অন্যান্য

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-১০ | SSC

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-১০ | SSC : সেরা স্কুলসমূহের বাছাইকৃত অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরসহ সমহু।

প্রশ্ন নং-৬ । রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা

 প্রতিটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দু’টি অংশ নিয়ে গঠিত হয় যা ICBN এবং ICZN কর্তৃক স্বীকৃত। যেমন- Solanum tuberosum, Nostoc, Penicillium.

ক) জাতীয় পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লিখ । 

(খ) কোলেস্টেরলের কাজ লিখ। [৬ষ্ঠ অধ্যায়]

(গ) উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রথম জীবটির রাজ্যগত বৈশিষ্ট্য লিখ ।

 (ঘ) উদ্দীপকে উল্লেখিত ২য় এবং ৩য় জীবটি একই রাজ্যভুক্ত নয়, উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

 (ক)-এর উত্তর:

জাতীয় পাখি দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Copsychus saularis

 (খ)-এর উত্তর: 

কোলেস্টেরলের কাজ:

১. কোষপ্রাচীর তৈরি ও রক্ষায় কাজ করা।

২. কোষের ভেদ্যতা নির্ণয় করে বিভিন্ন দ্রব্যাদি কোষে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।

৩. মানবদেহের জনন হরমোন এনড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন তৈরিতে সাহায্য করা। 

৪. পিত্ত তৈরি করা।

 ৫. ভিটামিন ‘D’ তৈরি করা।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের প্রথম জীবটি হলো Solanum tuberosum অর্থাৎ গোল আলু। এটি প্লানটি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। প্লানটি রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

i.এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালোকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। 

ii.এদের উন্নত টিস্যুতন্ত্র রয়েছে।

iii. এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়।

  1. এদের যৌনজনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের।
  2. এরা আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ।
  3. ক্লোরোফিল থাকায় এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে।

 vii. এসব উদ্ভিদের দেহ সাধারণত মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত 

viii. এটির প্রধান মূল ও শাখামূল বিদ্যমান এবং এটিতে ফুল ও ফল হয়। 

 (ঘ)-এর উত্তর:

বৈশিষ্ট্যের পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন জীবকে শ্রেণিবিন্যাসের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়। উদ্দীপকের ২য় জীবটি Nostoc। এরা ফিলামেন্টাস। এদের কোষে ক্রোমাটিন বস্তু রয়েছে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। এদের কোষে মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নেই, কিন্তু রাইবোসোম রয়েছে। এ বৈশিষ্ট্যগুলো মনেরা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কারণে দ্বিতীয় জীবটি অর্থাৎ Nostoc মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

অন্য দিকে ৩য় জীবটি Penicillium। এরা মৃতজীবী, দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম দ্বারা গঠিত। এদের কোষপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত। এদের দেহে ক্লোরোফিল অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়েই এদের বংশবৃদ্ধি ঘটে। Penicillium এর এ বৈশিষ্ট্যগুলো ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ। এ কারণে উদ্দীপকের তৃতীয় জীবটি অর্থাৎ Penicillium এর অবস্থান ফানজাই রাজ্যে। সুতরাং উপর্যুক্ত বৈশিষ্ট্যগত আলোচনার মাধ্যমে সহজেই বুঝা যায় যে, উদ্দীপকের ২য় ও ৩য় জীব দুটি একই রাজ্যভুক্ত নয়।

 

জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর | SSC

জীব বিজ্ঞান | প্রথম অধ্যায় | বোর্ড ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর | SSC

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ১-৫ | SSC

 

প্রশ্ন নং-৭ । মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা 

?

চিত্র- A

চিত্র-B

(ক) দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম কী?

(খ) বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?

 (গ) চিত্র-A শ্রেণিবিন্যাসে কোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত-ব্যাখ্যা কর।

 (ঘ) চিত্র ‘A’ ও চিত্র ‘B’ এর মধ্যে কোন জীবটি অধিক উন্নত? কারণসহ বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর:

 দোয়েলের বৈজ্ঞানিক নাম হলো- Copsychus saularis. 

