অন্যান্য

অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর – বাংলা ১ম পত্রের অতিথির স্মৃতি গল্পটি হতে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে আজকের আলোচনার বিষয় । আগ্রেহের সাথে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।

জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সমুহঃ

প্রশ্ন-১. গল্পকথক কার নির্দেশে দেওঘরে এসেছিলেন?
উত্তর: গল্পকথক চিকিৎসকের নির্দেশে দেওঘরে এসেছিলেন।

প্রশ্ন-২. লেখক দেওঘরে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: লেখক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন-৩. গল্পকথক কোথায় থাকতেন?
উত্তর: গল্পকথক প্রাচীর ঘেরা বাগানের মধ্যে একটা বড় বাড়িতে থাকতেন ।

প্রশ্ন-৪. প্রাচীরের ধারের গাছটির নাম কী ছিল?
উত্তর: প্রাচীরের ধারের গাছটির নাম ছিল ইউক্যালিপটাস।

প্রশ্ন-৫. লেখক গেটের বাইরে পথের ধারে এসে বসেন কখন?
উত্তর: লেখক বিকেলে গেটের বাইরে পথের ধারে এসে বসেন।

প্রশ্ন-৬. রাত কয়টা থেকে ভজন গান শোনা যেত?
উত্তর: রাত তিনটা থেকে ভজন গান শোনা যেত।

প্রশ্ন-৭. দেওঘরে লোকটি একঘেয়ে সুরে কী গান গাইত?
উত্তর: দেওঘরে লোকটি একঘেয়ে সুরে ভজন গাইত।

প্রশ্ন-৮. ব্যাধের ব্যবসায় কোনটি?
উত্তর: ব্যাধের ব্যবসায় হলো পাখি চালান দেওয়া।

প্রশ্ন-৯. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে একটু দেরি করে আসত কোন পাখি? (ঢা. বো. ১৭, উত্তরা হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে একটু দেরি করে আসত একজোড়া বেনে- বৌ পাখি ।

প্রশ্ন-১০. লেখকের দেখা বেনে-বৌ পাখি জোড়া কবে ফিরে এসেছিল?
উত্তর: লেখকের দেখা বেনে-বৌ পাখি জোড়া তিন দিনের দিন ফিরে এসেছিল।

প্রশ্ন-১১, কী দেখে লেখকের সত্যিকার ভাবনা ঘুচে গেল? /চ. বো. ১৯/
উত্তর: বেনে-বৌ পাখি দুটোকে ফিরে আসতে দেখে লেখকের সত্যিকারের ভাবনা ঘুচে গেল।

প্রশ্ন-১২, ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখকের কীসের ভাবনা ছিল?চো. বো. ১৮, ফু. বো. ১৮, লাকসাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা।
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে উল্লিখিত বেনে-বৌ পাখি দুটি ফিরে আসবে কি না— এই নিয়ে লেখকের ভাবনা ছিল।

প্রশ্ন-১৩, বেনে-বৌ পাখি কোন গাছে বসে হাজিরা হেঁকে যেত? [রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা/
উত্তর:বেনে-বৌ পাখি ইউক্যালিপটাস গাছে বসে হাজিরা হেঁকে যেত ।

প্রশ্ন-১৪, সবচেয়ে ভোরে ওঠে কোন পাখি? ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।
উত্তর: সবচেয়ে ভোরে ওঠে দোয়েল পাখি ।

প্রশ্ন-১৫. দেওঘরে পীড়িতদের মধ্যে কাদের সংখ্যা বেশি ছিল?
উত্তর: দেওঘরে পীড়িতদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল।

প্রশ্ন-১৬, সন্ধ্যার আগেই ঘরে প্রবেশ করা প্রয়োজন ছিল কাদের?
উত্তর: সন্ধ্যার আগেই ঘরে প্রবেশ করা প্রয়োজন ছিল বাতব্যাধিগ্রস্ত বৃদ্ধ লোকদের।

