অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ৬-১৫
অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ৬-১৫ঃ বাংলা ১ম পত্রের অতিথির স্মৃতি গল্পটি হতে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো নিয়ে আজকের আলোচনার বিষয় । দয়া করে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।
প্রশ্ন ৬ : পাখি পোষার শখ কমলের। সে কবুতর পোষে। বলতে গেলে কবুতর পোষা তার রীতিমতো নেশায় পরিণত হয়েছে। একবার এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে একটি কবুতরকে তার খুব পছন্দ হয়। কমল আবদার করে সেটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। নাম দেয় রাজা। রাজাকে নিয়ে আনন্দে দিন কাটে কমলের। কিন্তু একদিন রাজা বাইরে উড়ে গিয়ে আর ফিরে আসে না। পরে জানা যায় শিয়ালের গুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। কবলে পড়ে প্রাণ দিয়েছে রাজা।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে রেঙ্গুন যাত্রা করেন?
খ. অতিথি কিছুতেই ভেতরে ঢোকার সাহস পেল না কেন?
গ. উদ্দীপকের রাজা ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে কার প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের কমলের অনুভূতি আর ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অনুভূতি একই ধারায় উৎসারিত”- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই করো।
৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৯০৩ সালে রেঙ্গুন যাত্রা করেন।
খ উত্তরঃ সৃজনশীল রচনামূলক প্রশ্নের পৃষ্ঠা নং ১১ প্রশ্ন নং ১-খ দেখো ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রাজা ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি কুকুরটির প্রতিনিধিত্ব করে। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে একটি মানবেতর প্রাণীর সঙ্গে গল্পকথকের মমত্বের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। এক সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় পথের একটি কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের দেখা হয়। কুকুরটিকে তিনি বরণ করে নেন অতিথির মর্যাদায়। কুকুরটিও গল্পকথকের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে তার স্নেহের প্রতিদান দেয়।
উদ্দীপকের কমল একজন পাখিপ্রেমী। তাই আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আবদার করে সেখান থেকে একটি কবুতর সঙ্গে করে নিয়ে আসে। সে ভালোবেসে কবুতরটির নাম দেয় রাজা। ধীরে ধীরে রাজার সঙ্গে কমলের সখ্য গড়ে ওঠে। তার সঙ্গে কমলের আনন্দময় দিন কাটে।
একইভাবে, ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে একটি পথের কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে, যা উদ্দীপকের কমলের সঙ্গে তার পোষা কবুতর রাজার সম্পর্ককে নির্দেশ করে। সে বিবেচনায় উদ্দীপকের রাজা আলোচ্য গল্পের অতিথি কুকুরটির প্রতিনিধিত্ব করে।
ঘ উত্তরঃ মানবেতর প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিক থেকে উদ্দীপকের কমলের সাথে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথকের অনুভূতির সাদৃশ্য রয়েছে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে গল্পকথক একটি পথের কুকুরকে বরণ করে নেন অতিথির মর্যাদায়। কুকুরটিও নানাভাবে কথকের সে ভালোবাসার প্রতিদান দেয়। তাদের এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি মানবেতর প্রাণীর প্রতি কথকের মমত্ববোধ ও ভালোবাসা উদ্দীপকে কমল পাখিদের ভালোবাসে। এ কারণে সে বেশকিছু কবুতর পোষে ।
শুধু তাই নয়, আত্মীয়বাড়ি বেড়াতে গিয়েও সেখান থেকে একটি কবুতরকে সে সঙ্গে করে নিয়ে আসে। ভালোবেসে সে এই কবুতরটির নাম দেয় রাজা । এরপর থেকে রাজার সঙ্গে তার আনন্দময় দিন কাটতে থাকে। বস্তুত, রাজার প্রতি তার গভীর ভালোবাসাই এমন সম্পর্ক তৈরি হওয়ার কারণ।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পটি আবর্তিত হয়েছে একটি পথের কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের সম্পর্ককে ঘিরে। অল্প দিনের পরিচয়েই গল্পকথক কুকুরটিকে আপন করে নেন। কুকুরটিও আনুগত্য প্রকাশ করে গল্পকথকের স্নেহ- ভালোবাসার প্রতিদান দেয়।
একইভাবে, উদ্দীপকের কমলও পাখিদের ভালোবাসে। সে ভালোবাসা থেকেই রাজা নামের কবুতরটিকে কমল | আপন করে নেয়। অর্থাৎ আলোচ্য গল্প এবং উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রেই মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। সে বিবেচনায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথাযথ ।
প্রশ্ন ৭ রতন অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার পাশে একটি গর্তে একটি বিড়ালছানাকে আটকে থাকতে দেখে রিকশাওয়ালার সাহায্যে সে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে পরিষ্কার করে বাড়ি নিয়ে আসে । খুব অল্প সময়ে বিড়ালটি তাদের পরিবারের একজন হয়ে ওঠে।
মতিঝিল সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা: কুমিল্লা জিলা স্কুল।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি লাভ করেন ?
