৈজ্ঞানিক নাম, এখানে Mangifera গণ নাম এবং indica প্রজাতির নাম ।
iii. জীবজগতে প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য হতে হয়। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।
iv. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর ইংরেজি বড় অক্ষর হবে বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- আম- Mangifera indica.
V.বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন-কাঁঠাল- Artocarpus heterophyllus.
vi. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতির নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হয়। যেমন-আম- Mangifera indica.
vii. যদি কয়েকজন বিজ্ঞানী একটি জীবের বিভিন্ন নামকরণ করে। তবে অগ্রাধিকার আইন অনুসারে প্রথমে বিজ্ঞানী কর্তৃক প্রদত্ত নামটি গৃহীত হবে।
viii. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তার নাম প্রকাশের সালসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের সাথে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে।

প্রশ্ন নং-১৭

ফাহাদ একদিন বাড়ীর পাশে নদীর পাড়ে মাছের লাফালাফি দেখছিল। এছাড়া নদীতে শাপলা ও নদীর পাড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো কিছু জীব দেখে ভাবল প্রকৃতিতে কত না বিচিত্র জীবের সমাবেশ ঘটেছে। সে অনুধাবন করল এই কারণে জীবগুলো শ্রেণিবিন্যাসে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে থাকে।
(ক) জীববিজ্ঞান কাকে বলে?
(খ) ICZN ও ICBN এর পূর্ণরূপ কি?
(গ) ফাহাদের দেখা স্বভোজী জীবটির রাজ্যগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করো।
(ঘ) ফাহাদের দেখা জীব তিনটি শ্রেণিবিন্যাসগত ভিন্নঅবস্থানে থাকার কারণ বিশ্লেষণ করো।

(ক)-এর উত্তর:

জীববিজ্ঞান: বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া এবং জীবনধারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে জীববিজ্ঞান বলে ।

(খ)-এর উত্তর:

ICZN: International Code of Zoological Nomenclature. ICBN: International Code of Botanical Nomenclature.

(গ)-এর উত্তর:

ফাহাদের দেখা স্বভোজী জীবটি একটি জলজ উদ্ভিদ যা রাজ্য-৪ প্লানটির অন্তর্ভুক্ত। নিচে স্বভোজী শাপলা উদ্ভিদের রাজ্যগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হল-
১. এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ।
২. এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান ।
৩. এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায়ের শুরু হয়।
৪. এরা স্থলজ ।
৫. যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।
৬. এরা আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ।
৭. এদের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়।
৮. মূল ও শাখা মূল বিদ্যমান এবং ফুল ও ফল হয়।

(ঘ)-এর উত্তর:

ফাহাদের দেখা জীব তিনটির মধ্যে ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুম রাজ্য-৩: ফানজাই এর অবস্থান করার কারণ হলো- অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম (সরু সুতার মতো অংশ) দিয়ে গঠিত। এগুলোর নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে। শাপলা উদ্ভিদের রাজ্য-৪: প্লানটিতে অবস্থান করার কারণ হলো- এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। এদের দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান।

এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। প্রধান স্থলজ, তবে অসংখ্য জলজ প্রজাতি আছে। এদের যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস অর্থাৎ আকার, আকৃতি অথবা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্যবিশিষ্ট ভিন্নধর্মী দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন জনন সম্পন্ন হয়। এরা আর্কিগোনিয়েট অর্থাৎ আর্কিগোনিয়াম বা স্ত্রী জননাঙ্গ বিশিষ্ট উদ্ভিদ। এরা সপুষ্পক।

মাছ, রাজ্য-৫: অ্যানিমেলিয়ায় অবস্থানের কারণ হলো- এরা নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে, দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা পধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ এবং স্ত্রী প্রাণীর জনানঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয় । ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। কাজেই উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কারণেই ফাহাদের দেখা জীব তিনটি শ্রেণিবিন্যাসে ভিন্ন রাজ্যে অবস্থান করে।

 

প্রশ্ন নং-১৮

প্রাণী-A
প্রাণী-B
(ক) বিজ্ঞানী লিনিয়াস তাঁর কোন গ্রন্থে জীবের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন?
(খ) প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের প্রজনন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
(গ) উদ্দীপকের B প্রাণিটি জীবজগতের যে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সেই রাজ্যের জীবদের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর ।
(ঘ) উদ্দীপকের A প্রাণিটির বৈজ্ঞানিক নাম উল্লেখ পূর্বক এর নামকরণের রীতি-নীতিগুলো ব্যাখ্যা কর ।

(ক)-এর উত্তর:

বিজ্ঞানী লিনিয়াস তার Species plantarum গ্রন্থে জীবের দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।

(খ)-এর উত্তর:

প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের প্রজনন: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের অযৌন প্রজনন ঘটে এবং, কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে । এদের কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের B প্রাণিটি (হরিণ) জীবজগতে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিচে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো-
১. এরা সুকেন্দ্রিক ও বহুকোষী প্রাণী ।
২. এদের কোষে কোনো বড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর নেই।
২. প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে ও হজম করে ।
৪. দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান ।
৫. এরা প্রধানত যৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে।
৬. পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ৭. ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের A প্রাণিটি হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Panthera tigris
নিচে এই বৈজ্ঞানিক নামকরনের রীতি-নীতি সমূহ দেয়া হলো-
১. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
২. বৈজ্ঞানিক নামের দুটি অংশ থাকবে, প্রথম অংশটি গণ নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি নাম । যেমন: Panthera tigris। এক্ষেত্রে Panthera গণ নাম এবং tigris প্রজাতির নাম।
৩. জীবজগতের প্রতিটি বৈজ্ঞানিক নামকে অনন্য (unique) হতে হয়। কারণ একই নাম দুটি পৃথক জীবের জন্য ব্যবহারের অনুমতি নেই ।
৪. বৈজ্ঞানিক নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর বড় অক্ষর হবে বাকি অক্ষরগুলো ছোট অক্ষর হবে এবং দ্বিতীয় অংশটির নাম ছোট অক্ষর দিয়ে লিখতে হবে। যেমন- Panthera tigris
৫. বৈজ্ঞানিক নাম মুদ্রণের সময় সর্বদা ইটালিক অক্ষরে লিখতে হবে। যেমন- Panthera tigris
৬. হাতে লেখার সময় গণ ও প্রজাতির নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন- Panthera tigris ।
৭. যিনি প্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত নাম দিবেন তার নাম প্রকাশের সালসহ উক্ত জীবের বৈজ্ঞানিক নামের সাথে সংক্ষেপে সংযোজন করতে হবে।

 

চাকরির খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । লেখাপড়া বিষয়ক অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button