প্রশ্ন-১৭. পা ফুলো-ফুলো মেয়েদের কী রোগ ছিল?
উত্তর: পা ফুলোফুলো মেয়েদের বেরিবেরি রোগ ছিল।

প্রশ্ন-১৮. বেরিবেরির আসামি কারা?
উত্তর: বেরিবেরির আসামি হলো পা ফুলো ফুলো অল্পবয়সি একদল মেয়ে ।

প্রশ্ন-১৯. লেখক কীভাবে বুঝতেন এরা বেরিবেরির আসামি?
উত্তর: অল্পবয়সি মেয়েদের পা ফুলো অবস্থা দেখেই লেখক বুঝতেন এরা বেরিবেরির আসামি।

প্রশ্ন-২০. অন্ধকারে লেখকের সঙ্গী হয়েছিল কে? /কুমিল্লা জিলা স্কুল।
উত্তর: অন্ধকারে লেখকের সঙ্গী হয়েছিল একটি কুকুর।

প্রশ্ন-২১. লেখক কুকুরটিকে খেতে দেওয়ার জন্য প্রথম দিন কাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন?
উত্তর: লেখক কুকুরটিকে খেতে দেওয়ার জন্য প্রথম দিন অতিথিশালার চাকরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন

প্রশ্ন-২২. বামুনঠাকুরকে ডেকে লেখক কী বলেছিলেন? /ব. বো. ১৭/
উত্তর: বামুনঠাকুরকে ডেকে লেখক অতিথিকে খেতে দিতে বলেছিলেন ।

প্রশ্ন-২৩. কে অতিথিশালার বাড়তি খাবারের প্রবল অংশীদার ছিল? (আরমানিটোলা গভঃ হাই স্কুল, ঢাকা।
উত্তর: মালি-বৌ অতিথিশালার বাড়তি খাবারের প্রবল অংশীদার ছিল ।

প্রশ্ন-২৪. বেঁচে যাওয়া খাবার চেঁচেপুঁছে নিয়ে গেছে কে?
উত্তর: বেঁচে যাওয়া খাবার মালি-বৌ চেঁচেপুঁছে নিয়ে গেছে।

প্রশ্ন-২৫. কুকুরটি কখন লুকিয়ে বাড়িতে এসেছিল?
উত্তর: কুকুরটি দুপুরবেলা লুকিয়ে বাড়িতে এসেছিল ।

প্রশ্ন-২৬. খোলা দোর দিয়ে সিঁড়ির উপর কার ছায়া পড়ল?
উত্তর: খোলা দোর দিয়ে সিঁড়ির উপর কুকুরের ছায়া পড়ল ।

প্রশ্ন-২৭. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে ট্রেন স্টেশন ছাড়তে আর কয় মিনিট দেরি? রা. বো. ১৭/
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়তে আর এক মিনিট দেরি ।

→ শব্দার্থ ও টীকা

প্রশ্ন-২৮. ভজন কী? (নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়|
উত্তর: ভজন হলো ঈশ্বর বা দেবদেবীর স্তুতি বা মহিমাকীর্তন ।

প্রশ্ন-২৯. ‘কুঞ্জ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: ‘কুঞ্জ’ শব্দের অর্থ ‘উপবন’ ।

প্রশ্ন-৩০, ‘বেরিবেরি’ কী ধরনের রোগ?
উত্তর: ‘বেরিবেরি’ বি ভিটামিনের অভাবে হাত-পা ফুলে যাওয়া রোগ।

প্রশ্ন-৩১. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে ‘আসামি’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে ‘আসামি’ শব্দটি রোগাক্রান্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন-৩২. ‘পাণ্ডুর’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘পাণ্ডুর’ অর্থ হলো ‘ফ্যাকাশে’।

প্রশ্ন-৩৩. বেতনের বিনিময়ে বাগানের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিকে কী বলে?
উত্তর: বেতনের বিনিময়ে বাগানের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিকে মালি বলে ।

প্রশ্ন-৩৪. মালিনী বলা হয় কাকে?
উত্তর: মালিনী বলা হয় মালির স্ত্রীকে।

> পাঠ-পরিচিতি

প্রশ্ন-৩৫. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটির রচয়িতা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ।