খ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?
গ. রতনের মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন বিশেষ দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘জীবনের প্রতি ভালোবাসা মানবমনের এক পরম অনুভূতি’ উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ করো ।
৭ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট উপাধি লাভ করেন।
খ উত্তরঃ শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন । গল্পকথক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে এসেছিলেন গল্পকথকের মতে, যদিও বায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন আনে না তদুপরি তিনি দেওঘরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে মানসিকভাবে ভালো ছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। তাই তিনি দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ।
গ উত্তরঃ উদ্দীপকের রতনের মধ্যে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে বর্ণিত অবলা প্রাণীর প্রতি অকৃত্রিম মমত্ববোধের দিকটি ফুটে উঠেছে। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথক চিকিৎসকের পরামর্শে বায়ু পরিবর্তনের জন্য দেওঘরে যান।
পশুপাখির প্রতি গল্পকথক উদার দৃষ্টিভঙ্গি লালন করেন। এই উদার দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই তিনি একটি পথের কুকুরকে সহজেই আপন করে নিতে পেরেছিলেন। পশুপাখির প্রতি তার এই মমত্ববোধের দিকটি উদ্দীপকেও পরিলক্ষিত হয়।
উদ্দীপকের রতন অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে রাস্তার পাশের গর্তে একটি বিড়ালছানাকে আটকে থাকতে দেখে। এসময় বিড়ালছানাটির প্রতি তার সহানুভূতি জন্মায়। তাই রিকশাওয়ালার সাহায্যে সে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে। এরপর পরিষ্কার করে বিড়ালছানাটিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। ধীরে ধীরে বিড়ালছানাটির সঙ্গে তার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
খুব অল্প সময়েই বিড়াল ছানাটি তাদের পরিবারের একজন হয়ে ওঠে একইভাবে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পেও আমরা অবলা প্রাণীর প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসার পরিচয় পাই। এ গল্পে পথের একটি কুকুরের সাথে । লেখকের স্নেহ-প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লেখক নিয়মিত কুকুরটির খোঁজ- খবর নেন এবং চাকরদেরকেও বলে দেন খাবার দিতে। ইতর প্রাণীর প্রতি লেখকের এই ভালোবাসার দিকটিই উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে ।
ঘ উত্তরঃ অতিথি কুকুরটির প্রতি মমত্ববোধের মধ্য দিয়ে গল্পটিতে গল্প কথকের জীবনের প্রতি ভালোবাসাই প্রকাশ পেয়েছে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে একটি পথের কুকুরের সঙ্গে মমত্বের সম্পর্ককে উপস্থাপন করা হয়েছে। কুকুরটির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে গল্পকথক একে অতিথির মর্যাদায় বাড়ি নিয়ে আসেন। এ ক্ষেত্রে গভীর জীবন বোধ ভালোবাসাই লেখককে এমন সংবেদনশীল করে তুলেছে। উদ্দীপকের রতন অফিস থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশের গর্তে একটি বিড়ালছানাকে আটকে থাকতে দেখে।