(খ)-এর উত্তর:

বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলার কারণ: বংশগতিবিদ্যা হে জীববিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা যেখানে সকল প্রকার জীবের বংশগতি সম্পর্কে বিশ আলোচনা ও গবেষণা করা হয়। ভৌত জীববিজ্ঞান শাখায় তত্ত্বীয় বিষয় নিয়ে আলোচ করা হয়। বংশগতিবিদ্যা হলো জীবের বংশগতির তত্ত্বীয় বিশ্লেষণের আলোকে অ সম্বলিত জ্ঞান । এজন্য বংশগতিবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়।

(গ)-এর উত্তর:

চিত্র-A হলো পেনিসিলিয়াম নামক ছত্রাক। এটি সুপার কিংডম-২ অর্থাৎ ইউক্যারিওটার রাজ্য-৩; ফানজাই-এর অন্তর্ভুক্ত। ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।

i.দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।

  1. দেহ এেোসী বা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত ।

iii. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।

  1. কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে গঠিত

V.খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।

  1. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত এবং এরা পরভোজী।

vii. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

উপর্যুক্ত সকল বৈশিষ্ট্যই পেনিসিলিয়ামে বর্তমান। তাই, পেনিসিলিয়াম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র-A হলো পেনিসিলিয়াম এবং চিত্র-B হলো ব্যাঙ । পেনিসিলিয়াম হলো রাজ্য-৩ ফানজাই এর অন্তর্ভুক্ত এবং ব্যাঙ হলো রাজ্য-৫: অ্যানিমেলিয়ার অন্তর্ভুক্ত। ফানজাই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। দেহ এককোষী অথবা মাইসেলিয়াম (সরু সুতার মতো অংশ) দিয়ে গঠিত। এগুলোর নিউক্লিয়াস সুগঠিত কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে। ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে। অপর পক্ষে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো-

এরা নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট ও বহুকোষী প্রাণী। এদের কোষে কোনো জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নাই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রফিক অর্থাৎ পরভোজী, এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে ও হজম করে, দেহে জটিল টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এরা প্রধানত যৌন জননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। পরিণত ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়।

উপরিউক্ত দুই রাজ্যের বৈশিষ্ট্যগুলোর আলোচনা থেকে বলা যায় যে, চিত্র-B অর্থাৎ অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব ব্যাঙ হলো অধিক উন্নত ।

প্রশ্ন নং-৮ । মতিঝিল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা

(ক) হিস্টোলজি কী?

(খ) অমরা বলতে কী বুঝ? [১১তম অধ্যায়]

(গ) উদ্দীপকের চিত্র R জীবজগতের কোন শাখার অন্তর্ভুক্ত এবং কেন? ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের S ও T কি একই রাজ্যভুক্ত? তোমার মতামতের স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

 (ক)-এর উত্তর:

হিস্টোলজি: ভৌত জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি আলোচনা করা হয় তাই হিস্টোলজি ।

(খ)-এর উত্তর:

অমরা: যে বিশেষ অঙ্গের মাধ্যমে মাতৃজরায়ুতে ক্রমবর্ধমান, ভ্রূণ এবং মাতৃজরায়ু টিস্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাকেই অমরা বলে। অমরার সাহায্যে ভ্রূণ জরায়ুর গাত্রে সংস্থাপিত হয়। এতে ভ্রূণের কোনো ক্ষতি হয় না। শর্করা, আমিষ, স্নেহ, পানি ও খনিজ লবণ ইত্যাদি অমরার মাধ্যমে মাতৃদেহ থেকে ভ্রূণে প্রবেশ করে। এছাড়া ভ্রূণে উৎপন্ন বিভিন্ন রকম বর্জ্য পদার্থ অমরার মাধ্যমে বাইরে অপসারিত হয়।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের চিত্র-R এর জীবটি হলো পেনিসিলিয়াম। পেনিসিলিয়াম সুপার কিংডম-২ অর্থাৎ ইউক্যারিওটার একটি রাজ্য ফানজাই এর অন্তর্ভুক্ত। পেনিসিলিয়াম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো- অধিকাংশই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী।