প্রশ্ন-৩৬. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি কোন গল্পের পরিমার্জিত রূপ?
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি ‘দেওঘরের স্মৃতি’ গল্পের পরিমার্জিত রূপ ।

প্রশ্ন-৩৭. ‘দেওঘরের স্মৃতি’ গল্পটি কে লিখেছেন?
উত্তর: ‘দেওঘরের স্মৃতি’ গল্পটি লিখেছেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

প্রশ্ন-৩৮. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের বিষয়বস্তু কী?
উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের বিষয়বস্তু হলো একটি প্রাণীর সঙ্গে একজন অসুস্থ মানুষের কয়েকদিনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা মমত্বের সম্পর্ক।

→ লেখক-পরিচিতি

প্রশ্ন-৩৯. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন ।

প্রশ্ন-৪০, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোথায় অবস্থানকালে সাহিত্য সাধনা শুরু করেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রেঙ্গুনে অবস্থানকালে সাহিত্য সাধনা শুরু করেন।

প্রশ্ন-৪১. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন উপন্যাসটি ‘ভারতী’ প্রকাশিত হয়েছিল? (মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা।
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বড়দিদি’ উপন্যাসটি ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রশ্ন-৪২. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘শেষপ্রশ্ন’ কোন ধরনের রচনা?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘শেষপ্রশ্ন’ একটি উপন্যাস ।

প্রশ্ন-৪৩. শরৎচন্দ্র রচিত প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের নাম কী ?
উত্তর: শরৎচন্দ্র রচিত প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘বড়দিদি’।

প্রশ্ন-৪৪.শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে?
উত্তর:শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

প্রশ্ন-৪৫. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ডি.লিট উপাধি লাভ করেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে? /মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ডি.লিট উপাধি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ।

প্রশ্ন-৪৬, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯৩৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন ।

 

অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর
বাংলা ১ম পত্র অতিথির স্মৃতি জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. লেখক দেওঘরে গিয়েছিলেন কেন? বুঝিয়ে লেখো। /কু. বো. ১৫; কামরুননেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা]

উত্তর: চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য লেখক দেওঘরে গিয়েছিলেন।লেখক শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে চিকিৎসক তাঁকে বায়ু পরিবর্তন করতে বলেন। বায়ু পরিবর্তন বলতে সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনকে বোঝায়। অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত স্বাস্থ্যকর কোনো স্থানে গমন করা। শারীরিকভাবে সুস্থ হতেই লেখক বায়ু পরিবর্তন করতে দেওঘর গিয়েছিলেন।

প্রশ্ন-২. ‘পাখি চালান করে দেওয়াই তাদের ব্যবসা’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ব‍্যাধ বা শিকারিরা নিরীহ পশুপাখি শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে বলে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে। অতিথির স্মৃতি’ গল্পে গল্পকথক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দেওঘরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। দেওঘরের প্রাকৃতিক পরিবেশে গল্পকথকের সকাল হতো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে। পাখিদের মধ্যে একজোড়া বেনে-বৌ পাখি দু’দিন গল্পকথকের বাড়িতে না এলে তিনি চিন্তিত হন। এদেশে ব্যাধেরা পশুপাখি চালান করে অর্থ উপার্জন করে। বেনে-বৌ পাখিরা এসব ব্যাধের শিকার হলো কি না তাই ভেবে গল্পকথক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। আলোচ্য অংশটুকুতে এ বিষয়টির প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩. লেখকের সত্যিকার একটি ভাবনা ঘুচে গেল কীভাবে? চ. বো. ১৫/

উত্তর: বেনে-বৌ পাখিদের ফিরে আসা দেখে লেখকের সত্যিকার একটি ভাবনা ঘুচে গেল ।
লেখক বারান্দা থেকে প্রতিদিন প্রাচীরের ধারের ইউক্যালিপটাস গাছটায় একজোড়া বেনে-বৌ পাখি দেখতেন। কিন্তু দুই দিন তাদের অনুপস্থিতি দেখে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। কারণ, ব্যাধরা সহজেই এ পাখি ধরে বিক্রি করে দিতে পারে। কিন্তু তিন দিনের দিন আবার পাখি দুটো ফিরে এলো। পাখি দুটিকে পুনরায় দেখতে পেয়ে লেখকের দুর্ভাবনা ঘুচে গেল । .