তার সংবেদনশীল মনে বিড়ালছানাটির জন্য দয়ার উদ্রেক হয়। তাই সে রিকশা থামিয়ে রিকশাওয়ালার সাহায্যে বিড়ালছানাটিকে উদ্ধার করে। এরপর সেটিকে পরিষ্কার করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং ছানাটির যত্ন নেয়। এভাবে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বিড়াল ছানাটির সঙ্গে তার সদ্ভাব গড়ে ওঠে। একসময় বিড়াল ছানাটি যেন তাদের পরিবারেরই একজন হয়ে ওঠে।
তাই ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে দেওঘরে বেড়াতে আসা অসুস্থ লেখকের সঙ্গে পথের একটি কুকুরের সখ্য গড়ে ওঠে। লেখক কুকুরটিকে বাড়িতে ডেকে এনে অতিথির মতো আপ্যায়ন করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি বাড়ির চাকরদের বলে দেন তারা যেন কুকুরটির যত্ন নেয় এবং খাবার দেয়। ধীরে ধীরে লেখক কুকুরটির সাথে মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হন।
দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার সময় প্রিয় কুকুরটির বিচ্ছেদব্যথায় তিনি কাতর হয়ে পড়েন। একইভাবে, উদ্দীপকের রতনও বিড়ালছানাটিকে ভালোবেসেছে। জীবনের প্রতি ভালোবাসাই তাদের এমন মনোভাবের কারণ। আর সে অনুভূতি থেকেই রতন ও আলোচ্য গল্পের কথক অবলা প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে তৃপ্ত হয়েছেন। সে বিবেচনায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ ।
প্রশ্ন ৮ ঘটনাটি ২০১৪ সালের। নোয়াখালী জেলার এক দুরন্ত ও সাহসী বালক বেলাল। যে নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে, তীব্র স্রোতে ডুবতে থাকা একটি হরিণশাবককে উদ্ধার করে যত্ন নিয়ে পুনরায় বনে ছেড়ে দেয়। ছবিটি তুলেছেন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার হাসিবুল (সূত্র: roar বাংলা: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সামান্য পরিমার্জিত।
ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শেষপ্রশ্ন’ কোন ধরনের রচনা? ১
খ. লেখকের অতিথি কীভাবে তাঁকে বিদায় জানিয়েছিল?
গ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথকের সঙ্গে উদ্দীপকের বেলালের তুলনা করো ।
ঘ. উদ্দীপকের ঘটনাটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবকে কতটা তুলে ধরতে পেরেছে? বিশ্লেষণ করো।
৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘শেষপ্রশ্ন’ একটি উপন্যাস ।.
খ উত্তরঃ ট্রেন চলে যাওয়ার পথে একদৃষ্টে চেয়ে থেকে অতিথি লেখককে বিদায় হরিণশাবকটিকে উদ্ধার করে । শুধু তাই নয়, উদ্ধারকৃত হরিণ শাবকটির জানিয়েছিল ।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখক দেওঘর থেকে বিদায় নেওয়ার দিন অতিথি মহা ব্যস্ততার সাথে কুলিদের সঙ্গে ছোটাছুটি করছিল, যেন সে তাদের খবরদারি করছে। অতিথি অন্যদের সাথে স্টেশন অবধি গিয়েছিল। ট্রেন ছাড়া হলে স্টেশনের ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে লেখকের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে ছিল । এভাবেই ভালোবাসা দিয়ে সে লেখককে বিদায় দিয়েছিল ।