I.অধিকাংশিই স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী ।

ii.দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম দিয়ে গঠিত।

iii. এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত।

  1. কোষপ্রাচীর কাইটিন দিয়ে গঠিত।

V.খাদ্য গ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।

  1. ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত এবং এরা পরভোজী

vii. হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে।

উপরিউক্ত সকল বৈশিষ্ট্যই পেনিসিলিয়ামে বর্তমান। তাই পেনিসিলিয়াম ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের S হলো ডায়াটম নামক এককোষী শৈবাল এবং T হলো নীলাভ সবুজ শৈবাল। এরা একই রাজ্যভুক্ত নয়। এরা যথাক্রমে প্রোটিস্টা এবং মনেরা রাজ্যের অন্তর্গত। নিচে জীব দুইটি ভিন্ন রাজ্যভুক্ত হওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলো— প্রোটিস্টা রাজ্যের সদস্যরা এককোষী বা বহুকোষী, একক বা কলোনিয়াল (দলবদ্ধ) বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে। খাদ্য গ্রহণ শোষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতিতে ঘটে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক, এইরূপ দুই গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটে।

কোনো ভ্রূণ গঠিত হয় না। ডায়াটমে এ সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অপরদিকে মনেরা রাজ্যের সদস্যরা এককোষী, ফিলামেন্টাস (একটির পর একটি কোষ লম্বালম্বিভাবে যুক্ত হয়ে ফিলামেন্ট গঠন করে) কলোনিয়াল। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু থাকে কিন্তু নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নাই। এদের কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা ইত্যাদি নাই, কিন্তু রাইবোসোম আছে। কোষ বিভাজন দ্বিবিভাজন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। প্রধানত শোষণ পদ্ধতিতে খাদ্যগ্রহণ করে। তবে কেউ কেউ ফটোসিনথেসিস বা সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাদ্য প্রস্তুত করে। নীলাভ সবুজ শৈবালে এ সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ডায়াটমে প্রোটিস্টা রাজ্যের জীবদের বৈশিষ্ট্য থাকায় ডায়াটম প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। অপরদিকে নীলাভ সবুজ শৈবালে মনেরা রাজ্যের জীবদের বৈশিষ্ট্য থাকায় নীলাভ সবুজ শৈবাল মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।

উপর্যুক্ত আলোচনার ভিত্তিতে তাই বলা যায় যে, বৈশিষ্টগত ভিন্নতার কারণেই S ও T একই রাজ্যভুক্ত হয়নি।

 

জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর ৬-১০ | SSC
জীব বিজ্ঞান | অধ্যায় ১ম | কলেজ ভিত্তিক সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর

 

প্রশ্ন নং-৯। সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, ঢাকা

PART-3 (অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

?

চিত্র-K

চিত্র-M

চিত্র-N

(ক) গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম কী?

 (খ) জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন কেন ? 

(গ) চিত্র-K এর দৈহিক গঠন ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের M এবং N এর মধ্যে কোনটি দেহের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে তুমি মনে কর? যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ কর।

(ক)-এর উত্তর: 

গোল আলুর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Solanum tuberosum.

 (খ)-এর উত্তর:-

জীবের শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তার কারণ: শ্রেণিবিন্যাস জীবজগতকে সহজে জানার একটি পদ্ধতি। জীবের জাতিজনি, বিভিন্ন তথ্য, জীবকুলের বিবর্তনিক ধারা নির্ণয় ও নতুন প্রজাতি সনাক্তকরণের জন্য শ্রেণিবিন্যাস প্রয়োজন । এছাড়া এই বিশাল জীবজগতকে ভালোভাবে জানা, বোঝা ও শেখার সুবিধার্থে এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি ক্ষেত্রে জীবের শ্রেণিবিন্যাস অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবের শ্রেণিবিন্যাস করা প্রয়োজন ।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র ‘K’ হলো অ্যামিবা যা প্রোটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব। নিচে অ্যামিবার দৈহিক গঠন ব্যাখ্যা করা হলো-

 (১) এরা এককোষী এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট ।

(২) কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। 

(৩) ক্রোমাটিন বস্তুতে DNA, RNA ও প্রোটিন থাকে। 

(৪) কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু থাকে।

(৫) খাদ্য গ্রহণ শোষণ ও গ্রহণ পদ্ধতিতে ঘটে।

(৬) মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে অর্থাৎ জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক, এইরূপ দুই গ্যামিটের মিলনের মাধ্যমে যৌগ প্রজনন ঘটে।

(৭) কোনো ভ্রুণ গঠিত হয় না।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত চিত্র M ও N হলো যথাক্রমে Spirogyra নামক শৈবাল 3 Agaricus নামক মাশরুমের। এদের মধ্যে মাশরুম দেহের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এর কারণ যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ করা হলো- Spirogyra অপেক্ষা মাশরুম বেশি ভিটামিনসমৃদ্ধ। মাশরুম বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় পৃথিবীর বহু দেশে সুপ্রিয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাশরুমে আঁশ বেশি থাকায় এবং শর্করা ও চর্বি কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি আদর্শ খাবার হিসেবে পরিগণিত হয়।