প্রশ্ন-৪. ‘নিজের সামর্থ্য নেই বেড়াবার’– লেখক একথা বলেছেন কেন ? (আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা]

উত্তর: অসুস্থতার কারণে লেখকের নিজের বেড়ানোর সামর্থ্য নেই— বিষয়টি বোঝাতেই লেখক আলোচ্য উক্তিটি করেছেন । লেখক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘর এসেছিলেন এখানে এসে লেখকের সকাল-বিকেল পথের ধারে বসেই কাটত। অসুস্থতার কারণে লেখক বাইরে ঘুরতে বের হতে পারতেন না। এ কথা বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটির অবতারণা করেছেন।

প্রশ্ন-৫. ‘ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে বেচারাদের কত না যত্ন – লেখক একথা বলেছেন কেন?

উত্তর: বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত মেয়েদের পায়ের সৌন্দর্যহানি আড়াল করার প্রচেষ্টা লক্ষ করে লেখক এ কথাটি বলেছেন। বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত অল্পবয়সি মেয়েগুলো তাদের ফোলা পা যাতে অন্য কেউ দেখতে না পায় সেজন্য আড়াল করে রাখত। কেউ গরমের মধ্যেও মোজা পরে, কেউ মাটি পর্যন্ত লুটিয়ে কাপড় পরে পায়ের বিকৃত অংশ লুকাত। এ ব্যাপারটি লেখকের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে বলেই তিনি এরূপ মন্তব্য করেছেন ।

প্রশ্ন-৬. অল্পবয়সি মেয়েরা গরমের দিনেও পায়ে আঁট করে মোজা পরত কেন?

উত্তর: ফোলা পায়ের লজ্জা ঢাকতে অল্পবয়সি মেয়েরা গরমের দিনেও পায়ে আঁট করে মোজা পরত । ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক দেওঘরে গিয়ে নানা ধরনের রোগগ্রস্ত মানুষকে পর্যবেক্ষণ করেন । তাদের মধ্যে একদল ছিল অল্পবয়স্ক মেয়ে। তারা ছিল ‘বেরিবেরি’ নামক রোগে আক্রান্ত । এ রোগ হলে পা অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়। এই সমস্যাকে আড়াল করতেই গরমের দিনেও তারা পা আঁট করে মোজা পরত ।

প্রশ্ন-৭. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে দরিদ্র ঘরের মেয়েটিকে দেখে লেখকের দুঃখ হতো কেন?

উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে দরিদ্র ঘরের মেয়েটির শোচনীয় অবস্থার কারণে তাকে দেখে লেখকের দুঃখ হতো । দরিদ্র ঘরের মেয়েটি ছিল রুগ্ন। তার বয়স চব্বিশ-পঁচিশ হলেও শরীর ছিল শীর্ণ, মুখ ফ্যাকাশে। তাকে এতটাই শক্তিহীন মনে হতো যে, নিজেকে বহন করার ক্ষমতাও বুঝি ছিল না তার। তবু সবচেয়ে ছোট ছেলেটিকে কোলে নিয়ে চলতে হতো তাকে। এছাড়াও মেয়েটির চোখেমুখে ছিল ক্লান্তির ছাপ। এসব দেখে মেয়েটির জন্য লেখকের দুঃখ হতো।