গ উত্তরঃ মানবেতর প্রাণীর প্রতি মমত্বপূর্ণ আচরণ প্রকাশের দিক থেকে গল্পকথক এবং উদ্দীপকের বেলাল তুলনীয় ।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে কয়েক দিনের পরিচয়ে একটি পথের কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের মমত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গল্পকথক কুকুরটিকে অতিথির । মর্যাদায় বরণ করে নেন। দেওঘরে থাকা অবস্থায় কুকুরটি ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। আর তাই দেওঘর থেকে ফিরে আসার সময় অতিথিরূপী প্রিয় কুকুরটির কথা ভেবে গল্পকথক কাতর হয়ে পড়েন ।
উদ্দীপকে এক হরিণ শাবকের প্রতি সাহসী বালক বেলালের সহানুভূতিশীল আচরণের কথা বর্ণিত হয়েছে। একটি হরিণশাবককে তীব্র স্রোতের টানে ডুবতে দেখে বেলাল স্থির থাকতে পারেনি। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে হরিণ শাবকটিকে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায় এবং পরবর্তীতে সেটিকে বনে অবমুক্ত করে। বেলালের এমন আচরণ তার উন্নত মানবিকবোধ ও পশু-পাখির প্রতি গভীর মমত্ববোধের পরিচয় দেয়। ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের গল্পকথকের মাঝেও পশুপাখিদের প্রতি সহানুভূতির দিকটি একইভাবে পরিলক্ষিত হয়। এদিক থেকে আলোচ্য গল্পের কথক এবং বেলাল চরিত্রদুটি পরস্পরের সঙ্গে তুলনীয় হয়ে উঠেছে।
ঘ উত্তরঃ হরিণ শাবকটির প্রতি মমত্ববোধের চিত্র তুলে ধরার দিক থেকে উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবকে অনেকাংশেই তুলে ধরতে পেরেছে।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে অসুস্থ গল্পকথকের সঙ্গে অচেনা এক কুকুরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। দেওঘরের অচেনা পরিবেশে এই কুকুরটিই ছিল নিঃসঙ্গ গল্পকথকের সঙ্গী। আর তাই অল্পসময়েই আপন হয়ে ওঠা কুকুরটিকে তিনি বরণ করে নেন অতিথির মর্যাদায়। এর ভেতর দিয়ে মানবেতর প্রাণীর প্রতি গল্পকথকের গভীর মমত্ববোধের পরিচয় মেলে ।
‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে লেখক পশুপাখির প্রতি মমত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। এ গল্পে অসহায় একটি পথের কুকুরের সঙ্গে গল্পকথকের সম্পর্কের আখ্যান বর্ণিত হয়েছে। অন্যদিকে, বেলাল হরিণশাবকটির জন্য যা করেছে, তা এককথায় অভাবনীয়। বস্তুত, পশুপাখি প্রাকৃতিক সম্পদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া মানবিকবোধও আমাদের পশুপাখির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে অনুপ্রাণিত করে। আলোচ্য ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কথক এবং উদ্দীপকের বেলালের আচরণেও পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে। সে বিবেচনায় উদ্দীপকের ঘটনাটি আলোচ্য গল্পের মূলভাবকে অনেকাংশেই তুলে ধরে ।
প্রশ্ন ৯
ক. বেনে-বৌ পাখি কোন গাছে বসে হাজিরা হেঁকে যেত?
