বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ১১-১৫
এসএসসি পরিক্ষায় কমন উপযোগী প্রশ্নোত্তর সমুহ
বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আজকের আলোচ্য বিষয় । সুতরাং বই পড়া প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।
নবম শ্রেণির বাংলা বই পড়া সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তরঃ
প্রশ্ন ১১ যিনি যাই বলুন সাহিত্যচর্চা যে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। লোকে যে তা সন্দেহ করে, তার কারণ এ শিক্ষার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তার কোনো নগদ বাজারদর নেই। এই কারণে ডেমোক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বোঝে না, বোঝে শুধু অর্থের সার্থকতা। ডেমোক্রেসির গুরুরা চেয়েছিলেন সকলকে সমান করতে কিন্তু তাদের শিষ্যরা তাদের কথা উল্টো বুঝে সকলেই হতে চায় বড় মানুষ। একটি বিশিষ্ট অভিজাত সভ্যতার উত্তরাধিকারী হয়েও ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা ডেমোক্রেসির গুণগুলো আয়ত্ত করতে না পেরে তার দোষগুলো আত্মসাৎ করেছি। এর কারণও স্পষ্ট। ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয় ।
ক. শিক্ষার প্রধান অঙ্গ কী হওয়া উচিত?
খ. শিক্ষার ফল সম্পর্কে শিক্ষার্থী ও লেখকের অভিমত কী?
গ. ডেমোক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বোঝে না, বোঝে শুধু অর্থের সার্থকতা।’- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়।’- লেখকের এ উক্তির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর ক
শিক্ষার প্রধান অঙ্গ সাহিত্যচর্চা হওয়া উচিৎ।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর খ
আমাদের দেশের অর্থলোভী শিক্ষিত সমাজ সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে সুফল পাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। তারা সাহিত্যের রস ভোগ করতে প্রস্তুত নন। কিন্তু শিক্ষার ফল লাভ করার জন্য সকলে উপরের দিকে দুহাত তুলে রেখেছেন। কিন্তু লেখক আশাকে নিরাশা মনে করেন। লেখকের মতে, সাহিত্য পাঠ ও চর্চাই হলো প্রকৃত শিক্ষা। এর ফলে আমরা হতে পারি প্রকৃত বস্তু মানুষ। আর মানুষ হিসেবে বড় না হলে আমাদের শিক্ষা ব্যর্থ হবে।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর গ
১. অর্থ লাভই মানুষের সাহিত্য পাঠের প্রধান উদ্দেশ্য-এ কথাটি বুঝাতেই লেখক প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছে।
২. সুন্দর ও সার্থক মানব জীবনের জন্য প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী সাহিত্যচর্চার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছেন এবং বই ‘পড়া’ প্রবন্ধে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি বুঝাতে চেষ্টা করেছেন যে, অর্থলোভ সাহিত্যচর্চার সুফল সম্পর্কে সন্দিহান।
তার কারণ, এ শিক্ষার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না, অর্থাৎ তার কোনো বাজারদর নেই। তাই আজকের ডেমোক্রেসি সাহিত্যের সার্থকতা বুঝতে পারে না, পারে শুধু অর্থের সার্থকতা বুঝতে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, ডেমোক্রেসির কর্তাব্যক্তিরা চেয়েছিলেন সকলকে সমান করতে কিন্তু তাদের ভক্তরা তাদের কথা উল্টো বুঝে সকলেই বড় মানুষ হতে ব্যস্ত। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা ডেমোক্রেসির গুণগুলো আয়ত্ত না করে আয়ত্ত করেছি দোষগুলো।
আর এর কারণ একটিই, তা হচ্ছে আমাদের সীমাহীন অর্থলোভ। আমরা যদি অর্থলোভ পরিহার করতে পারতাম তাহলে ডেমোক্রেসির গুণগুলো আয়ত্ত করাও সম্ভব হতো এবং সে ক্ষেত্রে ডেমোক্রেসি অর্থের সার্থকতা না বুঝে সাহিত্যের সার্থকতাই বুঝত।