প্রশ্ন-৮. ‘কী ক্লান্তই না মেয়েটির চোখের চাহনি – ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: দেওঘরে দেখা দরিদ্র ঘরের মেয়েটির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে লেখক এ কথাটি বলেছেন। অসুস্থতার কারণে বেড়াতে যাওয়ার সামর্থ্যা ছিল না বলে লেখক বিকেল বেলায় পথের ধারে বসেই সময় কাটাতেন। এ সময় তিনি অন্যান্য পথিকের মাঝে কিছু বেরিবেরি আক্রান্ত রোগীদের লক্ষ করতেন। এদের মধ্যে একটি অল্পবয়সি মেয়ের শরীর ছিল রোগা, চেহারা বিবর্ণ। তার চলার শক্তি ছিল না অথচ কোলে একটি শিশু। উদ্ভূত উক্তিটি মেয়েটির এ করুণ অবস্থাকেই তুলে ধরেছে।

প্রশ্ন-৯, ‘দেহ যেমন শীর্ণ মুখ তেমনি পাণ্ডুর’- কথাটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ দেওঘরে দেখা দরিদ্র ঘরের মেয়েটির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে লৈখক এ কথাটি বলেছেন । লেখক পথের ধারে বসে বৈকালিক ভ্রমণে বেরুনো রোগীদের লক্ষ করতেন। বেরিবেরি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটি অল্পবয়সি মেয়ের শরীর ছিল রোগা, চেহারা বিবর্ণ। তার চলার শক্তি ছিল না, অথচ কোলে একটি শিশু। উদ্ধৃত উক্তিটি মেয়েটির করুণ অবস্থাকেই তুলে ধরেছে।

প্রশ্ন-১০, অতিথি প্রথম দিন বাড়ির ভেতরে ঢোকার ভরসা পেল না কেন? ব্যাখ্যা করো। (দা.বো. ১৮, কু. বো. ১৮: গভঃ ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ)

উত্তরঃ অচেনা পরিবেশে ভয় ও সংকোচ থেকে অতিথি ভেতরে ঢোকার ভরসা পেল না । ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুদিনের জন্য দেওঘরে গিয়েছিলেন। সেখানে পথ চলতে গিয়ে একটি কুকুরের সঙ্গে লেখকের সখ্য গড়ে ওঠে। লেখক তাকে অতিথি সম্বোধন করে বাড়ির ভেতরে ডাকলে কুকুরটি ভেতরে ঢুকতে সাহস পায় না। মূলত, অচেনা পরিবেশে ভয় ও সংকোচ থেকেই অতিথি ভেতরে ঢোকার সাহস পায় না ।

প্রশ্ন-১১. মালির বৌ কুকুরটাকে সহ্য করতে পারত না কেন? /রা. বো. ১৬/ |

উত্তর: বেঁচে যাওয়া খাবারে ভাগীদার হওয়ায় মালি-বৌ কুকুরটাকে সহ্য করতে পারত না । লেখক সন্ধ্যায় ঘুরতে বের হলে পথের একটি কুকুর তার সঙ্গী হয় । তিনি কুকুরটিকে বাড়িতে ডেকে এনে চাকরদের বলে দেন কুকুরটাকে খেতে দিতে। বাড়িতে যে খাবারগুলো বেঁচে যেত তা মালি-বৌ নিয়ে যেত। কিন্তু মালি-বৌ কুকুরটিকে সহ্য করতে পারত না । কুকুরটিকে খেতে দেওয়ায় সে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাই মালি-বৌ কুকুরটাকে সহ্য করতে পারত না ।

প্রশ্ন-১২, আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন বলতে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে কী বোঝানো হয়েছে? /চ. বো. ১৯; ব. বো. ১৯; মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।

উত্তরঃ ‘আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন’ বলতে বাড়িতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অতিথির দীর্ঘ সময় অবস্থান করাকে বোঝানো হয়েছে । কুকুরটির সঙ্গে লেখকের সখ্য হওয়ার পরের দিন কুকুরটি লেখকের নিমন্ত্রণ রক্ষা করে। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসে সে অধিক সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করে। বাড়িতে অতিথির এরূপ দীর্ঘ সময় অবস্থান মূলত আতিথ্যের লঙ্ঘন। সাধারণ বিচারে কুকুরটি এ মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে। তাই বলা যায়, ‘আতিথ্যের মর্যাদা লঙ্ঘন’ বলতে লেখকের বাড়িতে কুকুরটির এই দীর্ঘসময় অবস্থান করাকেই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন-১৩. অতিথির চোখ দুটো ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল কেন?