খ. কুকুরটি কেন লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মানুষের বৈশিষ্ট্য ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. “সবকিছু ছাপিয়ে মানুষ ও প্রাণীর মমত্ববোধের সম্পর্ক উদ্দীপক ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে মুখ্য হয়ে উঠেছে”– মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই করো ।
৯নং প্রশ্নের উত্তর:
ক উত্তরঃ বেনে-বৌ পাখি ইউক্যালিপটাস গাছে বসে হাজিরা হেঁকে যেত।
খ উত্তরঃ বাড়ির অন্য কেউ দেখে ফেললে কুকুরটিকে তাড়িয়ে দিত বলে সে লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। গল্পকথক অতিথিশালার বামুনঠাকুরকে বলে রেখেছিলেন কুকুরটিকে প্রতিদিন খেতে দিতে। কিন্তু মালির বউ তাকে খেতে দেওয়ার পরিবর্তে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। তাই দুই দিন গল্পকথকের দেখা না পেয়ে দুপুরবেলা যখন সবাই ঘুমিয়েছিল তখন কুকুরটি লুকিয়ে গল্পকথকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল।
গ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের অতিথি কুকুরটির প্রতি মালি-বৌয়ের দুর্ব্যবহার এবং গল্পকথকের মমত্ববোধের দিকটি তুলে ধরো।
ঘ. ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের আলোকে অতিথি কুকুরটির সঙ্গে গল্পকথকের সম্পর্কের স্বরূপ বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন ১০ঃ একদিন সিদ্ধার্থ নামে এক ব্যক্তি বিশাল অরণ্যে বসেছিলেন। এমন সময় একটি তীরবিদ্ধ বুনোহাঁস তাঁর পায়ের কাছে এসে পড়ল। বুনোহাঁসটির ক্ষতস্থান থেকে দরদর করে রক্ত ঝরছিল। তা দেখে সিদ্ধার্থের মন করুণায় বিগলিত হলো। তিনি পরম স্নেহে বুনোহাসটির দেহ থেকে তীরটি খুলে গভীর সহানুভূতির সাথে তার পরিচর্যা করতে লাগলেন। সুস্থ করে তিনি হাঁসটিকে আকাশে উড়িয়ে দিলেন।
বরিশাল ক্যাডেট কলেজ।
ক. লেখক কখন গেটের বাইরে পথের ধারে এসে বসেন?
খ. ‘দেহ যেমন শীর্ণ মুখ তেমনি পাণ্ডুর’- কথাটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বুনোহাঁসটির প্রতি সিদ্ধার্থের সেবায় ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের সিদ্ধার্থের অনুভূতি আর ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখকের অনুভূতি একই ধারায় উৎসারিত”- বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক উত্তরঃ লেখক বিকেলে গেটের বাইরে পথের ধারে এসে বসেন।
খ উত্তরঃ দেওঘরে দেখা দরিদ্র ঘরের মেয়েটির শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে লৈখক এ কথাটি বলেছেন ।
লেখক পথের ধারে বসে বৈকালিক ভ্রমণে বেরুনো রোগীদের লক্ষ করতেন। বেরিবেরি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটি অল্পবয়সি মেয়ের শরীর ছিল রোগা, চেহারা বিবর্ণ। তার চলার শক্তি ছিল না, অথচ কোলে একটি শিশু। উদ্ধৃত উক্তিটি মেয়েটির করুণ অবস্থাকেই তুলে ধরেছে।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ প্রকাশিত পশুপাখির প্রতি গল্পকথকের স্নেহ-ভালোবাসার দিকটি ব্যাখ্যা করো ।
ধরো।
ঘ. অতিথির কুকুরটির প্রতি গল্পকথকের সহানুভূতির স্বরুপ বিশ্লেষণ করো ।
অনুশীলনের জন্য আরও প্রশ্ন
প্রশ্ন ১১
হলুদিয়া পাখি সোনার বরণ
পাখিটি ছাড়িল কে
কেউ না জানিল, কেউ না দেখিল
কেমনে পাখি, দিয়া যে ফাঁকি উইড়া গেল হায় চোখের পলকে ।
ক. ‘কুঞ্জ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. মলির বৌ কুকুরটিকে সহ্য করতে পারত না কেনো?
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক দিয়ে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সঙ্গে সাদ্রশ্যপূর্ণ ব্যাখ্যা করো ।
ঘ. উদ্দীপকের পাখি হারনোর বেদনা ও ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখরে অনুভূতি কি একই ধারার উৎসারিত? উত্তরের পক্ষে তোমার মতামত দাও ।
প্রশ্ন ১২ কিছুতেই জ্বর সারছে না ছোটনের। জ্বরের ঘোরে সে শুধু তার প্রিয় টিয়া পাখিটির নাম ধরে ডাকছে। কদিন থেকে পাখিটিকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তখন থেকেই ছোটন জ্বরে পড়েছে। প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে নিজের হাতে সে পাখিটিকে খাওয়াত আর তার সঙ্গে নানারকম গল্প করত। এ জন্য বাবা তাকে বকতেন। কিন্তু আজ সবাই পাখিটির ফিরে আসার জন্য প্রতীক্ষা করছে। কারণ, পাখিটি ফিরে না আসলে ছোটন যে সুস্থ হবে না।
ক. দেওঘরে পীড়িতদের মধ্যে কাদের সংখ্যা বেশি ছিল?