মোটকথা, অর্থ লোভই আমাদেরকে ডেমোক্রেসির মূল ধারা থেকে বিচ্যুত করেছে, ফলশ্রুতিতে আমরা সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করতে পারছি না। প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধেও এই কথাটিই তুলে ধরেছেন।
১১ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ
সাহিত্যচর্চা যে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ সে বিষয় অনেকেই দ্বিমত পোষণ করে থাকেন। তাদের দৃষ্টিতে এ শিক্ষার ফল হাতে হাতে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ তার কোনো নগদ বাজারদর নেই।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে যখন গণতন্ত্র আসে তখন এদেশের পণ্ডিতগণ বলেন, দুঃখজর্জরিত মানুষের অধিকারবোধের সমতা প্রতিষ্ঠা হবে। আধুনিক শিক্ষা প্রসারের পাশাপাশি গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে চলবে।
কিন্তু তারা গণতন্ত্রের অর্থ না বুঝে সকলেই বড় মানুষ হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। তাই একটি বিশিষ্ট সভ্যতার উত্তরাধিকারী হয়েও ইংরেজি সভ্যতার সংস্পর্শে এসে আমরা গণতন্ত্রের গুণগুলো আয়ত্ত করতে না পেরে তার দোষগুলো আত্মস্থ করেছি এ জন্যই লেখক তার ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বলেছেন, ব্যাধিই সংক্রামক স্বাস্থ্য নয়।
কারণ, সুস্বাস্থ্য হল সুস্থ মন ও মানসিকতার লক্ষণ, কিন্তু ব্যাধি হল সংক্রামক। তা সমস্ত শরীরকে সংক্রমিত করে। প্রবন্ধকারের মতে, ভালো গুণগুলোর চেয়ে খারাপ গুণগুলো দ্রুত সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ফলে যা কিছু সরাসরি অর্থমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় তা আমরা ত্যাগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। সুতরাং প্রশ্নোক্ত উক্তিটি এ দিক থেকে যথার্থ হয়েছে।
- বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া গল্পটি হতে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ১-৫
- বাংলা ১ম পত্র | বই পড়া প্রবন্ধ থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ৬-১০
বই পড়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধানঃ
প্রশ্ন ১২ সাহিত্যচর্চা দেশে এক রকম নেই বললেই হয়। কেননা, সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না। বাধ্য হয়ে বই পড়ায় আমরা এতটা অভ্যস্ত হয়েছি যে, কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলেই ফেলে দিই। অথচ একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, যে জিনিস স্বেচ্ছায় না করা যায়, তাতে মানুষের মনের সন্তোষ নেই। একমাত্র উদরপূর্তিতে মানুষের সম্পূর্ণ মনস্তাতি হয় না। একথা আমরা সকলেই জানি যে, উদরের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের দেহ বাঁচে না; কিন্তু একথা আমরা সকলেই মানি মে যে, মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না।
ক. লেখক লাইব্রেরিকে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
খ. কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলে ফেলে দিই কেন?
গ. স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে আলোচনা করো। বাকাশিবো-২০১৩)
ঘ. “মনের দাবি রক্ষা না করলে মানুষের আত্মা বাঁচে না।”- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
১২ নং প্রশ্নের উত্তর ক
লেখক লাইব্রেরিকে হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
১২ নং প্রশ্নের উত্তর খ
বই পড়লে নগদ পাওনা পাওয়া যায় না বলে কেউ স্বেচ্ছায় বই পড়লে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলে ফেলে দিই। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা লাভ করতে পারি জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সম্যক ধারণা। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমরা বই পড়তে অনাগ্রহী, সাহিত্যচর্চায় বিমুখ। সাহিত্যচর্চা ছাড়া জীবনকে সুন্দর করা যায় না। আর এ কারণেই কাউকে স্বেচ্ছায় বই পড়তে দেখলে আমরা তাকে নিষ্কর্মার দলে ফেলে দেই।