উত্তর: বাসার লোকদের বিরূপ আচরণের কারণে লেখকের কাছে নালিশ জানাতে আসার সময় কুকুরটির চোখ ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল দেওঘরে বৈকালিক ভ্রমণে গিয়ে পরিচিত হওয়া কুকুরটিকে লেখক অতিথির মর্যাদায় বরণ করেন। কিন্তু লেখকের নির্দেশ মতো খাদ্য পাওয়ার পরিবর্তে কুকুরটির কপালে জুটেছিল মারধর। তাই একদিন দুপুরে বাড়ির চাকরদের অগোচরে কুকুরটি নালিশ জানাতে লেখকের দ্বারে হাজির হয়। লেখকের মনে হয়, নিজের দুরবস্থার কথা জানাতে গিয়েই অতিথি কুকুরটির চোখ ভিজে ভিজে দেখাচ্ছিল ।

প্রশ্ন-১৪. কুকুরটি কেন লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল?

উত্তরঃ বাড়ির অন্য কেউ দেখে ফেললে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিত বলে সে লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। গল্পকথক অতিথিশালার বামুনঠাকুরকে বলে রেখেছিলেন কুকুরটিকে প্রতিদিন খেতে দিতে। কিন্তু মালির বউ তাকে খেতে দেওয়ার পরিবর্তে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই দুই দিন গল্পকথকের দেখা না পেয়ে দুপুরবেলা যখন সবাই ঘুমিয়েছিল তখন কুকুরটি লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল।

প্রশ্ন-১৫. চাকরদের দরজা খোলার শব্দ শুনে অতিথি ছুটে পালিয়েছিল কেন? (ঢা. বো. ১৫; বি এ এফ শাহীন কলেজ, ঢাকা।

উত্তর: চাকরদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার ভয়ে অতিথি দরজা খোলার শব্দে ছুটে পালিয়েছিল । ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখক বাড়িতে তাঁর অতিথির নিত্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিষয়টি মালি-বৌয়ের পছন্দ হয়নি। কারণ, বাড়ির বাড়তি খাবারে একমাত্র তারই অধিকার ছিল। এ কারণে তার হাতেই নির্যাতিত হয় লেখকের অতিথিকে। আর তাই নির্যাতিত হবার ভয়ে চাকরদের দরজা খোলার শব্দে সে ছুটে পালিয়েছিল ।

প্রশ্ন-১৬. মালি-বৌ কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিত কেন? /সি. বো. ১৭/

উত্তর: উচ্ছিষ্ট খাবার দেবে না বলেই মালি-বৌ অতিথি কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিত। লেখকের অতিথি ছিল একটি কুকুর। কিন্তু লেখকের বাগানের মালি-বৌ তাকে সহ্য করতে পারতেন না। লেখকের বাড়িতে প্রতিদিন অনেক খাবার নষ্ট হয়ে যায়, তবে সেই খাবার মালি-বৌ এসে নিয়ে যেত। তাই মালি- বৌ নিজের খাবার অতিথিকে দেবে না বলেই তাকে তাড়িয়ে দিত ।

প্রশ্ন-১৭. চাকররা বাড়তি খাবারগুলো মালিনীকে দিতে বেশি আগ্রহী কেন?