খ. অতিথির চোখ দুটো ভিজে দেখাচ্ছিল কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের বৈপরীত্যগুলো তুলে ধরো ।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মূলভাবকে কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছে ? যৌক্তিক মতামত দাও ।
প্রশ্ন ১৩ আজিজ ৮ম শ্রেণির ছাত্র। তার বাসার বারান্দায় চড়ুই পাখি বাসা বেঁধেছে। একটি চড়ুই ছানা বারান্দার ওপরের বাসা থেকে নিজে পড়ে গেল। আজিজ বাচ্চাটি তুলে একটি বাক্সে রেখে সেবাযত্ন কর লাগল। সময়মতো সে খাবার দেয়। স্কুল থেকে ফিরে চড়ুই পাি নিয়ে খেলা করে। কয়েকদিন পর বাচ্চাটি উড়তে সক্ষম হয় এবং উপ চলে যায়। যদি তার চড়ুই পাখির দেখা পায় এই আশার আলিঙ্গ প্রতিদিন বারান্দায় যায় ।
ক. লেখক কুকুরটিকে খেতে দেওয়ার জন্য প্রথম দিন কাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন?
খ. চাকরদের দরজা খোলার শব্দে অতিথি ছুটে পালিয়েছিলেন কেন?
গ. উদ্দীপকের আজিজ ও লেখকের মিল কতটুকু? নিরুপণ করো।
ঘ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের বিষয়বস্তু কতটা প্রতিকলিত হয়েছে? বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন ১৪ঃ আমেরিকার এক নিঃসন্তান দম্পতি শহরের বেওয়ারিশ বিড়াল সংগ্রহ করে পালন করতেন। এভাবে তাদের বাড়িতে বিড়ালের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই দম্পতি তাদের মৃত্যুর পূর্বে দশ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি বিড়ালগুলোর রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য একটি সংস্থাকে দান করে যান ।
ক. কুকুরটি কখন লুকিয়ে বাড়িতে এসেছিল?
খ. মধ্যবিত্ত গৃহস্থের ঘরে পীড়িতদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও উদ্দীপকে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সমগ্র বিষয় প্রকাশ পায়নি”— উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন ১৫ বেলাল তার পোষা ময়নাটিকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। ময়নার প্রতি বেলালের এমন দরদ দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে ওঠে তারই প্রতিবেশী রুবেল। একদিন রুবেল রাতের আঁধারে ময়নাকে মেরে ফেলে। ময়নার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল, ঢাকা। শোকে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যায় বেলাল। তার অজান্তেই অশ্রু গড়িয়ে পড়ে দু’চোখ বেয়ে ।
ক. . ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পে ট্রেন স্টেশন ছাড়তে আর কয় মিনিট দেরি? ১
খ. ‘কী ক্লান্তই না মেয়েটির চোখের চাহনি’- ব্যাখ্যা করো।
গ. রুবেলের সঙ্গে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের কাকে মেলানো যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বেলালের মাঝে ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের লেখককে খুঁজে পাওয়া যায়”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
প্রশ্ন ১৬
জীবে প্রেম করে যেইজন
সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
খুলনা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ
ক. লেখক কীভাবে বুঝতেন এরা বেরিবেরির আসামি?
খ. লেখকের অতিথি কেন উপবাস করত?
গ. উদ্দীপকের ভাবের সাথে তোমার পঠিত ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘অতিথির স্মৃতি’ গল্পের মর্মবাণীকে ধারণ করেছে” উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
অষ্টম শ্রেণি | বাংলা ১ম পত্র | অতিথির স্মৃতি | সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর ১-৫
চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । লেখাপড়া বিষয়ক অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।