১২ নং প্রশ্নের উত্তর গ
১. আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ নয়।
২. দেশে বিদ্যমান প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় দেখা যায়, বিদ্যা সেখানে গেলানো হয়। যথার্থ শিক্ষালাভের জন্য শিক্ষার্থীরা বই পাঠ করে না। অভিভাবকেরাও আত্মস্থ করা বিদ্যার দিকেই ঝোঁক বেশি।
৩. আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে বিদ্যা গেলানো হয়। শিক্ষার্থীরা তা পান করে তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বটে, কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা তারা গ্রহণ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষা অনেকাংশে শুধু ব্যর্থ নয় মারাত্মকও বটে। এরূপ শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে এমনকি সু-শিক্ষিত হওয়ার শক্তিও নষ্ট করে।
‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বলেছেন, সুশিক্ষা মানুষকে সকল অবজ্ঞা থেকে মুক্তি দিতে পারে। দিতে পারে একটি গৌরবোজ্জ্বল জীবনের সন্ধান। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সে লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সমাজজীবনের চাহিদা ও কল্যাণের দিকে লক্ষ্য রেখে চালু হয় নি। মূলত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলের উপরই জীবনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভরশীল।
১২ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ
১. প্রবন্ধকার উক্ত উক্তিটির মাধ্যমে মানুষের দেহ ও মনের পূর্ণ সমহারের কথা ব্যক্ত করেছেন।
২. দেহ ও মন একে অপরের পরিপূরক। মনই দেহকে পরিচালিত করে। মনকে সজীব ও আনন্দময় করার জন্য আনন্দচিত্তে বই পাঠ করা প্রয়োজন। মন ভালো থাকলেই আত্মা সজীব ও নির্মল থাকে।
৩. উদ্দীপকে মনের দাবি রক্ষার্থে বই পড়ার গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা হতে হবে আনন্দপূর্ণ ও জ্ঞাননির্ভর। জ্ঞানের দ্বারা মনের চাহিদা পূরণ করতে পারলেই মানুষের আত্মা নির্মল ও কর্মঠ হয়। তাই বেশি বেশি রসদপূর্ণ সাহিত্য পাঠ করা অত্যাবশ্যক। বই পড়া প্রবন্ধেও এই কথাটিই যুক্তিপূর্ন ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে।
৪. দেহকে কর্মক্ষম রাখার জন্য মানুষের আহার প্রয়োজন হয়। উপযুক্ত পরিমাণে আহার গ্রহণের মাধ্যমেই মানুষের দেহ সজীব থাকে। কিন্তু মানুষ শুধু দেহ দ্বারা সৃষ্ট নয়, তার মধ্যে আত্মাও আছে। আত্মার বেঁচে থাকার জন্যও রসদ প্রয়োজন। দেহকে বাঁচাতে হলে আত্মাকেও বাঁচাতে হবে। আর আত্মা বা মনের রসদ পাওয়া যায় সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে।
আমাদের আত্মাকে বাঁচাতে বই পড়তে হবে বা সাহিত্যচর্চা করতে হবে। সাহিত্য মনের রস যোগায়, মনকে সতেজ ও সজীব রাখে। তাই মনকে সজীব ও সতেজ রাখতে হলে সাহিত্যের রস গ্রহণ করা উচিত। মোটকথা, আত্মাকে না বাঁচাতে পারলে সুশিক্ষা লাভ সম্ভব নয়। তাই মনের দাবি রক্ষা করে আত্মাকে বাঁচাতে হবে।
বই পড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্ন ১৩ আমার বিশ্বাস শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আজকের বাজারে বিদ্যাদাতার অভাব নেই। এমনকি, এ ক্ষেত্রে দাতাকর্ণেরও অভাব নেই; এবং আমরা আমাদের ছেলেদের তাদের দ্বারস্থ করেই নিশ্চিত থাকি এই বিশ্বাসে যে, সেখানে থেকে তারা এতটা বিদ্যার ধন লাভ করে ফিরে আসবে যার সুদে তার বাকি জীবন আরামে কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু এ বিশ্বাস নিতান্ত অমূলক ।
ক. কে সুশিক্ষিত?