উত্তর: মালিনীর বয়স কম, দেখতে ভালো হওয়ার কারণে চাকররা বাড়তি খাবারগুলো মালিনীকে দিতে বেশি আগ্রহী। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখকের অতিথি ছিল একটি কুকুর। বাড়ির উদ্বৃত্ত খাবার লেখকের অতিথি কুকুরকে দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও চাকররা তা করত না। চাকরদের দরদ মালিনীর প্রতি বেশি ছিল। কেননা, তার বয়স ছিল কম। সে দেখতে ভালো ছিল এবং খাওয়া সম্বন্ধেও সে নির্বিকারচিত্ত। তাই চাকররা বাড়তি খাবারগুলো মালিনীকে দিতে বেশি আগ্রহী ছিল।

প্রশ্ন-১৮. গল্পকথক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

উত্তর: শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। গল্পকথক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে এসেছিলেন গল্পকথকের মতে, যদিও বায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন আনে না। তদপুরি তিনি দেওঘরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে মানসিকভাবে ভালো ছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তাই তিনি দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।

প্রশ্ন-১৯. লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে নানা অজুহাতে দিন দুই দেরি করলেন কেন? ব্যাখ্যা করো ।

উত্তর: অতিথির প্রতি মমতার টান কাটাতে না পেরে লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নিতে দিন-দুই দেরি করেন । চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে গিয়ে লেখক একটি কুকুরকে সঙ্গী হিসেবে পান। ধীরে ধীরে কুকুরটির সঙ্গে তাঁর মমত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। এ কারণে চলে আসার সময় হলেও লেখক কুকুরটিকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে ব্যথিত হন। এজন্যই দেওঘর থেকে বিদায় নিতে নানা অজুহাতে লেখক দিন দুই দেরি করেন ।

প্রশ্ন-২০. বকশিশ পেল সবাই, পেল না কেবল অতিথি — কেন?

উত্তর: মানুষ ভিন্ন অন্য কোনো প্রাণীকে বকশিশ দেওয়া হয় না বলেই অতিথি বকশিশ পেল না ।প্রকৃত সুহৃদরা কখনোই বকশিশের আশায় কাউকে সাহায্য করে না। বকশিশ দিয়ে তাদের কাজের মূল্যায়নও সম্ভব হয় না। তাছাড়া বকশিশ জিনিসটি সাধারণ অর্থের মূল্যে করা হয়, যা মানুষ ব্যতীত অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় । এ দুটি কারণেই সবাই বকশিশ পেলেও অতিথি তা পেল না।

প্রশ্ন-২১. লেখকের অতিথি কীভাবে তাঁকে বিদায় জানিয়েছিল?

উত্তরঃ ট্রেন চলে যাওয়ার পথে একদৃষ্টে চেয়ে থেকে অতিথি লেখককে বিদায় হরিণশাবকটিকে উদ্ধার করে । শুধু তাই নয়, উদ্ধারকৃত হরিণ শাবকটির জানিয়েছিল । ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার দিন অতিথি মহা ব্যস্ততার সাথে কুলিদের সঙ্গে ছোটাছুটি করছিল, যেন সে তাদের খবরদারি করছে। অতিথি অন্যদের সাথে স্টেশন অবধি গিয়েছিল। ট্রেন ছাড়া হলে স্টেশনের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে লেখকের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিল । এভাবেই ভালোবাসা দিয়ে সে লেখককে বিদায় দিয়েছিল ।

প্রশ্ন-২২. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখকের কেন মনে হতে লাগল, হয়তো ওর মতো তুচ্ছ জীব শহরে আর নেই! ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি অসহায়, অবহেলিত একটি কুকুর। হওয়ায় লেখকের মনে হয়েছিল ওর চেয়ে তুচ্ছ জীব শহরে আর নেই। চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য লেখক দেওঘরে এসেছিলেন । এখানে একাকী জীবনে তাঁর এক সঙ্গী জুটে যায়, সঙ্গীটি হলো একটি কুকুর। লেখক তাকে ‘অতিথি’ বলে সম্বোধন করেছেন । অসহায়, অবহেলিত অতিথিকে লেখক আদর করে কাছে ডাকেন, তার সাথে গল্প করেন। কিন্তু লেখক জানেন যে, তিনি চলে গেলে অতিথি আবার অসহায় হয়ে পড়বে। তাই লেখক দেওঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় আলোচ্য উক্তিটি করেন।

 

অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ১-৫

অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ৬-১৫

 

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । লেখাপড়া বিষয়ক অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button