এতে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ লবণ এমন অনুপাতে রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করে। যার ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুরা এটা নিয়মিত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বের অনেক দেশে মাশরুম অত্যন্ত দামি খাবার। অন্যদিকে Spirogyra একটি শৈবাল যা খাদ্য হিসেবে কম গ্রহণ করা হয়। কারণ এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না । অতএব উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, Spirogyra এবং মাশরুমের মধ্যে মাশরুম দেহের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন নং-১০। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, বিইউএসএমএস পার্বতীপুর, দিনাজপুর 

Oryza sativa Homo sapiens

(ক) অণুজীব কী?

(খ)বাস্তবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?

 (গ) উদ্দীপকে ‘A’ কে লিনিয়াস প্রদত্ত পদ্ধতি অনুসারে কীভাবে নামকরণ করবে বর্ণনা কর।

(ঘ) উদ্দীপকে ‘A’ ও ‘B’ এর রাজ্যগুলির তুলনামূলক আলোচনা সাপেক্ষে কোনটি উন্নত- মূল্যায়ন কর।

 (ক)-এর উত্তর: 

অণুজীব: অণুবীক্ষণিক জীব অর্থাৎ যেসব জীবকে খালি চোখে দেখা যায় না তারাই অণুজীব।

(খ)-এর উত্তর:

বাস্তুবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলার কারণ: বাস্তুবিদ্যা বলতে জীব ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কিত জ্ঞানকে বোঝায়। আমাদের চারপাশের পরিবেশের সাথে সকল জীবের সম্পর্ক বিষয়ক জ্ঞানই হলো বাস্তুবিদ্যা। যেহেতু বাস্তবিদ্যায় তত্ত্বীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তাই বাস্তুবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের ‘A’ হলো ধান যার বৈজ্ঞানিক নাম Oryza sativa। এই উদ্ভিদটির নামকরণ এর ক্ষেত্রে ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রদত্ত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করবো। পদ্ধতিটি নিম্নরূপ-

i.নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

  1. এর Oryza অংশটি গণ নাম এবং sativa অংশটি প্রজাতিক নাম ।

 iii. এটি অনন্য নাম, এ নামে অন্য আর কোনো জীব নেই এবং সার্বজনীন. সকল ভাষায় এটি এভাবে ব্যবহৃত হবে।

  1. এই নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর অর্থাৎ O এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট হরফের এবং দ্বিতীয় অংশের সবগুলোই ছোট হরফের। মুদ্রণের সময় নামটিকে ইটালিক অক্ষরে লিখতে হয়। যেমন: Oryza sativa vi. হাতে লেখার সময় এর গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন: Oryza sativa.

vii. প্রথমে যে বিজ্ঞানী এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দিয়েছেন তার নাম অনুযায়ীই এটি গৃহীত এবং এই নামের শেষে উক্ত বিজ্ঞানীর নাম সংক্ষেপে সংযোজিত হবে। যেমন: Oryza sativa L. (এখানে L লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ)। 

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘A’ হলো ধানের এবং ‘B’ হলো মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম। সেই অনুসারে A হলো প্লানটি এবং B হলো অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। নিচে এদের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-

এই দুটি রাজ্যের জীবগুলো গঠনগত ও কার্যগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে একে অন্যের থেকে আলাদা। প্লানটি রাজ্যের জীবকোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকে। প্লাস্টিড থাকায় এরা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবকোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর নেই। প্লাস্টিড না থাকায় এরা হেটারোট্রাফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে ও হজম করে।

প্লানটি রাজ্যের জীব গুলোর যৌন জনন অ্যানাইসোগ্রযামাস ধরণের । এদের ভ্রূণ সৃষ্টি হয় এবং জীবগুলো যৌনজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। এদের ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। প্লানটি রাজ্যের জীবেরা হলো আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ, অন্যদিকে সকল অমেরুদণ্ডী (প্রোটোজোয়া ছাড়া) এবং মেরুদণ্ডী প্রাণী অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। উপর্যুক্ত আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে, দুটি রাজ্যের মধ্যে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যটি বেশি উন্নত।

 

চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button