খ. বিদ্যা লাভের আসল উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত? |
গ.“সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”-ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আমাদের শিক্ষা সম্পর্কিত ধারণাটির যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো।
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর ক
যে স্বশিক্ষিত সেই সুশিক্ষিত।
১৩ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর খ
১. বিদ্যা লাভের প্রকৃত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নিজেকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা । ২. তিনিই সুশিক্ষিত, যিনি স্বশিক্ষিত। এই স্বশিক্ষার বিষয়টা প্রচলিত কোন নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ নয়। ব্যক্তি তার নিজ উদ্যোগে অন্তরের গভীর থেকে প্রেরণাজাত শিক্ষার যে তাগিদ অনুভব করেন তিনিই প্রকৃত শিক্ষিত।
অতএব, বিদ্যা অর্জনের বিষয় হলেও সেই অর্জিত বিদ্যাকে পাশ করা সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখলে চলবে না। এর বাইরেও চেতনার বিস্তারকে প্রসারিত করতে হবে, এতে করেই আসবে বিদ্যা লাভের সার্থকতা।
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর গ
১. যে নিজে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করে সেই স্বশিক্ষিত।
২. লেখক মনে করেন শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। শিক্ষার মূল উত্থিত হয় নিজের ভেতর থেকে। সুশিক্ষা মূলত শিক্ষার মহান দিকটিকেই নির্দেশ করে।
স্বশিক্ষিত মানুষ নিজের চেষ্টার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষাকে নির্দেশ করে থাকে। পরনির্ভরশীলতা ছাড়া মানুষের আত্মিক চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা অর্জন করাই হচ্ছে স্বশিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলাতেই শিক্ষার সার্থকতা।
যিনি যথার্থ গুরু তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন এবং তার অন্তরে লুকায়িত মেধাকে বিকশিত করার চেষ্টা করেন। এর পর শিষ্য নিজের আত্মশক্তির মাধ্যমে নিজেই নিজেকে গড়ে তোলেন। সমস্ত সৃষ্টিশীলতায় স্রষ্টা হয় মানুষ নিজেই। নিজের নিরলস চেষ্টা, নিরন্তর পাঠাভ্যাস ছাড়া সুশিক্ষিত হবার বিকল্প কোনো পথ নেই।
শিক্ষা মানুষের মনকে মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত করে তুলবে, সত্যবোধে দীক্ষিত করবে, বৈজ্ঞানিক যুক্তিবোধ ও মননশীলতায় সুতীক্ষ্ণ করে তুলবে, প্রসন্ন উদারতায় তার রুচিবোধ পরিশীলিত করবে, তবেই মানুষ হবে সুশিক্ষিত।
১৩ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ
১. বিচক্ষণ ও মননশীল লেখক প্রমথ চৌধুরী তাঁর বই পড়া’ প্রবন্ধে সাহিত্যচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
২. লেখক প্রাসঙ্গিকভাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে সাহিত্যচর্চার সুযোগ নেই সে কথাটি তুলে ধরেছেন। আরও তুলে ধরেছেন আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণার কথা। লেখকের মতে, সাহিত্যকে বাদ দিয়ে আমাদের জীবনকে কল্পনা করা অসচেতন মানসিকতারই প্রমাণ । প্রকৃতপক্ষে সাহিত্যই জীবন। জীবনের সুন্দরতম অনুষঙ্গ সাহিত্য।
৩. উদ্দীপকের ভাববস্তুতে দেখা যায় যে, মানুষের জীবন সার্থক হয়ে উঠে বিদ্যার আলোকে। মানুষ শিক্ষিত না হলে জীবনের অর্থ অনুধাবন করতে পারে না। শিক্ষার সাহায্যে মানুষ যথার্থ মনুষ্যত্ব লাভ করে। কিন্তু পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বিষয় নয়। এ সত্য আমরা ভুলে যাই।
‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতে, শিক্ষাকে ডিগ্রির মধ্যে আবদ্ধ রাখা যায় না। ব্যাপক পড়াশুনার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতিতে ছেলেদের যা বোঝানো হয় তারা তা বুঝতে পারুক আর না পারুক সেদিকে কারো খেয়াল নেই।
ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণশীর্ণ হয়ে বিদ্যাপীঠ থেকে বেরিয়ে আসে। আমরা আত্মার এই অপমৃত্যুতে ভীত না হয়ে বরং উৎফুল্ল হয়ে উঠি ।
৪. আমাদের দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা হলো সীমিত সিলেবাস আকারে। যা পড়ে মুখস্থ করে পাশ করা যায়। কিন্তু যথার্থ শিক্ষিত হওয়া যায় না। ফলে প্রকৃত শিক্ষা থাকা তো দূরের কথা শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তব ত্রুটিকে স্বীকার করার ক্ষমতাও আমরা হারাতে বসেছি। অথচ প্রকৃত শিক্ষিত হতে পরীক্ষায় পাশ অপরিহার্য নয়।
নিরলস সাহিত্যচর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে যে কেউ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে। অতএব, বলা যায় যে, বর্তমানের নির্দিষ্ট সিলেবাসের আওতার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবধর্মী শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষকে প্রকৃত স্বশিক্ষিত হতে হবে-এমনটিই লেখকের যৌক্তিক দাবি।
“বই পড়া” প্রবন্ধের অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরঃ
প্রশ্ন ১৪ আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উলটো। সেখানে ছেলেদের বিদ্যে গেলানো হয়, তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর নাই পারুক। এর ফলে ছেলেরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শীর্ণ হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে। একটি জানাশোনা উদাহরণের সাহায্যে ব্যাপারটা পরিষ্কার করা যাক। আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষার ও বলবৃদ্ধির সর্বপ্রধান উপায় মনে করেন। দুগ্ধ অবশ্য অতিশয় উপাদেয় পদার্থ, কিন্তু তার উপকারিতা যে ভোক্তার জীর্ণ করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে এ জ্ঞান ও শ্রেণির মাতৃকুলের নেই।
ক. আমাদের স্কুল কলেজের শিক্ষা ক্ষেত্রে কী করা হয়?
খ. আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? .
গ. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে মা শিশুর সাথে তুলনা করে লেখক যে উদাহরণ প্রয়োগ করেছেন তার সার্থকতা বিচার করো।
ঘ. কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উলটো।’—এই উল্টো পদ্ধতিটি বিশ্লেষণ করো।
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর ক
আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে ‘বিদ্যে গেলানো হয়।
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর
১. মুখস্তনির্ভর ও বিদ্যা গেলানো শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে শিক্ষার্থীরা মূল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।
২. প্রবন্ধকার প্রমথ চৌধুরীর মতে, আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞানার্জনের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত নয়। এখানে শিক্ষার্থী শিখন ক্ষমতা ও মন-মানসিকতা বিবেচনা না করে জোর করে বিদ্যে গেলানো হয়।
ফলে চাপিয়ে দেয়া এ শিক্ষা শিক্ষার্থীর মন ও মানসে ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের আলোয় প্রদীপ্ত হওয়ার পরিবর্তে শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণশীর্ণ হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসে।
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর গ
১. শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে মা ও শিশুর সাথে তুলনা করে লেখক যে উদাহরণ আলোচ্য প্রবন্ধে প্রয়োগ করেছেন, তা সর্বাংশে যথাযথ হয়েছে।
২. আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় ত্রুটি এই যে, এতে জ্ঞানার্জনের বিষয়টি স্বতঃস্ফূর্ত নয়। ‘বই পড়া প্রবন্ধে প্রবন্ধকার প্রমথ চৌধুরী এই বিষয়টি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে উপস্থাপন করেছেন।
৩. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে এক বিশেষ শ্রেণির মা ও শিশুর সাথে তুলনা করেছেন। এই শ্রেণির মায়েরা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাকেই শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষার ও বলবৃদ্ধির সর্বপ্রধান উপায় বলে মনে করেন।
দুধ যে অতিশয় উপাদেয় পদার্থ এ বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। কিন্তু দুধের উপকারিতা যে শিশুর হজমশক্তির ওপর নির্ভর করে তা ওই শ্রেণির মায়েদের জানা নেই। ফলে ওই শ্রেণির মায়েদের শিশুরা স্বাস্থ্যবান হওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে বরং স্বাস্থ্যহীন হয়ে পড়ে।
প্রবন্ধকার এই বিষয়টিকে আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তুলনা করে এর ত্রুটি সম্পর্কে ইঙ্গিত করেছেন। তাঁর মতে, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আত্মবিকাশের কোনো সুযোগ নেই।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষমতা ও মন-মানসিকতার দিকে লক্ষ না রেখে তাদেরকে কেবল বিদ্যে গেলানোর অপচেষ্টাই করা হয়। ফলে তাদের বিদ্যা অর্জন তো হয়ই না, বরং মন ও মানসের সুষ্ঠু বিকাশের অভাবে ঘটে তাদের আত্মিক অপমৃত্যু।
১৪ নং প্রশ্নের উত্তর ঘ
১. বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি উন্মোচনের প্রয়াস পেয়েছেন।
২. লেখকের বিশ্বাস- “শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না। সুশিক্ষিত লোক মাত্র স্বশিক্ষিত।” তাঁর মতে, “যিনি যথার্থ শুরু, তিনি শিষ্যের আত্মাকে উদ্বোধিত করেন এবং তার অন্তর্নিহিত সকল প্রচ্ছন্ন শক্তিকে ব্যক্ত করে তোলেন। সেই শক্তির বলে শিষ্য নিজের মন নিজে গড়ে তোলে, নিজের অভিমত বিদ্যা নিজে অর্জন করে।”
৩. উদ্দীপকে বলা হয়েছে যে, প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থায় জ্ঞানার্জনের বিষয়টি হবে স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু প্রবন্ধকার অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করেন যে, আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার পদ্ধতি ঠিক উল্টো। এখানে শিক্ষার্থীদের ‘বিদ্যে গেলানো হয়, তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর নাই পারুক’। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের আত্মবিকাশের কোনো সুযোগ নেই।
তাদের শিখন ক্ষমতা ও মন মানসিকতার প্রতি লক্ষ না রেখে তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় বিদ্যের বোঝা। এর ফলে তাদের বিদ্যার্জন তো হয়ই না, বরং মন ও মানসের সুষ্ঠু বিকাশের অভাবে ঘটে তাদের আত্মিক অপমৃত্যু ।
৪. উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধ বিশ্লেষণে বলা যায়, প্রকৃত শিক্ষার কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীর কৌতূহল উদ্রেক করে তার বুদ্ধিবৃত্তিকে জাগ্রত করা এবং মনোরাজ্যের ঐশ্বর্যের সন্ধান দিয়ে তার জ্ঞানপিপাসাকে দীপ্ত করা। কিন্তু আমাদের প্রচলিত শিক্ষার উল্টো পদ্ধতিটি শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণশীর্ণ করে তুলে।
ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসে সার্টিফিকেটসর্বস্ব যান্ত্রিক মানব সন্তান। আমাদের এই উল্টো শিক্ষা ব্যবস্থার কুফল সম্পর্কে লেখক যথার্থই বলেছেন, “এর ফলে কত ছেলের সুস্থ সরল মন যে ইনফ্যান্টাইল লিভারে গতাসু হচ্ছে তা বলা কঠিন।”
- SSC | বাংলা ১ম পত্র | সুভা | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১ থেকে ৫
- SSC | বাংলা ১ম পত্র | সুভা | সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | ৬-১০
প্রশ্ন ১৫ স্কুল কলেজের শিক্ষা যে অনেকাংশে ব্যর্থ নয়, অনেক স্থলে মারাত্মক। কেননা আমাদের স্কুল কলেজের ছেলেদের স্বশিক্ষিত হবার সে সুযোগ দেয় না, শুধু তাই নয়, স্বশিক্ষিত হবার শক্তি পর্যন্ত নষ্ট করে। আমাদের শিক্ষাযন্ত্রের মধ্যে যে যুবক নিষ্পেষিত হয়ে দারিয়েআসে, তার আপনার বলতে বেশি কিছু থাকে না, যদি না তার প্রাণ অত্যন্ত কড়া হয়। সৌভাগ্যের বিষয়, এই ক্ষীণপ্রাণ জাতির মধ্যেও জনকতক এমন কঠিন প্রাণের লোক আছে, এহেন শিক্ষাপদ্ধতি তাদের মনকে জখম করলেও একেবারে বধ করতে পারে না।
ক. প্রমথ চৌধুরী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. স্বশিক্ষা বলতে কী বোঝায়?
গ. ক্ষীণপ্রাণ জাতির মধ্যে কঠিন প্রাণ লোকদের স্বরূপ লেখো।
ঘ. লেখক আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছেন তার সাথে কি তুমি একমত? বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর ক
প্রমথ চৌধুরী ১৮৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর খ
১. শিক্ষার্থী নিজের আগ্রহ দ্বারা নিজস্ব অধ্যয়নের সাহায্যে যা আয়ত্ত করে, তাকেই বলে স্বশিক্ষা।
২. যে শিক্ষা থেকে নিজের জীবনে বাস্তব কিছু শেখা যায় তাকে সুশিক্ষা বলে। নিজের নিরলস চেষ্টা নিরন্তর পাঠাভ্যাস ছাড়া স্বশিক্ষিত কিংবা সুশিক্ষিত হবার দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।
শিক্ষা মানুষের মনকে মুক্তবুদ্ধির আলোকে উদ্ভাসিত করে তোলে সত্যবোধে দীক্ষিত করে বৈজ্ঞানিক যুক্তিবোধে মননশীলতায় সুতীক্ষ্ণ করে তোলে। প্রসন্ন উদারতায় তার রুচিবোধ পরিশীলিত করে তোলে।
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর গ
১. বাংলা চলিত গদ্যরীতির জনক ও মননশীল প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী তাঁর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে আমাদের দেশের অসংলগ্ন শিক্ষা প্রবণতার প্রেক্ষিতে মুক্তভাবে জ্ঞানচর্চা ও আত্মার বিকাশ সম্বন্ধে আলোকপাত করেছেন।
২. আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় যে শিক্ষা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় তাতে শিক্ষার্থীর মানসিক শক্তি দিন দিন তাই মুখস্তনির্ভর শিক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে জ্ঞাননির্ভর যথার্থ শিক্ষা দিতে হবে
‘বই পড়া’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, আমাদের দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে ব্যর্থ। কেননা আমাদের কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ছেলেদের স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ দেয় না, বরং স্বশিক্ষিত হবার শক্তিকেও নষ্ট করে নেয়।
কারণ যার স্কুল-কলেজে পড়ে বিদ্যা লাভ করে তারা হয়ে যায় যান্ত্রিক। তারা পড়া মুখস্থ করে এবং পরীক্ষার সময় তা লিখে ভালো লা করে। কিন্তু তার নিজের শিক্ষা বলতে কিছু থাকে না। তার মধ্য থেকেও কিছু কিছু মানুষ সঠিক এবং বাস্তবধর্মী শিক্ষা গ্রহণ মা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
কিন্তু তার সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু যারা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসতে পারে তারাই সাল শিক্ষা পায় এবং সমাজকে কিছু দিতে পারে। উদ্দীপকেও সে কথাই বলা হয়েছে।
১৫ নং প্রশ্নের উত্তর
১. লেখক আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পর্কে যে নেতিবাচক মতামত দিয়েছেন তাঁর সাথে আমি ঐকমত্য পোষণ করি। কর মেধা, মনন ও সৃষ্টিশীলতার পরিপন্থী শিক্ষার সমুদয় বৈশিষ্ট্য লেখকের দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে
২. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে প্রমথ চৌধুরী তাঁর অন্তর্দৃষ্টি, জীবন অভিজ্ঞতা, সমাজ প্রতিবেশের দিক থেকে তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণী নিরীক্ষণে
মাধ্যমে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মৌলিক কাঠামোকে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলোকে এ এবং তুলে ধরেছেন
৩. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখক প্রমথ চৌধুরীর মতে, আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতির মূল ত্রুটি হচ্ছে প্রক্রিয়াগত। এর আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পাশ করা এবং সনদ অর্জন করা। অথচ এগুলোর কোনটাই জাতিকে মেধা বিকাশের দেখাতে পারে না।
যেমন ফ্রান্স যাদের হাতে গড়ে উঠেছে সেই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষরা ছিলেন স্কুল-পালানোদের একেকজন সদস্য। অথচ আমাদের দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে সেখানে মূলত বিদ্যার্থীদের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। লেখকের ভাষায়, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষা যে অনেকাংশে ব্যর্থ নয়, অনেক স্থলে মারাত্মক ।
৪. আমাদের স্কুল-কলেজের ছেলেদের স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ দেয় না। শুধু তাই নয়, স্বশিক্ষিত হবার শক্তি পর্যন্ত নষ্ট করে। এর প্রধান কারণ হলো বিদ্যালয়ে নোট গলাধঃকরণ এবং পরীক্ষা হলে তার উদগীরণ।
শিক্ষা ব্যবস্থার এই ত্রুটিই আমা প্রজন্মের প্রাণশক্তিকে নষ্ট করছে। পাশ করাকে শিক্ষা বিস্তারের মাপকাঠি জ্ঞান করাটাও আমাদের শিক্ষা সম্পর্কিত ভা বড় ধরনের ত্রুটি।
চাকিরর খবর ও নোটিশ পেতে আমাদের ফেইজবুক পেজটি ফলো করুন ও ইউটিউব চ্যানেলটি সাবক্রাইব করুন । অন্যান্য সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটের সাথে থাকুন ।